Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা

বাংলা * বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

বাংলা

Icon

সবুজ চৌধুরী

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সহকারী শিক্ষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোহাম্মদপুর, ঢাকা

স্মরণীয় যারা চিরদিন

[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]

১। বিপরীত শব্দ লেখ।

সাধারণ - অসাধারণ সম্পূর্ণ - আংশিক

মুক্ত - বদ্ধ সশস্ত্র - অস্ত্রহীন

অবরুদ্ধ - অবমুক্ত কর্মকর্তা - কর্মচারী

নারী - পুরুষ স্বাধীনতা - পরাধীনতা

উন্নত - অবনত শির - পদ

কৃতজ্ঞ - অকৃতজ্ঞ মহান - ক্ষুদ্র

নিরস্ত্র - সশস্ত্র ঘুমন্ত - জাগৃত

আবাসিক - বিরান বিরামহীন - বিরাম

পরবর্তী - পূর্ববর্তী পরিকল্পনা - অপরিকল্পনা

মেধাবী - নির্বোধ আলোকিত - অন্ধকারাচ্ছন্ন

বরেণ্য - ঘৃণিত কার্যকর - অকার্যকর

পাষণ্ড - মানবিক সহযোগিতা - অসহযোগিতা

প্রচণ্ড - সামান্য খ্যাতিমান - অখ্যাত

শিক্ষক - ছাত্র নিরহংকার - অহংকার

লেখক - পাঠক প্রখ্যাত - বিখ্যাত

মঙ্গল - অমঙ্গল কল্যাণ - অকল্যাণ

দানবীর - কৃপণ স্মরণ - বিস্মৃত

অবধারিত - অনিশ্চিত ধ্বংস - সৃষ্টি

অপূরণীয় - পূরণীয় ক্ষতি - লাভ

বুদ্ধিজীবী - শ্রমজীবী শ্রেষ্ঠ - নিকৃষ্ট

২। সমার্থক শব্দ লেখ/ শব্দার্থ লেখ।

ঋণ - দেনা অনুসরণ - মান্য

ব্যর্থ - বিফল শ্রেষ্ঠ - সেরা

বধ্যভূমি - কবরস্থান স্বাধীন - মুক্ত

শত্র“ - অরি যশস্বী - খ্যাতিমান

মনস্বী - মননশীল গুরুত্বপূর্ণ - প্রয়োজনীয়

পুরোপুরি - সম্পূর্ণ বিজয় - জয়

মরণপণ - মৃত্যু-প্রতিজ্ঞা যুদ্ধ - সংঘর্ষ

সাহসী - নির্ভীক মুক্তিযোদ্ধা - মুক্তিসেনা

সাধারণ - নগণ্য মুক্ত - স্বাধীন

অবরুদ্ধ - আটক নারী - অবলা

স্বাধীনতা - মুক্তি শির - মস্তক

মহান - মহৎ নিরস্ত্র - অস্ত্রহীন

আবাসিক - বসতি বিরামহীন - অবিরাম

মেধাবী - বুদ্ধিমান বরেণ্য - প্রশংসিত

কার্যকর - ক্রিয়াশীল পাষণ্ড - পাশবিক

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

আফরোজা বেগম

সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা

ব্রিটিশ শাসন

প্রশ্ন : ব্রিটিশ শাসনের দুটি খারাপ দিক উল্লেখ কর।

উত্তর : ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবের পর থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ৯০ বছর পর্যন্ত ভারতের শাসনভার ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মহারাণী ভিক্টোরিয়া স্বাধীনভাবে ভারতবর্ষ শাসন করে। এ শাসন আমলই ব্রিটিশ শাসন নামে ইতিহাসখ্যাত।

নিচে ব্রিটিশ শাসনের দুটি খারাপ দিক উল্লেখ করা হল-

খারাপ দিক : * ‘ভাগ কর শাসন কর’ নীতির ফলে এ দেশের মানুষের মধ্যে ধর্ম, বর্ণ, জাতি এবং অঞ্চলভেদে বিভেদ সৃষ্টি হয়। অল্পসংখ্যক জমিদার শ্রেণি অনেক জমির মালিক হন এবং বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ গরিব হয়ে যান।

* অনেক কারিগর বেকার ও অনেক কৃষক গরিব হয়ে যায় এবং বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ বাংলা ১১৭৬ সালে (ইংরেজি ১৭৭০) হয়েছিল যা ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ নামে পরিচিত।

সুতরাং, ব্রিটিশ শাসন আমলের শোষণনীতিই ভারতবর্ষের ঐতিহ্যকে ম্লান করেছে আর আমাদের শিখিয়েছে দাসত্ব।

প্রশ্ন : ৩. বাংলার নবজাগরণে কারা অবদান রেখেছেন?

উত্তর : আধুনিক ও ইংরেজি শিক্ষার ফলে এ দেশে উনিশ শতকের শেষের দিকে ক্রমে একটা ইংরেজি শিক্ষিত শ্রেণি গড়ে ওঠে। এদের একাংশের মধ্যে নতুন চেতনার বিকাশ ঘটতে থাকে। এরা নিজেদের সমাজে বহুকাল ধরে প্রচলিত নানা কুসংস্কার, কুপ্রথা সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠেন। আর নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে উনিশ শতকে বাংলায় ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের পর নবজাগরণ ঘটে।

বাংলার নবজাগরণে নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা অবদান রেখেছেন।

* রাজা রাম মোহন রায়-সমাজ সংস্কারক

* ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-সমাজ সংস্কারক

* স্যার সৈয়দ আহমদ খান-সমাজ সংস্কারক শিক্ষক ও প্রসারক

* নবাব আব্দুল লতিফ * সৈয়দ আমীর আলী -সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষা প্রসারক

* বেগম রোকেয়া-নারী শিক্ষার অগ্রদূত

* নবাব ফয়জুন্নেসা-নারী শিক্ষা ও চিকিৎসার প্রসারক ও সমাজ সংস্কারক

সুতরাং, নবজাগরণের মাধ্যমে সামাজিক সংস্কার, শিক্ষা, সাহিত্য ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যাপক প্রসার উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গের অসামান্য অবদান আমরা চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করব ও তাদের অবদান অনুসরণ করব।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম