Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

ছোট উদ্যোক্তাদেরও প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের আওতায় আনতে হবে

Icon

ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ছোট উদ্যোক্তাদেরও প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের আওতায় আনতে হবে

আমাদের দেশে ক্ষুদ্র ঋণদান কার্যক্রম নিয়ে নানা আলোচনা হয়। কিন্তু আলোচনায় একটি বিষয় খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না। তা হলো, ক্ষুদ্রঋণ টেকসই দারিদ্র্যবিমোচনে সহায়ক নয়, যা বাস্তব সত্য।

আমি অনেক দিন আগে থেকেই এ ব্যাপারে বলে আসছিলাম। ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্যবিমোচনে সহায়ক নয়, যদিও ঋণগ্রহীতাদের আয় অনেক সময় কিছু বাড়ে, তবে তারা থেকে যায় দারিদ্র্যসীমার নিচেই। ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হয় একটি ক্ষুদ্র পরিমাণে। হয়তো কোনো একটি কাজ করার জন্য একজনের ৫০ হাজার টাকা প্রয়োজন, কিন্তু তাকে দেওয়া হলো ২০ হাজার টাকা।

তাহলে তাকে অবশিষ্ট ৩০ হাজার টাকা জোগাড় করার জন্য অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে হবে। এভাবে একাধিক উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ করতে করতে একসময় ঋণগ্রহীতা ঋণভারে জর্জরিত হয়ে পড়েন। কোনো প্রতিষ্ঠানের ঋণই ঠিকমতো ফেরত দিতে পারেন না। ফলে ঋণ গ্রহণ করে ভাগ্যের পরিবর্তন করার চেয়ে আরও বেশি পরিমাণ দুর্ভোগের শিকার হয়ে পড়েন।

বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রতীয়মান হয়েছে যে, প্রচলিত পদ্ধতির ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্যবিমোচনে সহায়ক নয়। আমি নিজেও একটি গবেষণা কর্ম সম্পাদন করেছিলাম ২০০৭ সালে। সেই গবেষণায় গ্রামীণ ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও থেকে যারা ঋণ নিয়েছে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এমন ঋণগ্রহীতাদের গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যারা এসব প্রতিষ্ঠান থেকে অন্তত চার বছর ঋণ গ্রহণ করে তা ব্যবহার করেছেন। আমার গবেষণায় দেখেছিলাম, যেসব দরিদ্র পরিবার গ্রামীণ ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ক্ষুদ্রঋণ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে আসতে সমর্থ হয়েছিলেন।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গ্লোবাল মাইক্রোক্রেডিট ক্যাম্পেইন বাংলাদেশের ওপর একটি গবেষণা চালিয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির কাজ হচ্ছে ক্ষুদ্রঋণের প্রসারে প্রচারণা চালানো। ওই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত সময়কাল ছিল ১৯৯০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত। ফলাফল ২০১০ সালে প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা গেছে, ওই সময় পরিসরে বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে মাত্র ৯ দশমিক ৪ শতাংশ দরিদ্র মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে আসতে সমর্থ হয়েছেন।

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিত ব্যানার্জির নেতৃত্বে সম্পাদিত একটি গবেষণা আছে। এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, ইউরোপ ও আফ্রিকার সাতটি দেশে গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে আসলে মানুষের ভাগ্যের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।

ঋণ কর্মসূচিতে ক্ষুদ্রঋণের এ সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমরা পিকেএসএফ থেকে প্রচলিত ক্ষুদ্রঋণের পরিবর্তে ‘উপযুক্ত ঋণ’ প্রদান করে থাকি। উপযুক্ত ঋণ অত্যন্ত কার্যকর ও টেকসই উন্নয়নে সহায়ক বলে প্রতীয়মান হয়েছে। উপযুক্ত ঋণ মানে যার যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, তাকে সেই পরিমাণ ঋণ প্রদান করা। আমরা বিভিন্ন সময় অভিজ্ঞতার আলোকে দেখেছি, মানুষ যদি তার প্রয়োজনমতো ঋণ না পায়, তাহলে তাকে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। প্রথমত, তিনি যে কাজটি করতে চান তা করতে পারেন না।

প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থের জন্য তাকে বিভিন্ন উৎসের কাছে যেতে হয়। এভাবে একপর্যায়ে তিনি ঋণের জালে জর্জরিত হয়ে পড়েন। এতে ঋণ প্রদান বা গ্রহণের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হয়। ঋণের অর্থ দিয়ে তার আর্থিক অবস্থা পরিবর্তিত হয় না। বরং অনেক ক্ষেত্রেই তার আর্থিক অবস্থা আগের চেয়েও খারাপ হয়ে যায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা উপযুক্ত ঋণের ধারণা গ্রহণ করি। উপযুক্ত ঋণ নিলে একজন মানুষ একটি মাত্র উৎস থেকে তার পরিকল্পিত কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নিতে পারেন।

এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, অর্থ ব্যয় করার সামর্থ্য দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে সবার সমান নয়। কাউকে তার প্রয়োজনের চেয়ে কম ঋণ দিলে যেমন লক্ষ্য সাধিত হবে না, তেমনি তার ব্যবহার করার সামর্থ্য থেকে অনেক বেশি পরিমাণ ঋণ দেওয়া হলে তা তিনি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না। তিনি হয়তো অপ্রয়োজনে খরচ করতে পারেন। একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। ধরা যাক, ছাগল পালনের জন্য একজন উদ্যোগ নিলেন। এজন্য তার দুই লাখ টাকা প্রয়োজন।

ব্যবস্থাপনা অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী তিনি ছোট পরিসরে ছাগলের খামার করতে পারবেন ভালোভাবে। তাকে যদি ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়, তিনি তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না এবং চেষ্টা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন। ঋণ পরিশোধ করা তার জন্য কঠিন হতে পারে। যে ব্যক্তি প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতায় উপযুক্ত, তাকে বেশি অর্থাৎ তার প্রয়োজন অনুযায়ী ঋণ দেওয়া হয়। অবশ্য বর্তমানে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার বিধান রয়েছে। এ পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে। এসব ঋণ জামানতমুক্ত অর্থাৎ ঋণ নিতে কোনোকিছু জামানত রাখতে হয় না।

আরও একটি বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দেই, তা হলো, ঋণের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার জন্য ঋণগ্রহীতাকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যথাযথ প্রযুক্তি সংগ্রহ ও ব্যবহারে পরামর্শ দেওয়া হয় এবং পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তা করা হয়। অর্থায়ন, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ও বাজারজাতকরণ-এ চারটি কাজ একত্রিত করে একটি প্যাকেজ আকারে তাদের সহায়তা করা হয়। ঋণ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে একজন ঋণগ্রহীতা দ্রুত তার আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারেন।

বাজারজাতকরণে সহায়তা অনেক ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এজন্য যে, অতিক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের এক্ষেত্রে দক্ষতা ও সামর্থ্য তেমন থাকে না। এক্ষেত্রে আমরা গুচ্ছ উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বেশ কয়েকটি গুচ্ছব্যবস্থা ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে অতিক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা যৌথভাবে বাজারজাতকরণ এবং অন্যান্য সমস্যার সমাধান ও বিদ্যমান সুযোগ গ্রহণে কাজ করতে পারেন। ফলে সবাই লাভবান হতে পারেন।

অতিদরিদ্র পরিবারগুলোকে আর্থিক (ঋণ) ও প্রয়োজনীয় অ-আর্থিক সেবা দিলে দেখা গেছে, দু’এক বছরের মধ্যেই তারা তাদের আর্থিক ও মানবিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে সমর্থ হয়। অতিদরিদ্র একটি পরিবার যখন ঋণের অর্থ ও অ-আর্থিক বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করে, তখন পরিবারটি অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে দরিদ্র শ্রেণিতে উন্নীত হয়। তখন সেই পরিবারকে তার চাহিদামাফিক আরও একটু বেশি পরিমাণে ঋণ ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হয়। তারপর পরিবারটি অ-দারিদ্র্য পর্যায়ে এবং শেষে স্বাবলম্বী পর্যায়ে উন্নীত হয়।

পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো এ পথপরিক্রমায় এসব পরিবারকে প্রয়োজনমতো সহায়তা প্রদান করে তাদের পাশে থাকে। এভাবে অনেক অতিদরিদ্র ও দরিদ্র মানুষ এখন উদ্যোক্তায় পরিণত হয়েছেন। তারা নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে চলেছেন এবং মুনাফা অর্জন করছেন।

উপযুক্ত ঋণ একজন মানুষকে টেকসইভাবে দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে আসার ক্ষেত্রে সহায়ক হচ্ছে। আমরা পিকেএসএফ থেকে দেশের ২০১টি ইউনিয়নে ‘সমৃদ্ধি’ নামে একটি বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করছি; অবশ্যই প্রচলিত ব্যবস্থা অনুযায়ী এর সহযোগী সংস্থাদের মাধ্যমে। এ কর্মসূচি মানবকেন্দ্রিক, বহুমাত্রিক ও সমন্বিত। এর মূল লক্ষ্য হলো সবার মানবমর্যাদা প্রতিষ্ঠা। এতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ জীবনযাত্রার সব মাত্রায় সহযোগিতা করা হচ্ছে। সমৃদ্ধির সাফল্য খুবই আশাপ্রদ। এ কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্ত সবাই অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে সমর্থ হয়েছেন, হচ্ছেন।

যুক্তরাজ্যের ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (আইডিএস) ড. মার্টিন গ্রিলির নেতৃত্বে ‘সমৃদ্ধি’ কর্মসূচির মূল্যায়ন করেছে। প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, মানবমর্যাদাকে লক্ষ্য করে পৃথিবীর আর কোথাও সমৃদ্ধির মতো কোনো উন্নয়ন কর্মসূচি পরিলক্ষিত হয়নি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের আয় বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা বা বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করা হয়। মানুষের আয় কিছু বাড়লেই সামাজিক মর্যাদা বাড়ে না।

তাই এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের আয় বাড়ানোর পাশাপাশি সার্বিক মানবিক উন্নয়নের মাধ্যমে তার সামাজিক মর্যাদাকে উন্নীত করা। এতে সার্বিকভাবে ২৯টি সেবা প্রদান করা হয়। যার যেসব সেবা দরকার তাকে সেগুলো দেওয়া হয়। গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, সমৃদ্ধি অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক একটি কার্যক্রম। একে আরও সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন।

এ ছাড়া পিকেএসএফ দারিদ্র্য নিরসন ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। উদ্যোগ উন্নয়নে ব্যাপকভাবে কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পিকেএসএফ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে প্রায় ২১ লাখ অতিক্ষুদ্র উদ্যোগ সৃষ্টি ও উন্নয়নে আর্থিক এবং প্রয়োজনীয় অ-আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ কার্যক্রমের ভালো ভূমিকা রয়েছে।

আরও একটি কর্মসূচির কথা উল্লেখ করতে চাই। পারিবারিক পর্যায়ে সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পিকেএসএফ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপকভাবে কাজ করছে। পিকেএসএফ থেকে যারা ঋণ নিয়েছে, তাদের বেশিরভাগই টেকসইভাবে দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে আসতে সমর্থ হচ্ছে। অনেকেই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসাবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হচ্ছেন।

একজন উদ্যোক্তা কিন্তু হঠাৎ করেই সৃষ্টি হয় না। নানা উত্তরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা গড়ে ওঠেন। তবে সবাই উদ্যোক্তা হতে পারেন না। যাদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাদের সহযোগিতা দিলেই তারা উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে উঠতে পারেন। আমাদের কাজ হচ্ছে উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া।

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি কুটির ও অতিক্ষুদ্র শিল্পকে এসএমই খাতের আওতাভুক্ত করে এ খাতের নতুন নামকরণ করেছে কটেজ, মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (সিএমএসএমই)। এ পরিবর্তনের ফলে অতিক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মালিকদের পক্ষে ব্যাংক ঋণ পাওয়া সহজ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারের মাধ্যমে আগামীতে শিডিউল ব্যাংকগুলোকে তাদের বিতরণকৃত ঋণের অন্তত ২৫ শতাংশ এসএমই খাতে প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। আমি আশা করব, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনার ফলে কুটির এবং অতি ক্ষুদ্র প্রকল্পের উদ্যোক্তারাও ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ পাবেন।

স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজের উদ্যোক্তারা আগে থেকেই ব্যাংক ঋণ পেয়ে আসছেন। সমস্যা দেখা দেয় অতিক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে। কোনো কোনো ব্যাংকের একশ্রেণির কর্মকর্তা আছেন, যারা অতিক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে চান না। বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের তারা ঋণদানের ক্ষেত্রে প্রায়ই অনাগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন।

এটি মোটেও ঠিক নয়। এ ধরনের নেতিবাচক মনোভাব পরিহার করে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদেরও প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আমাদের চিন্তা করতে হবে কীভাবে সিএমএসএমই খাতকে বৃহৎ শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ হিসাবে গড়ে তোলা যায়। জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শিল্পায়নের কোনো বিকল্প নেই। আর সেই শিল্পায়নের ক্ষেত্রে সিএমএসএমই খাতকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। (অনুলিখন : এমএ খালেক)

ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ : অর্থনীতিবিদ; চেয়ারম্যান, পিকেএসএফ

ছোট উদ্যোক্তা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম