Logo
Logo
×

দশ দিগন্ত

সরকারি কর্মচারীদের ব্যক্তিগত কাজে লাগাতেন পম্পেও

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সরকারি কর্মচারীদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করিয়ে নিতেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি কর্মচারীদের দিয়ে কুকুরকে হাঁটাতে নিয়ে যাওয়া, লন্ড্রিতে কাপড় ওয়াশ করতে দেয়া এবং পম্পেও ও তার স্ত্রীর জন্য নৈশভোজের খাবার পরিবেশন করার মতো ব্যক্তিগত সব কাজ করিয়ে নিতেন। এসব তদন্তের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল স্টিভ লিনিক। তবে হঠাৎ করেই শুক্রবার তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দুটি আলাদা কংগ্রেশনাল কমিটির দু’জন সদস্য এনবিসি নিউজকে এসব তথ্য দিয়েছেন। শুধু এসব ব্যক্তিগত বিষয়েই নয়, পম্পেও’র বিরুদ্ধে আর কোনো তদন্ত চলমান ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে মার্কিন কংগ্রেসের দুটি কমিটি। কি কারণে হুট করে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইন্সপেক্টর জেনারেলকে বহিষ্কার করা হলে সে বিষয়ে তদন্ত করছে মার্কিন কংগ্রেস। কূটনীতিক মহলে কানাঘোষা হচ্ছে, তাকে ব্যক্তিগত কারণে সরিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রোববার হোয়াইট হাউসের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, পম্পেও’র সরাসরি সুপারিশেই সরিয়ে দেয়া হয়েছে স্টিভ লিনিককে। তাকে অপসারণের সুপারিশে সম্মতি দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একেবারেই দেরি করেননি। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি স্টেট ডিপার্টমেন্ট। ডেমোক্রেটিক নেতা ও প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির প্রধান এলিয়ট অ্যাঞ্জেল এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন, পম্পেওর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত শুরু করেছিলেন লিনিক। এ পরিস্থিতিতে তাকে বরখাস্ত করার বিষয়টি জোরালোভাবে ইঙ্গিত দেয়, এটা প্রতিশোধমূলক বেআইনি কাজ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ডেমোক্র্যাট জানিয়েছেন, পম্পেওর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তদন্ত করছিলেন লিনিক। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, সংবিধান ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের জন্য স্টিভ লিনিককে শায়েস্তা করা হল।

ডেমোক্রেট সিনেটর চাক গ্লাসলি বলেছেন, সবচেয়ে কাছের কর্মকর্তাকে রক্ষা করতে এটা প্রেসিডেন্টের একটি বিদ্বেষমূলক কাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, মাইক পম্পেও তার দফতরের কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন এবং তাদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। পম্পেওর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়েই তদন্ত করছিলেন লিনিক।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় নিয়োগ পেয়েছিলেন লিনিক। পররাষ্ট্র দফতরের অব্যবস্থাপনা তদারকির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ট্রাম্প তার শাসনামলে এর আগে আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে হুট করে বহিষ্কার করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন রেইন্স প্রিবাস, জন এফ কেলি, মিক মুলভ্যানি, টিম মরিসন প্রমুখ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম