Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ : জীববিজ্ঞান

Icon

মহসিনা আক্তার

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ : জীববিজ্ঞান

প্রভাষক, ধনবাড়ি সরকারি কলেজ, টাঙ্গাইল

ব্রেন স্ট্রোক

প্রথমে ব্রেন স্ট্রোক সম্পর্কে একটি বাস্তব উদাহরণ দিব। যে উদাহরণ দ্বারা প্রিয় শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ মানুষ খুব সহজে ব্রেন স্ট্রোক সম্পর্কে বাস্তব ধারণা নিতে পারবে।

২০১৯ সাল সেপ্টেম্বর মাস। আমার বাবা, সিরাজগঞ্জ জেলায় খাজা মোজাম্মেল হক মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এক বার্ষিক বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্টেইজ পারফরমেন্স হিসাবে তিনি পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন। কাজ শেষ করে আমাকে ফোন দেন। তখন বিকেল ৪.৩০ মি.। আমি ধনবাড়ী সরকারি কলেজে আছি। বাবা আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, মা আমার মাথাব্যথায় ছিড়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, ব্ল্যাড প্রেসার বেড়ে গেছে। অতপর এ পর্যন্ত বাবার সঙ্গে আমার কথা।

অবশেষে সিটি স্ক্যান। অতপর, ব্রেন স্ট্রোক।

ডাক্তার বললেন, ব্ল্যাড প্রেসার ডায়াবেটিস লেভেল নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ার কারণে তার ব্রেন স্ট্রোক হয়।

প্রকৃত পক্ষে আমার বাবার ব্ল্যাড প্রেসার থাকলেও ডায়াবেটিস কিন্তু তার স্বাভাবিক থাকত। ব্ল্যাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় তার মানবদেহ ব্যালেন্সহীন হয়ে পড়ে। ওই মুহূর্তে তার ডায়াবেটিস ২৫ লেভেলে চলে যায়। ডায়াবেটিস ও ব্ল্যাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্রেন স্ট্রোক হয়।

মূলত ব্রেন স্ট্রোক কী?

মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহকারী কোনো ধমনির বা এদের শাখা প্রশাখার ভিতর রক্ত তঞ্চল বা ব্লকেজ সৃষ্টির ফলে রক্তের সরবরাহ বিঘ্নিত বা বন্ধ হয়ে যে মারাত্মক দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয় সেটাই ব্রেন স্ট্রোক।

সাধারণত ৫টি মেজর কারণে ব্রেন স্ট্রোক হয়ে থাকে।

যথা :

১. উচ্চরক্তচাপ ২. ডায়াবেটিস ৩. ধূমপান ৪. কোলেস্টেরল

৫. বয়স

নিচে কারণগুলোর নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

উচ্চরক্তচাপ : বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উচ্চরক্তচাপ বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। সঠিক জীবন পদ্ধতি ও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

ডায়াবেটিস : যেসব ব্যক্তির ডায়াবেটিস আছে তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক জীবন পদ্ধতি দ্বারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ফলে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে।

ধূমপান : কোনোভাবেই ধূমপান করা যাবে না। যা ব্রেন স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ। বিশেষ করে সেকেন্ড হেন্ড ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।

একই ঘরে একজন ব্যক্তি যদি ধূমপান করেন, তার আশপাশের লোকজনও সেই ব্যক্তির ধূমপানের নিঃসৃত ধোঁয়া দ্বারা ধূমপানের শিকার হন।

কোলেস্টেরল : রক্তে যাদের কোলেস্টেরল বেশি তাদের কোলেস্টেরল অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

বয়স : বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রক্তনালির পরিবর্তন ঘটে। তবে শুরু থেকেই যদি স্বাস্থ্যবান ও সুন্দর জীবনযাপন করা যায় তবে স্ট্রোক নামক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

অবসরপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি, বিভিন্ন পেশার বয়স্ক কোনো ব্যক্তি অনিয়ন্ত্রিতভাবে জীবন অতিক্রম করার পর যখন তারা শেষ বয়সে চলে আসে, তখন তারা বুঝতে পারে না কীভাবে তাদের পরবর্তী জীবন অতিবাহিত করতে হবে?

