নীতি দুর্নীতি অর্থনীতি
ব্যাংক কি আসলেই সংকটে?
ড. আর এম দেবনাথ
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২২, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
একটি উদাহরণ দিয়ে আজকের নিবন্ধটি শুরু করতে চাই। ধরা যাক, সারা দেশের সব আমানতকারী একযোগে ব্যাংগুলোতে এসে হাজির। সবার হাতে চেক। তারা লাইনে দাঁড়ানো। কখন ব্যাংক শাখা খুলবে তার অপেক্ষা। সবার দাবি, আমাদের আমানতের (ডিপোজিট) টাকা ফেরত চাই এবং তা অবিলম্বে। চারদিকে নানা গুজব। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার মতো অবস্থা! কী হতে পারে এর পরিণতি? সব আমানতকারী দিনশেষে কি যার যার আমানতের টাকা নিয়ে ফিরতে পারবেন?
এত টাকা কি ব্যাংকে আছে? নিশ্চিতভাবে এ প্রশ্নের উত্তর নেতিবাচক। বড়জোর কিছু আমানতকারী কিছু টাকা পাবেন, বাকিদের শূন্য হাতে ফিরতে হবে বাড়ি। হইচই হবে। লাঠিপেটা হবে। ব্যাংক তার শাখাগুলোর সামনে সাইনবোর্ড টানিয়ে বলবে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ। এটাই হবে বাস্তব অবস্থা। এ অবস্থা কি শুধু আমাদের দেশেই হবে? না, পৃথিবীর সব দেশের অবস্থাই একই হবে, যদি একযোগে একই সময়ে দেশের সব আমানতকারী ব্যাংকে এসে দাবি করে টাকা। পৃথিবীর কোনো দেশের পক্ষেই এ অবস্থায় ব্যাংক-ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। সব ব্যাংক বন্ধ করে দিতে হবে।
কারণ খুব সোজা। ব্যাংক ব্যবসার মূল কথা হচ্ছে : কিছু লোক টাকা দেবে প্রতিদিন, আর কিছু লোক টাকা তুলবে প্রতিদিন। এটা কখনো সমান সমান হবে না। ১০০ টাকা জমা, ১০০ টাকা তোলা-এমনটি হলে ব্যাংক ব্যবসা চলবে না। হতে হবে ‘জমা বেশি, তোলা কম’। ধীরে ধীরে ব্যাংকে ‘ব্যালেন্স’ গড়ে উঠবে। আমানত বাড়বে। যদি ১০০ টাকা জমা এবং ১০০ টাকা তোলা হয়, তাহলে ব্যাংককে কাজ করতে হবে ‘ক্যাশিয়ার’ হিসাবে, ব্যাংক হিসাবে নয়। এবং আজকাল ব্যাংক ‘ক্যাশিয়ার’ হিসাবে কাজ করে ‘কারেন্ট অ্যাকাউন্টের’ বেলায়।
এ অ্যাকাউন্টে যতবার যত ইচ্ছা টাকা জমা দেওয়া যায়, আবার তোলাও যায়। এটা ব্যবসায়ীদের/শিল্পপতিদের অ্যাকাউন্ট। তাদের সুবিধার্থে ব্যাংক এটা করে, কারণ তারা ব্যাংকের সাধারণত ঋণগ্রহীতা। অর্থাৎ তাদের কাছ থেকে ব্যাংকের আয় হয়। এর থেকে আমানতকারীদের সুদ প্রদান করা হয়, প্রশাসনিক ব্যয় মেটানো হয়। কিন্তু সঞ্চয়ী ও মেয়াদি আমানতের ক্ষেত্রে তা হয় না। বস্তুত এ ধরনের আমানতই ব্যাংকে বেশি। মেয়াদি আমানত একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রক্ষিত। আর সঞ্চয়ী আমানতের টাকা সাধারণত গ্রাহকরা তোলে না। তারা এতে সঞ্চয় করে, প্রয়োজন হলে তোলে।
একসময় সঞ্চয়ী আমানতে টাকা তোলার ক্ষেত্রে কিছু বাধা-নিষেধ ছিল। ধরা যাক, তা ছিল সপ্তাহে দুবার এবং একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের। এর বেশি হলে ব্যাংককে ‘নোটিশ’ দিতে হতো। ব্যাংক বিনা বাধায় গ্রাহককে টাকা দিয়ে দিত/চেক ‘অনার’ করত। এখন প্রতিযোগিতার কারণে এসব নিয়ম ভেস্তে গেছে। মূলত এই নীতির ভিত্তিতেই ব্যাংকব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। ব্যাংকে দিন দিন আমানত বাড়বে। তা থেকে ঋণ দেওয়া হবে। এর মানে কী? আমানতের সব টাকা ঋণ দিয়ে ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে বসে থাকবে?
