Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

গুচ্ছ পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

Icon

মুঈদ রহমান

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গুচ্ছ পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে হওয়া বাঞ্ছনীয় অথবা প্রত্যাশিত, তা এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনার চিন্তাভাবনা বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে দেখা দেয়। সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রকৌশল, কৃষি, মেডিকেলসহ দেশে বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৩। প্রশ্ন উঠেছে, লাখ লাখ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী কোন পদ্ধতির মাধ্যমে সবক’টি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বা মেধা যাচাই করার সুযোগ পাবে? এর উত্তর দেওয়া খুব সহজ নয়। আবার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয়টিও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ একটি গ্রহণযোগ্য পথের সন্ধান করতে থাকেন। এ ভাবনার মধ্যেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলর শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায়কে বাস্তব রূপ দিতে গিয়ে উদ্ভব হয় গুচ্ছ পদ্ধতির। এ পদ্ধতির আলোকে দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্তশাসিত। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত অ্যাক্ট ও স্ট্যাটিউট দ্বারা। সেই স্ট্যাটিউট অনুযায়ী সব শিক্ষা কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নির্ধারণ করবে স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল। বাইরে থেকে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে আইনের পরিপন্থি। তাই গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন। এ তাগিদ থেকেই মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী একাডেমিক কাউন্সিলগুলোর প্রতি অনুমোদনের আহ্বান জানান।

শিক্ষকরা যেহেতু শিক্ষার্থীবান্ধব, তাই তারাও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবের একটা পথ খুঁজছিলেন। তেমন কোনো সঠিক পথের সন্ধান না পাওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসির চিন্তার ফসল হিসাবে সৃষ্ট গুচ্ছ পদ্ধতিতে আপাতত যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশগ্রহণের পক্ষে মত দেয়। এ ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে ভর্তি পরীক্ষার কাজটিতে নেতৃত্ব দেয় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বাদবাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে ছিল কেবল পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে প্রায় ২০টি কেন্দ্রে পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল। পরীক্ষার্থীরা তাদের সুবিধাজনক কেন্দ্র বাছাই করার সুযোগ পেয়েছিল। পরীক্ষার আয়োজন চলছিল বটে, তবে এর সাফল্য নিয়ে বোধকরি অনেকেই সংশয়ের মধ্যে ছিলেন। যা হোক, শেষ পর্যন্ত ২০২১ সালে সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২২টি প্রতিষ্ঠানে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

পরীক্ষার আয়োজনটি ছিল অসাধারণ। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ছোটখাটো ভুলত্রুটি যদিও কিছু থেকে থাকে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। মোদ্দাকথা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলেন। সত্যি কথা বলতে কী, আমিও ভীষণ আশাবাদী হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, যাক, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হ্রাসের একটা উপায় বুঝি বের করা গেল। কিন্তু আমার স্বস্তির স্থায়িত্ব যে এত স্বল্প সময়ের জন্য হবে, তা জেনে নিজেকেই পরিহাস করতে ইচ্ছা করছে। যেসব অভিভাবকের সন্তানরা ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারেনি, তাদের মাঝে তৃপ্তির রেশ এখনো থেকে যাওয়ার কথা। ভোগান্তি ও দুর্ভোগের শুরু হলো ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে। আয়োজকদের মধ্যে ছিল সমন্বয়হীনতা, ছিল না কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা। এরকম একটি জটিল পদ্ধতির সফল প্রয়োগে যতখানি সক্ষমতা ও দক্ষতা থাকার প্রয়োজন ছিল, আয়োজক ও পরিচালনাকারীরা তার ধারেকাছেও যেতে পারেননি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দৌড়ঝাঁপ আগের মতোই রয়ে গেল। আর্থিক দিক থেকেও শিক্ষার্থীদের সাশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যায়নি।

সব মিলে বলা যায়, যে উদ্দেশ্য নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতির ব্যবস্থা করা হয়, কার্যত এর বিপরীত ফল পাওয়া গেছে। তাই অনেকেই আয়োজকদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতির যৌক্তিক সমালোচনায় মুখ খুলতে শুরু করে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং গুটিকয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বদানকারী উপাচার্য এ পদ্ধতি চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অযৌক্তিক অবস্থান নেন। তারা অবশ্য স্বীকার করেন, ভর্তি প্রক্রিয়ায় কিছু জটিলতা ছিল। আগামীতে এমন সমস্যা দূর করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তারা। কিন্তু শিক্ষকরা তাতে ভরসা রাখতে পারেননি। তারা বেরিয়ে আসার পক্ষে মত দিতে থাকেন। তারপরও ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনুরোধ করেন যেন বিষয়টি নিয়ে তারা স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। উপাচার্যরা তা করেছিলেনও। কিন্তু শিক্ষকরা আয়োজকদের প্রতি আস্থা রাখতে পারেননি। এর কারণ হলো, আয়োজকরা সামনের ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত করার কথা বলেছিলেন ঠিকই, তবে কীভাবে তা ত্রুটিমুক্ত করা সম্ভব তার কোনো সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পারেননি। যেহেতু শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সুবিধাকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন, তাই তাদের কল্যাণে যে কোনো আশাব্যঞ্জক প্রতিশ্রুতিতে নমনীয় হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালগুলোর একাডেমিক কাউন্সিল দ্বিতীয়বারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতির পক্ষে মত দেয়। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগের মতো অনুষ্ঠিত হয়। হতাশার কথা হলো, ভর্তি পরীক্ষায় সমস্যা না হলেও ভর্তি প্রক্রিয়ায় আগের বছরের চেয়ে কয়েকগুণ ভোগান্তি বেড়েছে। যে শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এ পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, সেই শিক্ষার্থীরাই ভর্তি হতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে ২০২২ সালের আগস্টে, আর তার ভর্তি প্রক্রিয়া ২০২৩ সালের মার্চেও শেষ হয়নি। এমনকি আসন খালি রেখে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। আসন ফাঁকা রাখার কারণে শিক্ষার্থীরা ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আদালতে রিটও করেছে।

দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস ধরে চলা ভর্তি প্রক্রিয়ায় অনেক শিক্ষার্থী হতাশ। তারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির এ অনিশ্চয়তা দেখে অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বাধ্য হয়। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুচ্ছ পদ্ধতির শিক্ষার্থীরা ৯ মাস পিছিয়ে পড়ে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৬ মাসে একটি সেমিস্টার সম্পন্ন করা হয়। সে হিসাবে তাদের শিক্ষাজীবন থেকে দেড় সেমিস্টার হারিয়ে যায়। আর্থিকভাবেও তারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন পর যদি কারও অধিকতর পছন্দের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়, তাহলে আগের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদানকৃত অর্থ ফেরত পাওয়ার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। সব মিলে একটি অরাজক পরিস্থিতি।

শিক্ষার্থীদের এ অসীম ভোগান্তি কোনো শিক্ষক নীরবে সহ্য করতে পারেন না এবং তা তারা করেনওনি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এককভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যা অত্যন্ত যৌক্তিক। একটি স্বপ্নের করুণ পরিণতির কাহিনি এখানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। গুটিকয় ব্যক্তি নতুন সংকট সৃষ্টির ক্ষেত্র তৈরি করছে, তৈরি করছে বিরোধ।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে আইনগতভাবেই মেনে নেওয়া যেত। তা না করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও গুচ্ছ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী প্রভাবশালীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউটবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। তাদের বক্তব্য হলো, যারা গুচ্ছ পরীক্ষায় একবার অংশগ্রহণ করেছে, তাদের এ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারা বেমালুম ভুলে গেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদনেই তা সম্ভব ছিল। যদি একাডেমিক কাউন্সিল না চায়, তাহলে হবে না-এটাই নিয়মের কথা। আরেকটি বিষয়ের অবতারণা করে শিক্ষকদের উদার মনকে পুঁজি করার চেষ্টা চলছে। সেটি হলো, গুচ্ছ পদ্ধতি হলো মহামান্য রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায়। তাই যদি হয়, তাহলে বলতেই হবে, ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় গত দু’বছর সেই অভিপ্রায়কে সম্মান দিয়েই অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু অভিপ্রায়কে সম্মান দেখিয়ে একটি ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়াবে, তাকে বছরের পর বছর সমর্থন করা যায় না। আর মহামান্য রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায়ের প্রতি সম্মান জানানোর দায় কি ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই? তারা কেন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে? এর জবাবে যা পাওয়া গেল তা সন্তোষজনক নয়। বলা হচ্ছে, উল্লেখিত বিশ্ববিদ্যালয় চারটি ’৭৩-এর অধ্যাদেশের অন্তর্ভুক্ত। আমরা সাধারণ মানুষ। গুনতে জানি না, তবে কম দিলে টের পাই। ’৭৩-এর অধ্যাদেশের সঙ্গে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্যটা প্রশাসনিক, একাডেমিক নয়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিনেট থাকে। সিনেট সদস্যরা নির্বাচনের মাধ্যমে তিনজনের একটি উপাচার্য প্যানেল নির্বাচিত করেন এবং মাননীয় চ্যান্সেলর ওই তিনজনের একজনকে উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। সেখানে সিনেট সদস্যরাও ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। সিনেটরদের একটি অংশকে নির্বাচিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটরা, আরেকটি অংশ নির্বাচিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বারা এবং অন্য একটি অংশ থাকে, যারা সরকারি প্রতিনিধি। সেখানে অনুষদীয় ডিনরাও নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্বে আসেন। ব্যস, পার্থক্য এখানেই। কিন্তু বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রমসহ সবকিছুই সব বিশ্ববিদ্যালয়েই একাডেমিক কাউন্সিল নির্ধারণ করে দেয়। সুতরাং এটি কোনো কার্যকর যুক্তি নয়।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এখনো আমরা উদ্বিগ্ন। কী করে একে যুগোপযোগী করা যায় তা নিয়ে চিন্তিত। সেই কাঙ্ক্ষিত পথে না গিয়ে কায়েমি স্বার্থে নতুন নতুন বিরোধ সৃষ্টি করা কাম্য নয়। তাই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান চাই। সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের যৌক্তিক বক্তব্য হলো, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল যদি গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায়, তাহলে আপত্তির কিছু নেই; একইসঙ্গে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল যদি নিজস্বভাবে পরীক্ষা নিতে চায়, তাহলে বাধা দেওয়ারও সুযোগ নেই। জবরদস্তিমূলক কোনো আচরণ প্রত্যাশিত নয়।

মুঈদ রহমান : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

গুচ্ছ পদ্ধতি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম