পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা
প্রাথমিক বিজ্ঞান
আফরোজা বেগম
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ উত্তরা, ঢাকা
সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্য
[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]
প্রশ্ন : খাদ্য সংরক্ষণের তিনটি উপায় বর্ণনা কর।
উত্তর : বৈজ্ঞানিক উপায়ে বিভিন্নভাবে খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়। যেমন :
* চাল, ডাল, গম, ইত্যাদি রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। * মাছ, মাংস, সবজি, ফল ইত্যাদি ফ্রিজের ঠাণ্ডায় বেশ কিছু দিন ভালো থাকে। এ ছাড়াও হিমাগারে শাকসবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি সংরক্ষণ করে বছরের বিভিন্ন সময় বাজারে সরবরাহ করা হয়।
* ফল থেকে তৈরি জ্যাম, জেলি, আচার ইত্যাদি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়। চিনি, সিরকা বা তেল দিয়ে জলপাই, বরই, আম, ইত্যাদি খাদ্য অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়।
সুতরাং খাদ্য সংরক্ষণের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে।
প্রশ্ন : খাদ্য সংরক্ষণের উপকারিতা কী?
উত্তর : খাদ্য সংরক্ষণের উপকারিতা অনেক। যেমন-
* মাছ, মাংস, সবজি, ফল, দুগ্ধজাত খাদ্য ইত্যাদি খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পচে নষ্ট হয়ে যায়। খাদ্য সংরক্ষণ খাবারে পচন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয়। * খাদ্য সংরক্ষণ অপচয় রোধ করে। * খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায়। * খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে অনেক দূরবর্তী এলাকায় সহজে খাবার সরবরাহ করা যায়। * খাদ্যদ্রব্যকে টাটকা ও তাজা রাখে * পরিবারের তথা দেশের ভবিষ্যৎ খাদ্য নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করে।
সুতরাং খাদ্য সংরক্ষণের উপকারিতা অনেক।
প্রশ্ন : সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর : সুষম খাদ্য : যে খাদ্যে বা খাদ্য তালিকায় খাদ্যের ছয়টি উপাদান বয়স, পেশা ও দৈহিক চাহিদা অনুসারে সঠিক পরিমাণে থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলে। যেমন : দুধ, খিচুড়ি ইত্যাদি।
প্রয়োজনীয়তা :
* কর্মক্ষম থাকার জন্য আমাদের সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। সুষম খাদ্য গ্রহণ না করলে শরীরের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।
* সুষম খাদ্যের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। * সহজেই রোগে আক্রান্ত হয়।
* অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
* অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে ওজনজনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। * যারা শারীরিক পরিশ্রম করে তাদের খাদ্য বেশি খাওয়া প্রয়োজন।
সুতরাং, প্রত্যেকেরই উচিত নিয়মিত সুষম খাদ্য খেয়ে রোগমুক্ত ও সুস্থ থাকা।
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
প্রশ্ন : ৬টি খাদ্য দল কী কী
উত্তর : পুষ্টির ওপর ভিত্তি করে সব খাদ্যকে ৬টি দলে ভাগ করা যায়। যথা :
* শর্করা - খাদ্যশস্য ও আলু
* ভিটামিন - শাকসবজি ও ফলমূল
* আমিষ - মাছ, মাংস ও ডাল
* স্নেহ - তেল ও চর্বি
* খনিজ লবণ - শাকসবজি ও ফলমূল
* পানি - ঐ
প্রশ্ন : কীভাবে আমরা সুষম খাদ্য পেতে পারি?
উত্তর : খাদ্য গ্রহণ বলতে খাদ্যের প্রতিটি দল থেকে সঠিক পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করাকে বোঝায়। প্রত্যেকেরই প্রতিদিন সুষম খাদ্য খাওয়া উচিত। আবার বিভিন্ন ধরনের খাদ্য একসঙ্গে মিশিয়ে খিচুড়ি বা মিশ্র খাদ্য তৈরি করে খাদ্যমান বা পুষ্টি বাড়িয়ে সুষম খাদ্য পেতে পারি।
দুধ একটি আদর্শ খাবার। দুধ থেকেও খাদ্যের ছয়টি উপাদান পেতে পারি।
সুতরাং, শুধু দামি খাবার নয় বরং, বিভিন্ন স্বল্পমূল্যের ও মৌসুমি খাবার থেকেও সুষম খাবার পেতে পারি।
প্রশ্ন : কোন কোন খাদ্যে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : আজকাল কিছু ব্যবসায়ী খাদ্যকে আকর্ষণীয় ও লোভনীয় করতে বিভিন্ন কৃত্রিম রং খাদ্যে ব্যবহার করে। যেমন : * মিষ্টি * জেলি * চকলেট * আইসক্রিম * কেক * চিপস্ * কোমল পানীয় ইত্যাদি
সুতরাং, আমরা নিজেদের লোভ সংবরণ করে এসব খাদ্য থেকে দূরে থাকব।