গ্রাহকরা টাকা তুলতে গেলে টাকা পাবে না? না, বিষয়টি এমন নয়। ১০০ টাকা আমানত হলে ব্যাংক কিছু টাকা হাতে রেখে বাকি টাকা ঋণ দেবে। কত টাকা হাতে রাখে ব্যাংক? এর কি কোনো বিধি-বিধান আছে? এক্ষেত্রে ব্যাংকের একটা সাধারণ ধারণা আছে। কোন শাখায় সপ্তাহের, মাসের, বছরের, মৌসুমের কোন সময়ে কত টাকা জমা হতে পারে, কত টাকা তোলা হতে পারে-এর একটা পর্যবেক্ষণগত হিসাব ব্যাংকাররা করতে পারে। এটা করা হয় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। ম্যানেজার/অফিসাররা কাজ করতে করতে বুঝতে পারে গ্রাহকদের টাকার চাহিদা কখন কী হতে পারে।
এ হিসাবেই তারা ব্যাংকে কিছু ‘ক্যাশ’ রেখে বাকিটা ঋণ দেয়। এর একটা হিসাব ব্যাংক শাখাওয়ারি করে, ব্যাংকওয়ারিও করে। অধিকন্তু রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়া বিধান, যা অবশ্য পালনীয়। সময়ভেদে এ নিয়মে পরিবর্তন আসতে পারে।
বর্তমান নিয়মে ব্যাংকের কত টাকা হাতে রাখতে হয়? গ্রাহকদের উত্তোলন চাহিদায় যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ম করে দিয়েছে। বর্তমানে মোট আমানতের (ডিপোজিট) ১৭ শতাংশ টাকা ব্যাংকের ‘ক্যাশ’/ক্যাশসম অবস্থায় রাখতে হয়। এর দুটি ভাগ। একটি ভাগকে বলা হয় স্ট্যাটুটরি লিকুইডিটি রেশিও (সিআরআর)। আরেকটি ভাগ হলো ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (সিআরআর)। এসএলআর এখন ১৩ শতাংশ এবং সিআরআর ৪ শতাংশ। এই মোট ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ আমানত ১০০ টাকা হলে ১৭ টাকা রাখতে হবে ক্যাশে বা ক্যাশসম অবস্থায়। সিআরআর রাখতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদে। আর বাকি ১৩ শতাংশ টাকা থাকবে ‘হার্ড ক্যাশ’ হিসাবে এবং সরকারি বিল/বন্ডে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ব্যাংক এটা ভাঙাতে পারবে জরুরি ভিত্তিতে।
তবে কথা আছে। এসআরআর ও সিআরআর মিলে কখনো ১৭ শতাংশের কম হতে পারবে না। একেই বলা হয় ব্যাংকের ‘তারল্য’। তারল্যের এ অনুপাত কোনো ব্যাংকের পক্ষেই ভাঙা সম্ভব নয়। ভাঙলে কঠোর শাস্তি ও জরিমানা। ব্যাংকগুলো কখনো ‘তারল্য অনুপাত’ লঙ্ঘন করার ঝুঁকি নেয় না। এই ঝুঁকিতে পড়লেই ব্যাংকের সংকট হয়। বাজারে এ খবর গেলে ব্যাংক তার ব্যবসা টেকাতে পারবে না। গুজবে গুজবে ব্যাংক শেষ হবে। যদি কথা ওঠে যে, অমুক ব্যাংকের তারল্য নেই, তাহলেই বিপদ।
এখন কথা হচ্ছে-দেশে কি কোনো ব্যাংকের বা ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট আছে বা দেখা দিয়েছে? ব্যাংকাররা বলছে না ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকট নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জানান দিয়েছে। বিভিন্ন সরকারি ব্যাংক বিজ্ঞাপন দিয়ে তা বলছে। ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, ব্যাংক খাতে কোনো তারল্য সংকট নেই। বরং তারল্য প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আছে। আবার বাজারেও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে বুঝতে হবে তারল্য সংকট আছে।
মিডিয়াতেও কোনো খবর দেখিনি যে কোনো গ্রাহক ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলতে পারেনি। তাহলে হঠাৎ করে বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো কী করে? চারদিকে গুজব আর গুজব। ব্যাংকে টাকা রাখা নিরাপদ নয়... ইত্যাদি ইত্যাদি। এর অর্থ কী? কারা এসব করছে? কার স্বার্থে তারা এসব গুজব ছাড়াচ্ছে? এ কথা সত্য, দেশে এখন একটা দুঃসময় যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বেই একটা সংকট তৈরি হয়েছে। আমাদের তা-ই হয়েছে। ডলারের দাম বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি মাত্রাতিরিক্ত। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, তেলের দাম বেড়েছে। চাল, ডাল, লবণ, তেল, মাছ, মাংস, তরিতরকারিসহ সব জিনিসের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী।
অথচ মানুষের আয় বাড়ছে না। কোথাও কোথাও মানুষের চাকরি যাচ্ছে। কল-কারখানায় উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। প্রবাসী আয় কমছে, রপ্তানিতে শ্লথগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। সব সত্য কথা। এসব সমস্যা সারা বিশ্বেই ঘটছে। কঠিন এক সময়ের মুখোমুখি আমরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলছেন খাদ্যনিরাপত্তার কথা, সঞ্চয়ের কথা, মিতব্যয়ী হওয়ার কথা। বলছেন কৃষি উৎপাদন বাড়াতে। বলছেন ছোট ও ক্ষুদ্র শিল্প টিকিয়ে রাখতে। দুর্ভিক্ষ হতে দেওয়া হবে না-এ কথাও তিনি বলছেন। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি যে অস্বাভাবিক, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। মনে হয়, কেউ কেউ এ সুযোগেই একটা সংকট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। আর সংকট, তীব্র সংকট তৈরির উত্তম জায়গা হচ্ছে ব্যাংক খাত। এখানে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারলে অর্থনীতিকে ‘ঘায়েল’ করা অতীব সহজ ব্যাপার।
ব্যাংক খাতে সমস্যা আছে। সমস্যা নগদের বা তারল্যের নয়। সমস্যা ডলারের। ডলারের অভাবে ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। ঋণপত্রের অঙ্গীকার পূরণ করা যাচ্ছে না। চেয়েও ডলার মিলছে না। এটা অন্য সমস্যা। এটা ‘ক্যাশের’ সংকট নয় যে গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারবে না। তবে অন্যত্র একটা বাজে সমস্যা আছে। আর সেটা হচ্ছে ঋণখেলাপি। এটা দিনে দিনে বেশ বড় হয়েছে/হচ্ছে। বড় বড় গ্রাহকরা ব্যাংকগুলোকে ‘জিম্মি’ করে ফেলেছে।
খেলাপিদের সম্পর্কে জনমনে বিরূপ ধারণা আছে। দেশবাসী তাদের পছন্দ করে না। তাদের কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হোক এটাও দেশবাসী চায় না। অথচ তারা সরকারকে পেয়ে বসেছে, না চেয়েও তারা সব পেয়ে যায়। তাদের দাবির কোনো শেষ নেই। ‘জামাই আদর’ দিয়ে তাদের মাথায় তোলা হয়েছে। তাদের অনেকেই দেশের বাইরে অর্থ পাচার করছে, বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। তাদের ছেলেমেয়ে, পরিবারও বিদেশে। এসব দেখে জনমনে ধারণা জন্মেছে যে, এরা ব্যাংক লুটে খাচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে ফতুর করে ফেলছে। এতে ‘ঘৃতাহুতি’ করছেন অনেক সমালোচক। তারা কারণে-অকারণে একই তথ্য বারবার হাজির করে বলার চেষ্টা করছেন, খেলাপি ঋণে ব্যাংক শেষ হয়ে যাচ্ছে।
