আদালতেও পুলিশ-পিটিআই সংঘর্ষ
ইমরান খানের গ্রেফতার পরোয়ানা প্রত্যাহার * লাহোরের বাসভবনে পুলিশের ‘তাণ্ডব’
যুগান্তর ডেস্ক
১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতার ঠেকাতে গত কয়েক দিন ধরেই পুলিশ-সমর্থকদের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের রাজনীতি। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ইমরান খানের লাহোরের জামান পার্কের বাসভবন। এবার সে আগুন ছড়াল ইসলামাবাদের আদালতেও। শনিবার আদালত চত্বরেই পুলিশের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। ইট-পাথর ছুড়ে ভেঙে ফেলে আদালতের জানালা। কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশও। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই শেষ হয় ইমরান খানের ‘গ্রেফতার নাটক’। তোষাখানা মামলায় (সন্ধ্যা ৭টার দিকে) ইমরান খানের গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার আদেশ দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জাফর ইকবাল। পরবর্তী শুনানি ৩০ মার্চ। খবর ডন, জিও টিভির।
রায়ের পরপরই পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। হাজিরা খাতায় সই দিয়ে আদালত চত্বর থেকে এখন চলে যাচ্ছেন ইমরান খান।
বিরাট বহর নিয়ে আদালতের সামনে আসতেই নিরাপত্তার স্বার্থে সমর্থকদের আটকে দেয় পুলিশ। মুহূর্তে পালটে যায় দৃশ্য। শুরু হয় পুলিশ-পিটিআই সমর্থকদের সংঘর্ষ। এক পর্যায়ে আদালতের জানালায় ইট-পাটকেল ছোড়ে সমর্থকরা। টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশও। এজলাসের বন্ধ দরজায় গিয়েও পড়ে কয়েকটি টিয়ার শেল। ভেতরে তখন বিচারক জাফর ইকবালের সঙ্গে ইমরান খানের গ্রেফতার ইস্যুতেই বাহাস করছিলেন পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের উকিল। বিচারক সে সময় বলেন, এমন পরিস্থিতিতে শুনানি আসলে সম্ভব নয়। এক কর্মীকে বলেন, আদালত চত্বরে থাকা ইমরান খানের কাছ থেকে হাজিরা সই নিয়ে তাকে চলে যেতে । তোষাখানা মামলার শুনানিতে অংশ নিতে শনিবার জামান পার্কের বাসভবন থেকে বের হতেই সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় বাসভবন থেকে ইমরান খানের গাড়ির বহর বেরিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই পাঞ্জাব পুলিশ তার জামান পার্কের বাসভবনে ঢুকে পড়ে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ৩০ জন দলীয় কর্মীকে গ্রেফতার করে। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, পাঞ্জাব পুলিশ প্রধান দরজা ভেঙে জামান পার্কের বাসভবনে ঢোকে এবং সেখান থেকে পিটিআই কর্মীদের ধরে নিয়ে যায়। পুলিশ দাবি করেছে, বাসভবনের ভেতরে থাকা কর্মীরা তাদের ওপর পেট্রলবোমা ও গুলি ছুড়েছে। এ সময় পুলিশের কয়েকজন কর্মীও আহত হয়েছেন বলে জানান তারা। এ ছাড়া অভিযানের সময় ককটেল তৈরি করতে ব্যবহৃত উপাদানও উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। ইসলামাবাদের পথে থাকা ইমরান খান গাড়িতে বসেই পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। টুইট বার্তায় বলেছেন, জামান পার্কের বাসভবনে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। সেই সময় বুশরা বেগম (পত্নী) একাই ছিলেন। ইমরান খান এ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, কোন আইনে তারা এটা করছে? পাঞ্জাবের তথ্যমন্ত্রী আমির মীর বলেছেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের পর বাধ্য হয়েই অভিযান শুরু করে পুলিশ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আদালতেও পুলিশ-পিটিআই সংঘর্ষ
ইমরান খানের গ্রেফতার পরোয়ানা প্রত্যাহার * লাহোরের বাসভবনে পুলিশের ‘তাণ্ডব’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতার ঠেকাতে গত কয়েক দিন ধরেই পুলিশ-সমর্থকদের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের রাজনীতি। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ইমরান খানের লাহোরের জামান পার্কের বাসভবন। এবার সে আগুন ছড়াল ইসলামাবাদের আদালতেও। শনিবার আদালত চত্বরেই পুলিশের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। ইট-পাথর ছুড়ে ভেঙে ফেলে আদালতের জানালা। কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশও। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই শেষ হয় ইমরান খানের ‘গ্রেফতার নাটক’। তোষাখানা মামলায় (সন্ধ্যা ৭টার দিকে) ইমরান খানের গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার আদেশ দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জাফর ইকবাল। পরবর্তী শুনানি ৩০ মার্চ। খবর ডন, জিও টিভির।
রায়ের পরপরই পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। হাজিরা খাতায় সই দিয়ে আদালত চত্বর থেকে এখন চলে যাচ্ছেন ইমরান খান।
বিরাট বহর নিয়ে আদালতের সামনে আসতেই নিরাপত্তার স্বার্থে সমর্থকদের আটকে দেয় পুলিশ। মুহূর্তে পালটে যায় দৃশ্য। শুরু হয় পুলিশ-পিটিআই সমর্থকদের সংঘর্ষ। এক পর্যায়ে আদালতের জানালায় ইট-পাটকেল ছোড়ে সমর্থকরা। টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশও। এজলাসের বন্ধ দরজায় গিয়েও পড়ে কয়েকটি টিয়ার শেল। ভেতরে তখন বিচারক জাফর ইকবালের সঙ্গে ইমরান খানের গ্রেফতার ইস্যুতেই বাহাস করছিলেন পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের উকিল। বিচারক সে সময় বলেন, এমন পরিস্থিতিতে শুনানি আসলে সম্ভব নয়। এক কর্মীকে বলেন, আদালত চত্বরে থাকা ইমরান খানের কাছ থেকে হাজিরা সই নিয়ে তাকে চলে যেতে । তোষাখানা মামলার শুনানিতে অংশ নিতে শনিবার জামান পার্কের বাসভবন থেকে বের হতেই সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় বাসভবন থেকে ইমরান খানের গাড়ির বহর বেরিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই পাঞ্জাব পুলিশ তার জামান পার্কের বাসভবনে ঢুকে পড়ে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ৩০ জন দলীয় কর্মীকে গ্রেফতার করে। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, পাঞ্জাব পুলিশ প্রধান দরজা ভেঙে জামান পার্কের বাসভবনে ঢোকে এবং সেখান থেকে পিটিআই কর্মীদের ধরে নিয়ে যায়। পুলিশ দাবি করেছে, বাসভবনের ভেতরে থাকা কর্মীরা তাদের ওপর পেট্রলবোমা ও গুলি ছুড়েছে। এ সময় পুলিশের কয়েকজন কর্মীও আহত হয়েছেন বলে জানান তারা। এ ছাড়া অভিযানের সময় ককটেল তৈরি করতে ব্যবহৃত উপাদানও উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। ইসলামাবাদের পথে থাকা ইমরান খান গাড়িতে বসেই পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। টুইট বার্তায় বলেছেন, জামান পার্কের বাসভবনে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। সেই সময় বুশরা বেগম (পত্নী) একাই ছিলেন। ইমরান খান এ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, কোন আইনে তারা এটা করছে? পাঞ্জাবের তথ্যমন্ত্রী আমির মীর বলেছেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের পর বাধ্য হয়েই অভিযান শুরু করে পুলিশ।