Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

দেশপ্রেমের চশমা

এ খেলার পরিণতি দেখার অপেক্ষায় রয়েছে জাতি

Icon

মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এ খেলার পরিণতি দেখার অপেক্ষায় রয়েছে জাতি

বেশ অনেক মাস ধরে রাজনীতিতে ‘খেলা হবে’ কথাটি নেতাদের মুখ থেকে শোনা যাচ্ছিল। মন্ত্রী ও সরকারদলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন ভঙ্গিমায় তার বক্তৃতা-বিবৃতিতে ‘খেলা হবে’, ‘খেলা হবে’ বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং জনগণের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করেছিলেন। জবাবে পরে বিরোধীদলীয় নেতাদের মুখেও এ ‘খেলা হবে’র উচ্চারণ কদাচিৎ শোনা গেছে। এ কারণে কবে খেলা শুরু হবে, কেমন হবে সে খেলা এবং এ খেলার খেলোয়াড় হবেন কারা আর রেফারিই বা হবেন কেমন, এসব নিয়ে জনমনে কৌতূহল গভীর হয়। খেলার কয়টি পর্ব থাকবে, শেষ পর্ব কি ঈদুল আজহার পর, নাকি আরও পরে অনুষ্ঠিত হবে? খেলা কি শান্তিময়, নাকি সাংঘর্ষিক হবে তা নিয়েও লক্ষণ বিবেচনা করে জনগণের চিন্তাশীল অংশ ভাবনায় পড়েছেন।

কয়েক মাসব্যাপী খেলার ওয়ার্মআপ বা প্রস্তুতিপর্ব শেষ হওয়ার পর মাঠের খেলা শুরু হয়েছে। খেলার প্রস্তুতিপর্বে বড় দলগুলোর সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধি, তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করা এবং বিশ্বায়িত সমাজের বড় পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন আদায়ের বিষয়গুলো সীমাবদ্ধ ছিল। আরও ছিল সমমনা দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করে নিজেদের সঙ্গে রেখে শক্তিবৃদ্ধি করা। এ ছাড়া বহির্বিশ্বের সমর্থন আদায়ের খেলায় উভয় বড় দলের লবিস্ট নিয়োগ এবং তাদের কার্যক্রম এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভিন্ন দেশ সফর করে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার মধ্যে কার্যক্রমগুলো সীমাবদ্ধ ছিল। এ খেলার প্রাথমিক পর্ব এখনই যে শুরু হয়েছে তা চোখ-কান খোলা রাখলে অনুধাবন করা যাচ্ছে। খেলা দুই বড় পক্ষ সরকারি দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকে ঘিরে সংঘটিত হচ্ছে। শক্তি এবং কৌশলের দিক দিয়ে সাধারণ পর্যবেক্ষণে মনে হয়, সরকারি দল অনেকটা এগিয়ে। কারণ, এ দলের হাতে রয়েছে দলীয়করণকৃত প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং দলীয় ছাত্র, যুব এবং বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কর্মীরা। তবে অন্য সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারি দল যেভাবে বিদেশিদের সমর্থন পেয়েছিল, এবার এ কাজে দলটি ততটা সমর্থন পাচ্ছে না।