খেলাপি ঋণ বাড়ছে, সত্য কথা। খেলাপি ঋণ বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে প্রদত্ত ঋণের পরিমাণও। দেখতে হবে শতাংশের হিসাবে। শতাংশের হিসাবে তা এখনো ১০ শতাংশ। ১০০ টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি/খারাপ ঋণ ১০ টাকা। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটু বেশি। তবে কেউ কেউ বলছেন ‘রিটেন অব লোনে’র কথা। এর টাকা যোগ করলে খেলাপি ঋণ বাড়বে। সত্যি সত্যি বাড়বে। কিন্তু এটাও সত্য যে, রিটেন অব লোনের বিপরীতে শতভাগ ‘প্রভিশন’ করা আছে মুনাফা থেকে টাকা কেটে। অতএব, এতে ব্যাংকের জন্য ঝুঁকি সেভাবে সৃষ্টি হয় না। কিন্তু এতদসত্ত্বেও ব্যাংকের অবদানকে অস্বীকার করে একশ্রেণির সমালোচক শুধু খেলাপি ঋণের ওপর আলোচনা সীমিত রাখতে চাচ্ছেন।
খেলাপি ‘কালচার’ খুবই খারাব। খেলাপি ঋণগ্রহীতারা দেশের বন্ধু নয়-এসব কথা সত্যি। কিন্তু ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণই একমাত্র সমস্যা নয়, অন্যসব সমস্যাও আলোচনায় আসা দরকার। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সেসব সমস্যা সেভাবে আলোচনায় আসছে না। এমনকি খেলাপি ঋণ গ্রহীতাদের আলোচনার মূলেও কেউ যেতে চান না। একটু কঠোর হলেই যে অনেকটা খেলাপিমুক্ত হওয়া যায়, তা কেউ ভেবে দেখছেন না। আমরা জানি, একজন কৃষক ৫, ১০, ২০, ৫০ হাজার টাকা কৃষিঋণ নেন। তা ফেরত দিতে না পারলে তার কোমরে দড়ি বেঁধে তাকে থানায় নেওয়া হয়।
প্রায় সময়ই এ সম্পর্কিত খবর আমরা কাগজে দেখি। এটা ঘটে পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি (পিডিআর) অ্যাক্টের কারণে। ছোট ছোট টাকার ঋণের ক্ষেত্রে ‘পিডিআর’ অ্যাক্ট, অথচ বড় বড় ঋণের ক্ষেত্রে ‘অর্থঋণ আদালত’। এটা একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া। তাছাড়া ঋণগ্রহীতারা হাইকোর্টে গিয়ে রিট করে মামলা আটকে রাখে। এমতাবস্থায় একটু কঠোর হয়ে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের কোমরে দড়ি বাঁধতে বাধা কোথায়? উপরন্তু একটু ‘সিরিয়াস’ হলে খেলাপি অপরাধকে সিভিল অপরাধ হিসাবে না দেখে ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ হিসাবে গণ্য করতে আপত্তি কোথায়?
একটি গল্প দিয়ে শেষ করি। বাজারে এক লোককে কয়েকজন পেটাচ্ছে। পিটুনি খেয়ে লোকটি মাটিতে শুয়ে পড়েছে। দয়াপরবশ হয়ে কিছু লোক জিজ্ঞেস করল-ওকে পেটাচ্ছ কেন? উত্তর-তার কাছে টাকা পাই, টাকা ফেরত দিচ্ছে না, খালি সময় নিচ্ছে। এবার প্রশ্ন মার খাওয়া লোককে-তুমি টাকা নিয়েছ? উত্তর-হ্যাঁ।-তাহলে টাকা ফেরত দিচ্ছ না কেন? লোকটি বলল-আজকে যেভাবে অপমান করে/পিটিয়ে ফেরত চাইছে, আগে তো কখনো এভাবে চায়নি। চাইলে দিয়ে দিতাম। আজ শিক্ষা হলো। টাকা ফেরত দিয়ে দেব।
ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
