পরিবেশের ওপর আগ্রাসন জুলুমই মহামারীর কারণ
মার্কিন জীববিজ্ঞানীর মন্তব্য
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পরিবেশ ও প্রকৃতির ওপর নজিরবিহীন আগ্রাসন ও জুলুমই করোনা মহামারীর কারণ। আরেকটি মহামারী থামাতে তাই প্রকৃতির প্রতি সম্মান দেখানো ও এর প্রতি মানুষকে যত্নবান হতে হবে। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর তাণ্ডবের পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় জীববিজ্ঞানী টমাস লাভজয়। অনেকেই মনে করেন, করোনাভাইরাস প্রকৃতির প্রতিশোধ। তবে লাভজয় তা মেনে নিতে রাজি নয়। তিনি বলছেন, এটা প্রকৃতির প্রতিশোধ নয়, এটা আমাদেরই কৃতকর্মের ফল। আমরাই করোনার মতো এই মহামারী সৃষ্টি করেছি। পরিবেশ ও প্রকৃতির ওপর অত্যাচারের ফলে এ বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বন্যপ্রাণীর বিশাল অবৈধ বাণিজ্য ও মানুষের প্রকৃতিতে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপকে করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য দায়ী করেছেন জীববিজ্ঞানী লাভজয়। ভাইরাসটির উৎস হিসেবে চীনের দিকেই ইঙ্গিত করছেন অনেকেই। দেশটিতে বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য ও এর বিশাল বাজার রয়েছে। এমন কোনো বন্যপ্রাণী নেই যা এখানকার বাজারে পাওয়া যায় না। প্রাকৃতিক বিশ্বে মানুষের নিয়মনীতি লঙ্ঘনের ফলে প্রতি বছর দুই থেকে চারটি নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। টমাস লাভজয়ের মতে, এর মধ্যে যে কোনো একটি মহামারীতে পরিণত হতে পারে। এ জন্য বণ্যপ্রাণীর বাজার, দক্ষিণ এশিয়ার ওয়েট মার্কেট, আফ্রিকার বুশ মিট মার্কেটগুলোর দিকে ইঙ্গিত করেন ইউনাইটেড নেশনস ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো এবং জর্জ ম্যাসন ইউনিভার্সিটির পরিবেশবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক। উহানের ওয়েট মার্কেটকে নভেল করোনাভাইরাসের উৎস হিসেবে ধরা হচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন পশু যেমন শেয়াল, ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, স্যালামান্ডার পর্যন্ত বিক্রি হয়। লাভজয় মনে করেন, বণ্যপ্রাণী থেকে গৃহপালিত প্রাণী বা ফার্মের প্রাণী আলাদা করা গেলে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। এ খেলাটির নাম নির্দিষ্ট কার্যকলাপ কমিয়ে দেয়া, যাতে এ ধরনের রোগের বিস্তার না ঘটে। এ ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হচ্ছে, এটি বন্ধ করে দিতে গেলে তা কালোবাজারে চলে যেতে পারে; তখন তা নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন হয়ে যাবে।
