পদ্মা সেতু : আরও অনেক কাজ বাকি
এ কে এম শাহনাওয়াজ
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২২, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এক-দুটি রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী ছাড়া পদ্মা সেতু দেশে ও প্রবাসে অবস্থানকারী বাঙালির মনে আনন্দের ধারা বইয়ে দিয়েছে। এ দেশের মানুষ এ সেতুর বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়নের নতুন স্বপ্ন দেখছে। দেশকে চেনার ঝকঝকে মুদ্রার সামনের পিঠে ঝলমলে কৃতিত্বের উজ্জ্বলতম প্রতীক পদ্মা সেতু, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু একই মুদ্রার অপর পিঠটি ভীষণ বিষণ্ন। সামগ্রিক পরিকল্পনার ভেতরে যা যা অদূরদর্শিতা ও দুর্বলতা থাকার কথা, তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় ঘনিয়ে আসতেই আশঙ্কার কথা অনেকের মুখে মুখে এবং সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছিল। অনেকেই ভাবছিলেন সফলভাবে আধুনিক পদ্মা সেতু নির্মিত হবে; এর সঙ্গে ইতোমধ্যে লিংকরোড হিসাবে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে সেতু পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়েও নির্মিত হয়েছে। তার পরেই কি দূরদৃষ্টি থেমে গিয়েছিল প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের? তাদের ভাবখানা অমরাবতী বানিয়ে দিয়েছি, এখন আনন্দ করো। এখান থেকে বেরিয়ে ভাগাড়ে পা দেবে কিনা তা আমাদের দেখার বিষয় নয়!
এমনিতে যানজটে নাকাল রাজধানী। এতদিন ফেরি চলাচলের মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করত। তাতেই বুড়িগঙ্গা সেতু পাড়ি দেওয়ার পর থেকে বাড়তি জট ঠেলে মানুষকে প্রবেশ করতে হতো ঢাকায়। এবার পদ্মা সেতু চালু হলে স্বাভাবিকভাবেই ঢল নামবে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের বাহনের। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার টোল আদায় হবে আর রাজধানীতে প্রবেশ করতে চাইবে হাজার হাজার গাড়ি। তখন জটের অবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে আতঙ্কে ছিল অনেকেই। এ ক্ষেত্রে অনেকটা দূরদর্শী চিন্তার কথা শোনা যাচ্ছিল। বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে সিলেট, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামগামী গাড়ি ঢাকা শহরে প্রবেশ করবে না। গাড়িগুলো পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে মুন্সীগঞ্জের কাছে মুক্তারপুর ব্রিজ দিয়ে বিশেষ সড়ক ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জের দক্ষিণপ্রান্তে মদনগঞ্জ ব্রিজে চলে যাবে।
সেখানে শীতলক্ষ্যা পাড়ি দিয়ে বন্দর উপজেলা হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে যেতে পারবে। এ লক্ষ্যে অনেক বছর ধরে নির্মিত হচ্ছিল মদনগঞ্জ শীতলক্ষ্যা ব্রিজ। শোনা যাচ্ছিল, ব্রিজের কাজও প্রায় শেষ। আমরা ভেবেছিলাম পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সেতু সচল হবে। রাজধানীতে ঢোকার বিড়ম্বনা থেকে বাঁচা যাবে। কিন্তু না, পদ্মা সেতু চালু হলো, অথচ শীতলক্ষ্যা ব্রিজ উদ্বোধনের তেমন খবর পাওয়া গেল না। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কে ঢোকার অ্যাপ্রোচ রোড মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কটিরও প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং প্রশস্তের কাজ হয়নি। এ ছাড়া এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও প্রয়োজন ছিল পারাপারের জন্য নারায়ণগঞ্জ শহর বরাবর শীতলক্ষ্যা ব্রিজ নির্মাণের; যা পরোক্ষভাবে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের পর জট নিরসনে ভূমিকা রাখবে। এটি এখন নারায়ণগঞ্জ-বন্দরবাসীর সামনে নির্বাচনি মুলো হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের মেয়র ডা. আইভীকে এ ব্রিজের ব্যাপারে বরাবর সক্রিয় দেখা গিয়েছিল। গত টার্মের আগের টার্মে নির্বাচনের আগে তিনি জানিয়েছিলেন, ব্রিজের জন্য একনেকে টাকা পাশ হয়ে গেছে। এখন টেন্ডার করে কার্যাদেশ দেওয়ার অপেক্ষা। মেয়র নির্বাচনে এর ইতিবাচক ফল পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য, মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালনের পুরো টার্ম শেষ করলেও প্রস্তাবিত নারায়ণগঞ্জ ৫নং ঘাট দিয়ে ‘কদম রসুল ব্রিজ’ নির্মাণের কোনো নমুনা দেখা যায়নি। এবার দ্বিতীয় টার্মের মেয়র নির্বাচনের আগে আবার ব্রিজ মুলো ঝোলানো হলো। বলা হলো, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্রিজের কাজ শুরু হবে। মানুষ আবার আশাবাদী হলো। মেয়র আইভী আবার নির্বাচিত হন। সাধারণ মানুষের ধারণা পদ্মা সেতু নির্মাণ যেহেতু শেষ পর্যায়ে, এবার নিশ্চয়ই কদম রসুল ব্রিজ নির্মাণ শুরু হবে। ঢাকার জট নিরসনে পরোক্ষ ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু এ এলাকার জনসাধারণের হতাশাই বৃদ্ধি পেতে থাকল। কালো কাপড়ে ঢাকা পড়ে গেল ব্রিজের নির্মাণ। এ ব্যাপারে কোনো তথ্যও মিলছে না। আরেকবার ওয়াদা শুনতে হয়তো আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে!
এ তো গেল পদ্মার পূর্ব পাড়ের সংকট। এবার পশ্চিম পাড়ের দিকে চোখ বুলানো যেতে পারে। পদ্মা পাড়ি দিয়ে প্রথম দক্ষিণের জেলা হচ্ছে শরীয়তপুর। এ জেলায় যে লাখ লাখ মানুষ বসবাস করেন, তাদের পেশাগত ও শিক্ষা-সংস্কৃতির নানা প্রয়োজনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে হবে, এ সত্যটি সম্ভবত প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কারও মাথায়ই ছিল না। হয়তো সেন শাসনযুগের বর্ণবিভাজনকারী ব্রাহ্মণ প্রকল্প পরিকল্পকরা বরাবরের মতো শরীয়তপুরবাসীকে শূদ্র বিবেচনা করেছিলেন। ‘বরাবরের মত’ শব্দটি ব্যবহার করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ হলেও শরীয়তপুর পাকিস্তান আমল থেকেই একটি অবহেলিত থানা ছিল। এরশাদ আমলে থানাটি উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। তারপরও অবকাঠামোগত তেমন উন্নয়ন হয়নি।
এ অনুন্নত উপজেলাটিকে ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নীত করা হলো। কিন্তু কিছু সরকারি অফিস-আদালত, হাসপাতাল ও সাধারণ মার্কেট ছাড়া একটি জেলার আঙ্গিক সৌষ্ঠব কেউ অনুভব করতে পারবেন না এ জেলা ভ্রমণ করতে এলে। সেনযুগের ব্রাহ্মণ শাসকরা যেমন শূদ্র হিন্দুদের মন্দিরে ঢোকা পাপ বলে ফতোয়া দিয়েছিল, তেমনি বোধহয় পদ্মা সেতু প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলতে চেয়েছেন এ বিস্ময়কর সেতুতে শূদ্রদের প্রবেশ নিষেধ। তোমরা ফেরিতেই পারাপার হও। পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে শরীয়তপুর যাওয়ার রাস্তা এখনো ৪, ৬ বা ৮ লেন নয়, বড়জোর ২০ ফুটের একটি মাত্র লেন। যেখানে দুটো বড় বাস বা ট্রাকের স্বচ্ছন্দে চলাচল কঠিন। ফলে বিচিত্র সংকট সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। এর পরবর্তী ধাপ পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে রাজধানীতে কঠিন জট সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখা।
অতি সম্প্রতি একটি প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা দিয়ে বাস্তবতাটি উন্মোচন করা যায়। ২ জুলাই প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে শরীয়তপুরে যাওয়ার পরিকল্পনা করি। ভোরে সাভারের বাড়ি থেকে যাত্রা শুরু করব। শরীয়তপুর থেকে বিকালে রওয়ানা হয়ে ফিরে আসব। ভোর সাড়ে পাঁচটায় রওয়ানা হই। ফাঁকা রাস্তা দিয়ে কোনো উপদ্রপ ছাড়াই ঢাকা পৌঁছে গেলাম। হানিফ ফ্লাইওভার থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির চাকা পড়ল। আনন্দে ভরে গেল মন। মনে হলো ইউরোপের কোনো রাস্তা দিয়ে চলছি। আগের দিনের কাগজে দেখলাম টোল প্লাজাগুলোয় জ্যাম হচ্ছে। কিন্তু অচিরেই আশঙ্কা কেটে গেল।
কোনো ভোগান্তি ছাড়াই পাড়ি দিলাম বিস্ময়কর পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড থেকে শরীয়তপুরের রাস্তায় পড়তেই মনটা দমে গেল। কোথাও একটু চওড়া, কোথাও সংকীর্ণ, কোথাও একপাশের রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় আরও সংকীর্ণ হয়ে গেছে। দুটো ছোট গাড়ির পাশাপাশি যাওয়া-আসাও কঠিন। তার মধ্যেই অতিক্রম করছিল নানা কোম্পানির বড় বড় যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক। আমার ধারণা ছিল, পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক হিসাবে এতক্ষণে শরীয়তপুরের রাস্তা হাইওয়ের মর্যাদা পেয়েছে। সাভার থেকেই স্মার্টফোনের নেভিগেশন জানাচ্ছিল শরীয়তপুর পৌঁছতে তিন ঘণ্টার একটু বেশি লাগবে। ভোরবেলা গাড়ির চাপ কম থাকায় এ সংকীর্ণ রাস্তাতেও বিড়ম্বনা হলো না। সকাল ৮টার একটু পরেই পৌঁছে গেলাম শরীয়তপুরে।
আমি ফোনে পদ্মার পশ্চিমপারের এক বন্ধুকে এ আনন্দময় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানালাম। অভিজ্ঞ বন্ধু রহস্যময় কণ্ঠে বললেন, ‘সন্ধ্যায় ঢাকা ফিরে বাকি অভিজ্ঞতাটি জানিও।’
বিকাল ৫টায় ঢাকার উদ্দেশে শরীয়তপুর থেকে রওয়ানা হলাম। আধঘণ্টা নির্বিঘ্নে গাড়ি চলার পরই বন্ধুর কণ্ঠের সেই রহস্য উন্মোচিত হতে থাকল। জাজিরার কাছাকাছি এসে জটে আটকে গেল গাড়ি। শরীয়তপুর থেকে ঢাকামুখী একটি বিআরটিসি বাস আর শরীয়তপুরগামী আরেকটি বড় বাস পাশাপাশি অতিক্রম করতে পারছিল না। হয়তো কায়ক্লেশে পেরিয়ে যেতে পারত, কিন্তু রাস্তায় এক পাশে একটু পরপর গর্ত ও জটে আটকে যাওয়া গাড়ি থাকায় তা-ও সম্ভব হচ্ছিল না। রাস্তার বেশি কিনারায় আসাও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কারণ চাকা সামান্য পিছলালেই বিলে পড়তে হবে। জট সৃষ্টি না হলে বোঝাই যেত না, এ রাস্তায় এত গাড়ি চলাচল করে। লক্ষ করলাম বিআরটিসি ছাড়া আর তিন-চার কোম্পানির বড় বড় বাস চলছে এ রুটে। রাস্তার বাস্তবতা দেখে আমি বুঝতে পারলাম না, এ রাস্তায় চলাচল করার জন্য এত বড় বড় বাসের রুট পারমিট দেওয়া হয় কোন তরিকায়!