অন্যদিকে বিএনপিকে ঘিরে গড়ে ওঠা মোর্চার দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল অটুট। তাদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টির চেষ্টা সফল হয়নি। ১০ এবং ৩০ দফা আন্দোলন কর্মসূচি দিয়ে দলটি সমমনা দলগুলোকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছে। দলটির প্রতিটি নেতাকর্মী বুঝতে পেরেছেন, নির্দলীয় সরকারাধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে দলীয় সরকারাধীনে নির্বাচনে গেলে তাদের রাজনীতির কবর রচিত হবে। কাজেই সরকারি মামলা-হামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তাদের আন্দোলনে জয়ী হতে হবে। এরা বিশ্বাস করেন, নির্দলীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তাদের বিজয় সুনিশ্চিত। তারা আরও বিশ্বাস করেন, দলীয় সরকারাধীনে নির্বাচন হলে ওই নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না। এ বিষয়টি এরা দেশের অভ্যন্তরে দেশপ্রেমিক জনগণকে এবং দেশের বাইরে বন্ধুপ্রতিম পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলোকে অনুধাবন করাতে সক্ষম হয়েছে। যুক্তির বিচারে এরা এগিয়ে আছেন। বিরোধীরা বলছেন, তাদের আন্দোলন হলো জনগণকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। কারণ, গত দুটি নির্বাচনে অধিকাংশ মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। গত কয়েকটি নির্বাচনে ব্যাপক ইঞ্জিনিয়ারিং হলেও নির্বাচনি দুর্নীতিতে জড়িত একজনেরও শাস্তি হয়নি। ওই দুর্নীতিবাজরা আবারও সংসদ নির্বাচন এলে দুর্নীতি করতে মুখিয়ে রয়েছে। আর নির্বাচন যদি দলীয় সরকারাধীনে হয়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। তারা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারদলীয় প্রার্থীদের পক্ষে সহজেই দুর্নীতি করে নির্বাচনি ফলাফল পক্ষে নিতে পারবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের খেলায় বিদেশিরা প্রকাশ্যভাবে মাঠে নেমেছেন। আগে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ ভারতের একটি প্রভাব থাকত। কিন্তু অন্যসব দেশ বাংলাদেশি সংসদ নির্বাচনে প্রকাশ্যভাবে জড়িত হতো না। কিন্তু এবার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এমনকি জাপান, চীন কোরিয়াসহ সব বড় রাষ্ট্র প্রকাশ্যে বাংলাদেশের নির্বাচনে নাক গলাচ্ছে। এসব দেশ প্রকাশ্যে বলছে, বাংলাদেশকে মুক্ত, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য সংসদ নির্বাচন করতে হবে। গণতান্ত্রিক বিশ্ব এ ব্যাপারে সোচ্চার, সোচ্চার জাতিসংঘ। অন্যদিকে সরকার থেকে অবিরতভাবে বাজানো একই রেকর্ড শুনতে শুনতে জনগণের কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। কী সে রেকর্ডের বক্তব্য? সে রেকর্ডের বক্তব্য হলো, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারি দলের গুণকীর্তন। এ রেকর্ডের বক্তব্যে বলা হয়, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। কেবল আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের অধীনে সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও এ সরকারের অধীনে মুক্ত, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে। এ রেকর্ডের বক্তব্যে সংবিধানকে বড় করে দেখিয়ে সংবিধানের বাইরে না গিয়ে দলীয় সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর জোর দেওয়া হয়।

অন্যদিকে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো জানে, সরকারি প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করে দলীয় সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তা তাদের জন্য হবে রাজনৈতিক আত্মহত্যার শামিল। এজন্য তাদের ১০ বা ৩০ দফায় একটি দাবিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ দাবিটি হলো সরকারের পদত্যাগ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান। এ লক্ষ্যে বিরোধী দলগুলো তাদের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার মধ্য দিয়ে দলীয় সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করে অহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে আসছে। তবে সরকার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও বাধা সৃষ্টি করছে। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হলে বিরোধীদলীয় নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি বাস্তবায়নের যে কোনো বিকল্প নেই, সে বিষয়টি দলটি বিদেশি বন্ধু পরাশক্তিধর গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে অনুধাবন করাতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশগুলো আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে নিজেদের এ প্রক্রিয়ায় প্রকাশ্যভাবে সম্পৃক্ত করেছে। কিন্তু সরকার তাদের কথা গুরুত্বের সঙ্গে আমলে না নিয়ে একাধিকবার দলীয় সরকারাধীনে স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়েও একই প্রক্রিয়ায় সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পরাশক্তিধর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো, বাংলাদেশের বিরোধী দল এবং জনগণ জানে যে, এমন একগুঁয়েমির নির্বাচনে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল অংশগ্রহণ করবে না। ফলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। ক্ষমতাসীন দল পুরোনো ভঙ্গিমায় আবারও একতরফা নির্বাচনে জয়লাভ করে নড়বড়ে সরকার গঠন করবে।

এ নির্বাচনি সমস্যাকে সরকার সংকট হিসাবে বিবেচনা করছে না। উল্লেখ্য, যুদ্ধের ময়দানেও সাদা পতাকা উড়িয়ে প্রতিপক্ষের মধ্যে রক্তপাত এড়াতে আলাপ-আলোচনা ও সন্ধি হওয়ার নজির ইতিহাসে আছে। অথচ, সরকার বিরোধীদলীয় দাবি আমলে নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার কথা বলছে না। পরিবর্তে, সরকারপ্রধান যে বিরোধীপক্ষের সঙ্গে সংলাপে আগ্রহী নন, তা তার বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘সংলাপ কার সঙ্গে করব? যারা আমার মা-বাবাকে হত্যা করেছে, বারবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে-তাদের সঙ্গে? কেউ কি পারবেন মা-বাবার হত্যাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করতে?’ (সমকাল, ১৪.০৩.২০২৩)। এমন মনোভাব নিয়ে যে নির্বাচনি সংকট সমাধান করা যাবে না তা বোধগম্য। সরকার চাইলে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সহজে নির্বাচনি সমস্যার সমাধান করতে পারত। কিন্তু অতীতচারিতা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে গুরুত্ব দিলে সে কাজ করা কঠিন। যখন সরকারপ্রধান তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সম্পর্কে বলেন, ‘যে ভোট চুরিতে এক্সপার্ট, মানুষ খুনে এক্সপার্ট, দুর্নীতিতে এক্সপার্ট, কালোটাকা সাদা করে, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে; সে আবার গণতন্ত্রের মা হয়। এ হলো-বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে তামাশা করা’ (যুগান্তর : ১৫-৩-২০১৮)। অতীতের শত্রুতা, মারামারি ভুলে খোলা মনে আলোচনায় বসলে নির্বাচনি সংকট সমাধান করা অসম্ভব নয়।

বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক আন্দোলন কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে বাধা দেওয়ায় এবং নির্বাচন আসন্ন হওয়ায় বাংলাদেশে স্বচ্ছ নির্বাচনপ্রত্যাশী পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি খেলা শুরু করেছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ সফর করে সরকারের সিদ্ধান্তগ্রহণকারীদের সঙ্গে নির্বাচন প্রসঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। এতে কোনো ফল না হওয়ায় তারা বাংলাদেশের জন্য তাদের নজিরবিহীন নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। এ নীতি অনুযায়ী গণতন্ত্র ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তকারী ব্যক্তি, সংগঠন এবং ওইসব কাজের নির্দেশদাতাদের এবং তাদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের আমেরিকান ভিসা পেতে অসুবিধা হবে। গণতন্ত্রের চর্চা ও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশকে বাধাগ্রস্তকারীরাও এ তালিকাভুক্ত হবেন। সরকারি দল ও বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বেলায় এ নীতি প্রযোজ্য হবে। গত দুটি নির্বাচনের মতো সরকার যেনতেনভাবে একগুঁয়েমির একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার কোনো পরিকল্পনা করলে তা এ নীতির কারণে বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে।

আমেরিকার ভিসানীতির খেলাটি বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা যুগপৎ উপভোগ ও সমর্থন করলেও সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা মনঃকষ্ট নিয়ে সমর্থন করছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচ্য ভিসানীতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা আমাদের যে অঙ্গীকার অনুযায়ী সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন করতে চাই, এটাকেই তারা সমর্থন দিয়েছেন।’ অন্যদিকে অসুস্থ বিএনপি মহাসচিবের ভিসানীতি প্রসঙ্গে প্রদত্ত বিবৃতিতে সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজনের সব প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য এবং একই সঙ্গে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার স্বাধীনতা ও অধিকার চর্চাকে সহিংসভাবে দমনের যে কোনো নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে অবস্থান নিয়েছে, তা বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির সুস্পষ্ট প্রতিধ্বনি হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এ মার্কিন খেলার মর্ম না বোঝার ভান করে দলীয় সরকারাধীনে সাজানো নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে এগোতে থাকলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য এবং সবশেষে জাতিসংঘও খেলার মাঠে নামলে সুধীজনরা অবাক হবেন না। কারণ, সবাই বুঝে গেছেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়টিকে এবার অত্যস্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। কাজেই ওবায়দুল কাদের সাহেবের খেলার প্রথম পর্ব প্রায় শেষ। এ পর্বের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকার নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করে প্রশংসিত হবেন, নাকি নিজেরা ক্ষমতায় থেকে সাজানো প্রশাসন ও পোশাকধারী বাহিনীকে ব্যবহার করে আরেকটি বিজয় নিশ্চিত করা অ-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে আন্তর্জাতিক বিশ্বে একঘরে হবে, তা দেখতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক (এলপিআর), রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

akhtermy@gmail.com

 

জাতি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম