চতুর্থ সমাবর্তন : বিএসএমএমইউ রোল মডেল হোক
ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গত ২৫ বছরের পথপরিক্রমায় আজ ১৭ কোটি মানুষের পরম ভরসার আশ্রয়স্থল আমাদের এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। বঙ্গবন্ধুর নামবিজড়িত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্নাতকোত্তর অর্জনকারী সম্মানিত চিকিৎসকদের জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন। এ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি আমাদের দেশের স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের গবেষণা, শিক্ষা আর প্রশিক্ষণেরও সর্বোৎকৃষ্ট বিদ্যাপীঠ। প্রতিদিন যেমন আমরা হাজারও রোগীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করি, তেমনই প্রতিবছর শত শত মৌলিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। এরকম বিদ্যাপীঠে লেখাপড়ার সুযোগ পাওয়া স্বপ্নের, আর লেখাপড়া শেষ করে ডিগ্রি নেওয়া স্বপ্নপূরণের বিষয়।
চিকিৎসা শিক্ষায় স্নাতকোত্তর কোর্সে অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার প্রথম তিনতারকা শাহবাগ হোটেলের জায়গায় ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ (আইপিজিএমআর) প্রতিষ্ঠিত হয়। স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা ও গবেষণার দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও এ প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি প্রদানের ক্ষমতা ছিল না। ডিগ্রি প্রদান করত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আইপিজিএমআর কার্যক্রমসহ অনেক চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের এমবিবিএস ডিগ্রি প্রদান করত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
জনগণের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং দেশের চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে তৎকালীন আইপিজিএমআরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে উন্নীত করার মধ্য দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজকে এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার জায়গায় পৌঁছেছে।
জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম পাবলিক মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজ আন্তর্জাতিক মান অর্জন করে দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের সুচিকিৎসায় নিয়োজিত হবেন-এ আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছিল, প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছরের মাথায় ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর হীন রাজনৈতিক সংকীর্ণতায় সেই বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে আবারও আইপিজিএমআর করার উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সরকার। আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন করেছিলাম, তাদের বিরুদ্ধে নানাবিধ মামলা-হামলা করেছিল তৎকালীন সরকারের লেজুড়ভিত্তিক চিকিৎসক সংগঠন ড্যাব ও কর্মচারী গোষ্ঠী। এহেন ন্যক্কারজনক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ দেশের সব পেশাজীবী ও জনসাধারণ তীব্র ক্ষোভ ও আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফলে তৎকালীন সরকার তাদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবুও ক্ষোভের বশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলক থেকে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলে সংক্ষেপে বিএসএমএমইউ লিখে পরিচিতি দেয়। এমনকি তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকা থেকে গাজীপুর, টুঙ্গিপাড়া বা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার হীন উদ্যোগ গ্রহণ করে। জনসাধারণের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারও সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সেলেন্সে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারডেমসংলগ্ন বেতার ভবনের জমি ও হাসপাতালের উত্তর পাশের ১২ বিঘা জমির স্থায়ী বন্দোবস্ত করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে ৫২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ সহায়তা ও দিকনিদের্শনায় খুব দ্রুত নতুন কেবিন ব্লক সম্প্রসারণ, অনকোলজি ভবন, নতুন বহিঃবিভাগ, আধুনিক আইসিইউ, ওটি কমপ্লেক্স, মেডিক্যাল কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এরই অংশ হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সেল গঠন করা হয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা অল্প খরচে করা এবং আলাদা কেবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আমি আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই, জাতির পিতার নামে এ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বসেরা সেবা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। স্পেনের সিমাগো এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্কপাস এ দুটি বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থার তালিকায় গবেষণার জন্য বাংলাদেশের অন্য ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চম স্থান এবং দক্ষিণ এশিয়ার মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানের মর্যাদা পেয়েছে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০৫টি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স পরিচালনা করা হচ্ছে। অন্যান্য ৪১টি মেডিক্যাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬২টি রেসিডেন্সি কোর্স রয়েছে। চালু হয়েছে এমএসসি নার্সিং কোর্স। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বাইরেও ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সোমালিয়া, কানাডা, ইয়েমেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশের প্রায় ৩৫০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন কোর্সে লেখাপড়া করছেন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় ৮০০০ রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করে সন্তুষ্টি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন রয়েছে বিভিন্ন ইউনিটসহ ৫৭টি পূর্ণাঙ্গ বিভাগ। আরও সুশৃঙ্খল ও ডিজিটাল করা হয়েছে আর্থিক ব্যবস্থাপনা।