আগে-পিছে করে করে আরও দুটি একই ধারায় সৃষ্ট জট কাটিয়ে দু’ঘণ্টা পর পদ্মা সেতুতে পৌঁছলাম। শত শত গাড়ি পারাপার করছে স্বপ্নের সেতু। আমরা জটমুক্ত আছি। আশঙ্কা ছিল টোল প্লাজায় গিয়ে জটে পড়ব; কিন্তু পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় তেমন জট পেলাম না। ভাবলাম শরীয়তপুরের জটের কথা ভুলে গিয়ে বন্ধুকে হানিফ ফ্লাইওভারে উঠে ফোন দেব। কিন্তু তা আর হলো না। যে আশঙ্কার কথা সবাই আতঙ্কের সঙ্গে ভাবছিল, তার নমুনা দেখা দিল জুরাইন ক্রসিংয়ের কাছে এসে। পদ্মা সেতু হয়ে হাজার হাজার গাড়ি ঢুকতে চাচ্ছে ঢাকায়। কিন্তু এক্সপ্রেসওয়ে ঠাঁই দিতে পারছে না। সম্ভবত হানিফ ফ্লাইওভারও আত্মসমর্পণ করে বসে আছে। আমাদের গাড়ি পিঁপড়ার মতোও চলতে পারছে না।
আতঙ্কের সঙ্গে ভাবছিলাম এখনই এ দশা! সব রুটের গাড়ি তো এখনো চলাচল শুরু করেনি। আবার কাগজে দেখলাম আনন্দ ভ্রমণের জন্য ঢাকা-ভাঙ্গা-ঢাকা সারা দিনের জন্য বাস সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে। তাহলে দূরপাল্লার বাস-ট্রাক পুরোদমে চালু হয়ে গেলে এবং সবার প্রবেশপথ বাবুবাজার ও পোস্তগোলা হলে ঢাকা তো পুরোপুরি স্থবির হয়ে যাবে। অন্যদিকে আসন্ন ঈদযাত্রার কথা তো ভাবতেই পারছিলাম না। আমরা জানি, ঢাকা শহরে কোথাও যানজট হলে এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরে।
শরীয়তপুর ছাড়ার পর নেভিগেশনের অক্লান্ত মেয়ে কণ্ঠটি জানাচ্ছিল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ সাভার পৌঁছে যাব। এখন বেচারিকে কষ্ট না দিয়ে বন্ধ করে দিলাম। ঝড়ের পর মেঘ যেমন কাটে, আমরাও তেমনি একসময় হানিফ ফ্লাইওভারে উঠলাম। কিন্তু ভীষণ শম্বুকগতি। সামনে-পেছনে হাজার হাজার গাড়ি। ঘড়ির দিকে না তাকিয়ে ভাগ্যের ওপর নিজেকে ছেড়ে দিলাম। একসময় পুলসিরাতও পাড়ি দিলাম। কিন্তু জট ছাড়ল না। এ জট ঠেলতে হলো গাবতলী পর্যন্ত। অতঃপর সাভার বাড়িতে এসে পৌঁছলাম রাত বারোটা বাজার ৫ মিনিট আগে।
আমি জানি না আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার এ চালচিত্র সংশ্লিষ্টদের অবস্থার ভয়াবহতা নিয়ে ভাবতে সাহায্য করবে কিনা। এখনই যদি দ্রুততার সঙ্গে সংকট উত্তরণের পথ তৈরি করতে না পারি, তাহলে আমার ধারণা অচিরেই পদ্মা সেতুর সোনালি আনন্দ কোনো কোনো পর্যায়ে বেদনায় নীল হয়ে যেতে পারে।
ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ, অধ্যাপক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
shahnawaz7b@gmail.com