তারা জীবন নিয়ে দিশেহারা হয়ে যায়। মানবদেহের ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলে। ফলে বয়সজনিত কারণে তাদের দেহ হয় বিভিন্ন জটিল রোগের সমষ্টি। তার মধ্যে ‘ব্রেন স্ট্রোক’ হলো অন্যতম।

যদি তারা অবসর জীবন মেনে নিয়ে সেই বয়স্ক জীবনকে সুন্দরভাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অতিবাহিত করে, তাহলে তারা ব্রেন স্ট্রোকের মতো বড় দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলতে পারবে।

হার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন

হার্ট অ্যাটাক হলো, হৃদপিণ্ড যখন পর্যাপ্ত সমৃদ্ধ রক্ত পায় না, তখন হৃদপেশি বা কার্ডিয়াক পেশি মরে যায় বা ধ্বংস হয়। এ অবস্থায় যে কোনো একটি রক্তনালি ১০০% বন্ধ হয়ে যায়।

কারণ

১. উচ্চরক্তচাপ

২. ডায়াবেটিস

৩. রক্তে চর্বির আধিক্য

৪. পজিটিভ ফ্যামিলি হিস্ট্রি।

তা ছাড়া চর্বি জাতীয় পদার্থ, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন প্রভৃতি করোনারি ধমনীয় অন্তর্গাত্রে জমা হয়ে বিভিন্ন আকৃতির প্লাক গঠন করে। একে করোনারি অ্যাথেরোমা বলে।

প্রায় ৭৫% রোগীর হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা হয়।

লক্ষণ

১. বুকে অস্বস্তি ২. বমি বমি লাগা

৩. ঘাম ৪. ঘন ঘন নিশ্বাস-প্রশ্বাস

৫. ঘুমে ব্যাঘাত

প্রাণীর বিভিন্নতা ও শ্রেণিবিন্যাস

দ্বিপদ নামকরণ ও ত্রিপদ নামকরণ

দ্বিপদ নামকরণ : নামকরণের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী জীবের নামের দুটি পদ থাকবে যথা-গণ ও প্রজাতি। এ দুটি পদকে দ্বিপদ নামকরণ বলে।

Ex. Homo sapiens এটি মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম।

ত্রিপদ নামকরণ : একটি প্রজাতির জীবের মধ্যে যদি অঙ্গসংস্থানিক পার্থক্য দেখা যায় তবে সেই সদস্যদের ক্ষেত্রে গণ ও প্রজাতি পদ ছাড়াও উপ প্রজাতি পদ ব্যবহার করা হয়। যা ত্রিপদ নামকরণ।

Ex. Passer domesticus niloticus (নীলনদ এলাকার চড়ুই পাখির বৈজ্ঞানিক নাম)

* ICZN এর পূর্ণরূপ : International commission on yoological nomenclature

* প্রাণিজগতের ৯টি পর্বের নাম হলো এ অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এগুলো Major পর্ব নামে পরিচিত। তাই এ ৯টি পর্বের নাম অবশ্যই ইংরেজিতে শিখে ফেলতে হবে।

1. Phylum- Porifera

2. Phylum- Cnidaria

3. Phylum- Platyhelminthes

4. Phylum- Nematoda

5. Phylum- Mollusca

6. Phylum- Annelida

7. Phylum- Arthropoda

8. Phylum- Echinodermata

9. Phylum- Chordata

উপরের উল্লেখিত পর্বগুলোর মধ্যে ১-৮ পর্যন্ত সবাই Non-chordata এবং ৯নং পর্ব Chordata.

* Non- Chordata I chordata পর্বের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য

Non- Chordata:

১. এদের দেহে নটোকর্ড অনুপস্থিত।

২. স্নায়ুরজ্জু অঙ্কীয়দেশে অবস্থিত নিরেট।

৩. প্রকৃত লেজ থাকে না।

৪. রক্তের হিমোগ্লোবিন রক্তরসে অবস্থান করে।

৫. ত্বক থেকে চোখের উদ্ভব ঘটে।

৬. গলবিলীয় ফুলকা রন্ধ নেই।

Chordata :

১. জীবনের যে কোনো সময় বা আজীবন পৃষ্ঠমধ্যরেখা বরাবর নটোকর্ড উপস্থিত।

২. উন্নত প্রাণীতে মেরুদণ্ডে রূপান্তরিত হয়।

৩. জীবনের শুরুতে কিংবা আজীবন লেজ থাকে।

৪. হিমোগ্লোবিন লোহিতরক্ত কণিকার অভ্যন্তরে থাকে।

৫. জীবনের যে কোনো দশায় বা আজীবন গলবিলের দুপাশে ফুলকারন্ধ অবস্থান করে। উন্নত প্রাণীতে এটি ফুসফুসে রূপান্তরিত হয়।

* Craniata : Chordata পর্বের ৩য় উপপর্ব Vertebrataকে Craniata বলে। কারণ এ উপপর্বের প্রাণীদের অস্থিময় বা তরুণাস্থিময় ক্রেনিয়াম (cranium)-এর ভিতর মস্তক অবস্থান করে।

এইচএসসি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম