Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা

বিজ্ঞান * ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

বিজ্ঞান

Icon

আফরোজা বেগম

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা

অধ্যায়-২

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

প্রশ্ন : পরিবেশ দূষণ বলতে কী বোঝ?

উত্তর : পরিবেশ দূষণ : বেঁচে থাকার জন্য আমরা পরিবেশকে নানাভাবে ব্যবহার করি। ফলে পরিবেশে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। এ পরিবর্তন যখন জীবের জন্য ক্ষতিকর হয়, তখন তাকে পরিবশে দূষণ বোঝায়। বিভিন্ন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে মিশলে পরিবেশ দূষিত হয়।

প্রশ্ন : বায়ু দূষণের ফলে কী হয়?

উত্তর : বায়ু দূষণ :

* যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা এবং মলমূত্র ত্যাগের ফলে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ায়।

* বায়ু দূষণের ফলে পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।

* পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

* এসিড বৃষ্টি হচ্ছে।

* দূষিত বায়ু মানুষের শ্বাসকার্যে ব্যাঘাত ঘটায় এবং দেহে নানা রোগ সৃষ্টি করে। দূষিত বায়ুর কারণে মানবদেহে অ্যালার্জি, কাশি, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথা, ফুসফুসে ক্যান্সার ইত্যাদি মারাত্মক রোগ হতে পারে।

মোট কথা বায়ু দূষণ বাড়তে থাকলে সে স্থানটি মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাই বায়ু দূষণের ফলে মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়।

প্রশ্ন : পরিবেশ দূষণগুলো কী কী?

উত্তর : পরিবেশ দূষণ নিুরূপ-

* বায়ু দূষণ

* পানি দূষণ

* মাটি দূষণ

* শব্দ দূষণ ইত্যাদি

প্রশ্ন : পরিবেশ দূষণের উৎসগুলো কী?

উত্তর : পরিবেশ দূষণের উৎস নিচে দেয়া হল-

* পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হল শিল্পায়ন। শিল্প কারখানা সচল রাখতে বিভিন্ন ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন- তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। এ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারই দূষণের প্রধান কারণ।

* জনসংখ্যা বৃদ্ধি দূষণের আরও একটি বড় কারণ। প্রয়োজনীয় খাদ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য মানুষ পরিবেশ ধ্বংস করছে।

* পরিবেশের বেশিরভাগ দূষণ মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড আর অসচেতনতার কারণেই হচ্ছে।

সুতরাং, পরিবেশের নানা উপাদানের দূষণই পরিবেশ দূষণের প্রধান উৎস।

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

মো. ফোরকান আহমেদ

সহকারী শিক্ষক,

মুনলাইট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ

২য় অধ্যায় : ইবাদত

[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]

প্রশ্ন : ইবাদত কাকে বলে?

উত্তর : ইবাদত আরবি শব্দ। ইবাদত মানে আল্লাহর হুকুম পালন করা। আল্লাহ যা আদেশ করেছেন তা করা, আর যা নিষেধ করেছেন তা না করাই হল ইবাদত। আমাদের কাজ হল তাঁর হুকুম মানা, তাঁর ইবাদত-বন্দেগি করা।

প্রশ্ন : আল্লাহ আমাদের কেন সৃষ্টি করেছেন?

উত্তর : আল্লাহ আমাদের শুধু তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আমাদের কাজ হল তাঁর হুকুম মানা, তাঁর ইবাদত-বন্দেগি করা। আমরা তাঁর বান্দা। আল্লাহতায়ালা আমাদের একমাত্র মাবুদ। বান্দা তার মাবুদের সন্তুষ্টির জন্য যা কিছু করে সবই ইবাদত। ইবাদত করলে আল্লাহতায়ালা বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন। দুনিয়ায় তাকে সুখ ও শান্তি দেন। আর আখিরাতে দান করবেন অনন্ত সুখ ও শান্তি। আর ইবাদত না করলে তিনি বান্দার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। তাকে আখিরাতে দেবেন কষ্টদায়ক আজাব। কাজেই নিজেদের সুখ ও শান্তির জন্যই আমাদের কর্তব্য হল আল্লাহর ইবাদত করা।

প্রশ্ন : ইসলামের রুকন কয়টি ও কী কী?

উত্তর : ইসলামের রুকন পাঁচটি। রুকন মানে খুঁটি। পাঁচটি রুকন হল-

১. ইমান, ২. সালাত, ৩. জাকাত, ৪. হজ ও ৫. সাওম।

প্রশ্ন : পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নাম লিখ।

উত্তর : সালাত আরবি শব্দ। সালাতকে ফারসি ভাষায় নামাজ বলা হয়। সালাত সবচেয়ে বড় ইবাদত। এর গুরুত্ব এবং ফজিলতও সবচেয়ে বেশি। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নাম হল-

ক. ফজর, খ. জোহর, গ. আসর, ঘ. মাগরিব ও ঙ. এশা।

প্রশ্ন : সালাতের নিষিদ্ধ সময়গুলো কী কী?

উত্তর : যে সময়ে সালাত আদায় করা যায় না, তাকে সালাতের নিষিদ্ধ সময় বলে। রাসূল (সা.) তিন সময়ে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। সালাতের নিষিদ্ধ সময়গুলো হল-

ক. ঠিক সূর্যোদয়ের সময়,

খ. ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় এবং

গ. ঠিক সূর্যাস্তের সময়।

প্রশ্ন : মুসাফির কাকে বলে?

উত্তর : মুসাফির আরবি শব্দ। এর অর্থ- সফরকারী বা ভ্রমণকারী। কোনো ব্যক্তি তিন দিনের রাস্তা বা কমপক্ষে ৪৮ মাইল দূরে গমনের নিয়ত করে বাড়ি থেকে বের হলে তাকে মুসাফির বলে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম