কমলনাথ ছেড়ে কমল ধরলেন কংগ্রেস নেতা
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের হাত ছেড়ে কমল ধরলেন কংগ্রেস নেতা। মঙ্গলবার কংগ্রেসের ‘হাত’ ছেড়ে বুধবারই বিজেপির ‘পদ্মে’ যোগ দিলেন ভারতের প্রধান বিরোধী দলের দুই দশকের সঙ্গী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ঠিক হয়েছিল বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দেবেন তিনি। কিন্তু কংগ্রেস যেভাবে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছিল তাতে পরিস্থিতি পাল্টাতে পারত। এই আশঙ্কা থেকেই বুধবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো হল কংগ্রেস ত্যাগ করে আসা শীর্ষ নেতা সিন্ধিয়াকে। এদিন প্রথমে ঠিক হয় দুপুর সাড়ে ১২টায় যোগ দেবেন তিনি। তারপরই জানানো হয় দুপুর ২টায় যোগ দেবেন। কিন্তু দেখা গেল ঘড়িতে ঠিক ৩ টার সময় বিজেপির সদর দফতরে প্রবেশ করেন সিন্ধিয়া। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
তারপর বিজেপি সভাপতির হাত থেকে পতাকা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেন বিজেপিতে। এরপরই রাহুল গান্ধি তথা কংগ্রেস নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ‘আমার লক্ষ্য মানুষের সেবা করা। রাজনীতি কেবল সেটা পূর্ণ করার মাধ্যম। আমি দেশের সেবা করার চেষ্টা করেছিলাম কংগ্রেসের মাধ্যমে। কিন্তু খুব দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে আজ জনসেবা ওই সংগঠনের থেকে হচ্ছিল না। এখন যে কংগ্রেস রয়েছে তা আগের কংগ্রেস নয়। বাস্তব থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে চলা শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশে সরকার গঠনে লড়াই করেছিলাম। তখন বলা হয়েছিল কৃষকদের ঋণ মওকুফ করা হবে। ১৮ মাসে তা হয়নি। কৃষক, নতুন প্রজন্মের কর্মসংস্থান হয়নি। প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ মধ্যপ্রদেশ সরকার। বরং দুর্নীতির আখড়া তৈরি হয়েছে। ফলে আমার সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি দল ছাড়ার। সত্যের পথ নিলেই তাকে টার্গেট করা হচ্ছে। আমি ভাগ্যবান যে মোদিজি, নাড্ডাজি আমাকে জনসেবা করার সুযোগ দিচ্ছেন।’ আর সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি। এদিকে সিন্ধিয়া-দোসর ২১ জন কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফাপত্র বাতিল করলেন বিধানসভার স্পিকার এনপি প্রজাপতি। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তার সামনে হাজির হয়েই ইস্তফা দিতে হবে বিধায়কদের। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এনপি প্রজাপতি বলেন, ‘আমি যা করি আইন মেনেই করব।