আমাদের হাসপাতালে এখন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গণ, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখানে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এখন দেশের সব মানুষের কাছে পরিগণিত হয়েছে চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে।
রোগীদের আরও উন্নত চিকিৎসা প্রদান করার লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যেই চালু করেছি ভিট্রিও রেটিনা, গ্লুকোমা, কর্নিয়া, অকুলোপ্লাস্টি, ক্যাটারেক্ট ও রিফ্রেকটিভ সার্জারি, অথোস্কোপিক ও অথোপ্লাস্টি, হ্যান্ড অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি, শিশু এন্ডোক্রাইনোলজি, জেনারেল রিউম্যাটোলজি, ইমিউনো রিউম্যাটোলজি, ইলেক্ট্রোকার্ডিওলজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, এডাল্ট কনজিনিটাল হার্ট ডিজিজসহ ১৫টি ডিভিশন। এছাড়া সার্জিক্যাল অনকোলজি, কলোরেক্টাল সার্জারি, হেপাটোবিলিয়ারি অ্যান্ড প্যানক্রিয়েটিক সার্জারি, গাইনোকলোজিক্যাল অনকোলজি, রিপ্রোডাকটিভ এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি, ফিটোম্যাটার্নাল মেডিসিন এবং ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ নামে আরও সাতটি বিভাগ খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনুমোদিত হয়েছে নতুন শিশু অনুষদ। মেডিক্যাল শিক্ষাব্যবস্থায় গবেষণাকে জোরদার করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণাকেন্দ্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ঘণ্টা ল্যাবরেটরি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি বিভাগে রোগীর ল্যাবরেটরি রিপোর্ট অনলাইনের মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা এবং একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আহত রোগীদের জন্য বিশেষ চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম এবং বিশ্বে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। এই চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমে এ বিশ্ববিদ্যালয় সংযুক্ত হাসপাতাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকারের যৌথ অর্থায়নে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। ফলে দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়ে কম খরচে উন্নত মানের চিকিৎসাসেবা পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া দেশে প্রথমবারের মতো ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। লিভার ও অন্যান্য অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রমও সমান্তরালভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র। বেসরকারি রেসিডেন্টদের জন্য সরকার থেকে মাসিক ২০ হাজার টাকা সম্মানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে সব ছাত্রছাত্রীর জন্য বিশেষ বাস সার্ভিস। শিক্ষা, সেবাসহ সব পর্যায়ের মানোন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)। সব শিক্ষক, কনসালটেন্ট, কর্মকর্তা, নার্সদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
বিশ্ববিদ্যালয় জার্নাল এখন নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে দেশের প্রথম সারির জার্নাল হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। গত তিন বছরে ১৫০০টি গবেষণাকর্ম সম্পন্ন হয়েছে। প্রতি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সংবাদসহ নিউজ লেটার নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রকাশনা, সব জাতীয়-আন্তর্জাতিক দিবসগুলো সঠিকভাবে উদ্যাপন করা হয়েছে। প্রতি মাসে সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণে শিক্ষক, চিকিৎসকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিবছর ‘বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে।
গত তিন বছরে ২৪০ জন শিক্ষক এবং ৯১০ জন শিক্ষার্থীকে গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক চুক্তি। আগামী পঞ্চাশ বছরের পরিকল্পনা বিবেচনায় রেখে একটি মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে চলছে সব উন্নয়ন কার্যক্রম। অচিরেই যুক্ত হতে চলেছে ইমার্জেন্সি সার্ভিস, ওয়ান পয়েন্ট চেকআপ সেন্টার, ডে কেয়ার সেন্টার, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন, ই-টিকিটিং, সর্বক্ষেত্রে স্মার্ট পদ্ধতি।
অনেক সীমাবদ্ধতা নিয়ে আমরা এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করি। তারপরও সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম, সেবা কার্যক্রম, গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে সফলতা নিয়ে। প্রতিদিন এখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ-দেশি-বিদেশি চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের উপস্থিতিতে। আমাদের শিক্ষার্থী ও তরুণ চিকিৎসকরা এ সুযোগ গ্রহণ করে নিজেদের সমৃদ্ধ করছে নতুন নতুন জ্ঞান/অভিজ্ঞতা নিয়ে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন সোসাইটির সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে দেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানচর্চার প্রাণকেন্দ্র।
ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার, আমরা তা-ই করব। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের বুকে একটা রোল মডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করব-এই হলো চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপাচার্য হিসাবে আমার অঙ্গীকার। উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান, শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সংযুক্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে, এ প্রত্যাশা সবার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতায় এবং সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনায় সফল হবই, ইনশাআল্লাহ।
(চতুর্থ সমাবর্তনে ক্রোড়পত্রের বক্তব্য, ঈষৎ সংক্ষেপিত)
প্রফেসর ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়