ফেসবুক হোক গঠনমূলক চিন্তার মঞ্চ
সালাহ্উদ্দিন নাগরী
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফেসবুক। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অজস্র মানুষকে একসঙ্গে মুহূর্তের মধ্যে কোনো খবর ও তথ্য জানাতে ফেসবুকের জুড়ি নেই। কেউ পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, ফেসবুক-বন্ধুদের যে কোনো পোস্ট পলকে চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সেজন্যই হয়তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক অনন্য।
মার্ক জুকারবার্গ ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তার কলেজ রুমমেট হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এডুয়ারদো সাভেরিনসহ সামাজিক নেটওয়ার্কিং পরিষেবা ‘দ্য ফেসবুক ডটকম’ উদ্ভাবন করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ওয়েবসাইটটির সদস্যপদ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
পরে সেটা বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ ও স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। ২০০৫ সালে ‘দ্য ফেসবুক ডটকম’ নাম পাল্টে কোম্পানির নাম রাখা হয় ‘ফেসবুক’, এবং ওই বছর এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৫ লাখে উন্নীত হয়।
২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বৈধ ই-মেইল আইডিধারী সর্বোচ্চ ১৩ বছর বয়সী ছাত্রছাত্রীদের ফেসবুকের মেম্বার করা হয়। এখন প্রতিনিয়ত ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে সারা বিশ্বে এ সংখ্যা ২০০ কোটির উপর। ইনস্টাগ্রাম, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটস্ অ্যাপ, ওকুলাস ভিআর ফেসবুকের সহায়ক প্রতিষ্ঠান।
মার্ক জুকারবার্গ যে উদ্দেশ্য নিয়ে ফেসবুক উদ্ভাবন করেছিলেন, তা থেকে আমরা যোজন-যোজন দূরে সরে এসেছি। অনেকে ফেসবুকে এমন সব পোস্ট ও ছবি আপলোড করেন, যা নিয়ে নানা সমালোচনা হচ্ছে। বাসাবাড়ির সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকার ছবি, গাড়িতে ওঠা ও নামার ছবি, খাওয়ার টেবিলে নানা ধরনের খাবারের ছবি ফেসবুকে আপলোড করা হচ্ছে।
কাউকে দাওয়াত করে খাওয়ানো খুব ভালো কথা, এতে সম্প্রীতি বাড়ে, সম্পর্ক প্রতিনিয়ত মজবুত হয়। দাওয়াতকারী ও দাওয়াতির ছবি ফেসবুকে আপলোড হতেই পারে; কিন্তু তাদের কত পদ তৈরি করে খাওয়ানো হল সেটা কি ফেসবুকে দেয়ার কোনো প্রয়োজন থাকতে পারে?
আমার মেহমানকে আমি কী দিয়ে আপ্যায়ন করলাম, তা ঘটা করে সবাইকে জানানোটা কি খুবই জরুরি? এ ধরনের লোকদেখানো মনোবৃত্তি থেকে সরে আসতে হবে। খাওয়ার টেবিলে হরেকরকমের আইটেম, প্রতিদিন নতুন নতুন জামা-কাপড় ও গয়নাগাটির ছবি ফেসবুকে আপলোডে কোনো মাহাত্ম্য নেই।
বিস্তীর্র্ণ জীবনের এই নাট্যমঞ্চে এ জিনিসগুলো খুব বেশি আবেদন তৈরি করতে পারে না। অন্যের জন্য ভালো কিছু করা, অনগ্রসরদের সামনে এগিয়ে নেয়ায় অবদান রাখার মধ্যে জীবনের সার্থকতা নিহিত, এটা ভুলে গেলে চলবে না।
ফেসবুকে বিভিন্ন চিন্তা, চেতনা, সম্পর্ক ও বয়সের মানুষজন একে অন্যের বন্ধু। ১৭-১৮ বছরের একজন তরুণের সমবয়সীদের পাশাপাশি ৮০ বছরের বৃদ্ধও তার বন্ধু। অনেকে ফেসবুক-বন্ধুদের সঙ্গে বয়স ও সম্পর্কের পার্থক্যটি আমলে না নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিচ্ছে, ছবি আপলোড করছে।
এতে একেকজন একেকভাবে সেই পোস্টটি বিবেচনা করছে। ফলে অনেক সময় পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা-স্নেহ-ভালোবাসার জায়গাটি ওলটপালট ও ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে। বাস্তব জীবনের বন্ধুর সঙ্গে যে কথা শেয়ার করা যায়, সেটা তো ভিন্ন প্রজন্মের ফেসবুক-বন্ধুর সঙ্গে করা যায় না।
প্রত্যেকের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনে কিছু না কিছু প্রাইভেসি থাকতেই পারে এবং থাকাটাই স্বাভাবিক। সেগুলোকে জনসম্মুখে নিয়ে আসায় অনেকের ব্যক্তিত্ব গঠনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব, অবিশ্বাস, মনকষাকষি, ভালোবাসা- এ সবকিছুই চিরন্তন এবং সৃষ্টির আদিকাল থেকেই চলে আসছে। এই দ্বন্দ্ব-অবিশ্বাস আরও জটিল ও বহমাত্রিক হচ্ছে ফেসবুকের কারণে। সাধারণত ফেসবুকে ছবি পোস্ট করা, স্ট্যাটাস দেয়া, ওগুলোতে লাইক-কমেন্ট দেয়ার বিষয়গুলো ডেস্কটপ, ল্যাপটপের চেয়ে স্মার্টফোনে বেশি আরামে, শুয়ে-বসে করা হয়।
তাই স্বামী বা স্ত্রীর কাছ থেকে হয়তো কোনো কিছু আড়াল করার জন্য ফোন লক করার প্রবণতা বেড়েছে, তৈরি হচ্ছে দূরত্ব। ফলে অনেকেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছে। সেজন্যই হয়তো কেউ কেউ বলে থাকেন- স্মার্টফোন ছাড়া জীবন অচল, আর ওই স্মার্টফোন যদি স্ত্রীর হাতে পড়ে তাহলে জীবন শেষ!
স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের দিকে রোমান্টিক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ছবি আপলোড করলে, পরস্পরকে নানারকম সম্বোধন করে পোস্ট দিলেই কি ভালোবাসার চূড়ান্ত প্রকাশ হয়ে গেল? আমরা ফেসবুককে বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি ও প্রিয়জনকে ভালোবাসা প্রকাশের প্লাটফর্ম বানিয়ে ফেলেছি।
তাদের প্রতি দায়িত্ব, শ্রদ্ধা-স্নেহ-ভালোবাসা প্রকাশের জায়গা এটা নয়। ভালোবাসা শ্বাশত ও চিরন্তন। এটি দশজনকে জানানোর বিষয় নয়। আমরা ফেসবুককে বড় বেশি কমার্শিয়াল বানিয়ে ফেলেছি।
ফেসবুক আমাদের অনুভূতিহীন জড় পদার্থ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অলসও করে ফেলছে। ঈদ, পূজা, নববর্ষ ও অন্যান্য শুভদিনে কেউ এখন কষ্ট করে জনে জনে আলাদাভাবে উইশ করে না। একটা পোস্ট দিয়ে অযুত বন্ধুকে কাঠখোট্টা অভিবাদন জানানো হচ্ছে। যে ওই পোস্ট দেখে, তার মধ্যে কতটুকু আবেগ, ভক্তি, শ্রদ্ধা আসে জানি না। এই যান্ত্রিকতার অবসান ঘটাতে হবে।
একই ছাদের নিচে একই বাসায় বসবাসকারী স্ত্রী, সন্তান, ভাই-বোনকে জন্মদিন, বিয়ে বার্ষিকী এবং অন্যান্য শুভ দিনে ফেসবুকের মাধ্যমে উইশ করতে হবে কেন? তাদের কি সামনাসামনি মুখ দেখাদেখি বন্ধ? ব্যস্ততার কারণে কি একসঙ্গে বসা হয় না অথবা অন্যকে দেখানোর জন্য ফেসবুকের মতো প্লাটফরমের সহায়তা নেয়া হচ্ছে? বিষয়গুলো ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ভেবে দেখা দরকার।
নাকে-মুখে টিউব লাগানো হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে থাকা অসুস্থ আত্মীয়-স্বজন, কাফনে মোড়ানো মৃতদেহ, কবরে শোয়ানোর ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে মৃত বা অসুস্থ ব্যক্তির কী উপকার হয়? এই পোস্টগুলো ফেসবুক বন্ধুদের কাছে কতটুকু আবেদন নিয়ে আসে সেটা জানা নেই।
যে কোনো কিছু পোস্ট দিয়েই দোয়া চাওয়া অনেকের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনৈক ফেসবুক বন্ধু একটি পোস্ট দিয়েছিলেন- ‘ফেসবুক কোনো তীর্থস্থান নয়, ফেসবুক-বন্ধুরা কোনো পীর-কামেল নয়, ফেসবুক দোয়ার দোকান নয় যে, এখানে সবকিছুর জন্য দোয়া-দাওয়াই চাইবেন।’ এর উত্তরে একজন বলেছেন- ‘এটাই একমাত্র গণস্থান যেখানে দোয়া চাইতে তবারক দেয়া লাগে না।’
ইসলামের দোহাই দিয়ে কিছু বিষয় অহরহ আপলোড করা হচ্ছে, যেমন- আজ জুম্মা-মোবারক, অমুক তারিখ ঈদ, অমুক তারিখ মহররম; যে এই বিষয়টি এতজনকে জানাবে, তার জন্য দোজখের আগুন হারাম! আবার ৬০ ফুট লম্বা একটি কবরের ছবি হযরত আদম (আ.)-এর কবর হিসেবে, বিরাট ঝাঁকড়া একটি গাছের ছবি ‘সাহাবী বৃক্ষ’ নামে প্রায়ই ফেসবুক পেজে আসছে এবং বলা হচ্ছে, যদি ইসলামকে ভালোবাসেন তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন, লাইক দিন নতুবা আপনার ক্ষতি হয়ে যাবে। রেফারেন্সহীন এসব পোস্ট দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছে। এগুলো থেকে সরে আসতে হবে।
এখনকার যুগে মোবাইল ফোন মানেই স্মার্টফোন, আর সেটাতে মোবাইল-ডাটা নিলেই ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকসহ পুরো বিশ্ব হাতের মুঠোয়। স্মার্টফোনের অন্যতম আকর্ষণ হল ফেসবুক চালানোর সক্ষমতা। তাই স্মার্টফোন আর ফেসবুক আমাদের জনগোষ্ঠীর বিরাট অংশের কাছে সমার্থক হয়ে গেছে।
স্মার্টফোন আমাদের নিত্যসঙ্গী। বসে থাকলে পাশে, চলাফেরার সময় হাতে বা পকেটে, ঘুমানোর সময় মাথার পাশে- এভাবে স্মার্টফোনের সঙ্গে আমাদের সন্ধি। এর মাশুল দিতে হচ্ছে অনেক চড়ামূল্যে। মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান, ভাই-বোন কেউ কাউকে সময় দিতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার সময় স্মার্টফোনে সময় নষ্ট করছে।
অকারণে ফেসবুক স্ক্রল করে মূল্যবান সময় ব্যয়ের জন্যই হয়তো অধিকাংশ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মকালীন ফেসবুকিং কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মজলিস, সভা-সমিতিতে আমন্ত্রিতরা স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত, পাশেরজনের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময় কোথায়! ফলে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
ফেসবুক চালানোর অন্যতম ডিভাইস স্মার্টফোন সব দিক দিয়ে আমাদের অসুস্থ করে তুলছে। এই ফোনের অতিমাত্রায় স্ক্রিন অ্যাকটিভিটি বড়দের চেয়ে শিশুদের চোখের বেশি ক্ষতি করছে। শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে মায়োপিয়া রোগে। মায়োপিয়ায় আক্রান্তদের দৃষ্টি চশমা দিয়েও শতভাগ ফেরানো যায় না। তাই অন্তত ৬ ফুট দূর থেকে টিভি এবং ৩০ সেন্টিমিটার দূর থেকে মোবাইল ফোন, ট্যাব দেখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
মোবাইল থেকে বের হওয়া রশ্মি টিউমার, ক্যান্সার, বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। শ্রবণশক্তি ধীরে ধীরে কমতে কমতে একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। বেশিক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে রাতে ওষুধ খেয়েও ঘুম আসতে চায় না। ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় এবং ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পারাপার, গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে ঘর-গৃহস্থালির বহুবিধ কাজ করা হয়। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশেও ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিটিআরসি নভেম্বর, ২০১৭-এর রিপোর্ট মতে, ৭৪ মিলিয়নের উপরে ইন্টারনেট ব্যবহাকারীর অধিকাংশই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা ফেসবুকে ব্যয় করে।
আমাদের দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৫-৩০ মিলিয়ন। ফেসবুক ব্যবহারকারী অর্ধিকাংশের বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের উল্লেখযোগ্য অংশ স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফেসবুক আইডি পরিচালনা করছে। ইন্টারনেট প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ প্রদত্ত তথ্যমতে, ফেসবুক ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট গ্রাহকরা গড়ে ৩০০-৪০০ টাকা প্রতি মাসে বরাদ্দ রাখে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে : স্মার্টফোন, স্মার্ট ওয়াচ, ট্যাবলেট বা অন্য যে ডিভাইসগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়, স্কুলে সেসব ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ফ্রান্স। ৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আরও মনযোগী করতেই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অনেকেই ফেসবুক আসক্তি থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছে।
যে কোনো আসক্তিই ক্ষতিকর। ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে কোনো কিছুই বিষ।’ ফেসবুককে বিষে পরিণত হতে দেয়া যাবে না। মানুষ যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত থাকে, তখন প্রয়োজনীয় কাজ করার সময় পায় না। কিন্তু যারা ফেসবুক আসক্তি থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছে, তারা লেখাপড়া, সাংসারিক, দাফতরিক কাজকর্ম- সবকিছুতেই পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে।
আমরা যতক্ষণ ফেসবুকে থাকব, ততক্ষণ যেন এর মাধ্যমে ভালো কিছু করতে পারি, সেই চিন্তা থাকতে হবে। ফেসবুককে সমাজ সংস্কার ও উন্নয়নের হাতিয়ারে পরিণত করতে হবে। ফেসবুকের মাধ্যমে সমাজে অত্যাচার, অনাচার ও অশুভ যা কিছু আছে, তা থেকে সরে আসার আহ্বান জানাতে হবে।
ফেসবুককে জ্ঞান আহরণ, পরিচ্ছন্ন বিনোদন, নির্ভেজাল ভালোবাসার মঞ্চ বানাতে হবে। মানুষের শুভ ইচ্ছা, সৎ চিন্তা ও মহৎ কাজগুলোকে আরও রাঙিয়ে তোলার ক্যানভাসে পরিণত হোক ফেসবুক।
সালাহ্উদ্দিন নাগরী : সরকারি চাকরিজীবী
snagari2012@gmail.com
