প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যান্ত্রিক শহর ঢাকায় বাড়ছে গণপরিবহন। সেইসঙ্গে বাড়ছে গণপরিবহনে পকেটমারদের সংখ্যা।
‘পকেট সাবধান’- এ কথাটা প্রায় সব গণপরিবহনেই লেখা থাকে। তবে এ লেখার তোয়াক্কা না করে পকেটমাররা দিনের আলোতেই যেন তৈরি করে নিয়েছে অদৃশ্য এক অন্ধকার জগৎ।
নগরীর বিশেষ বিশেষ এলাকায় চলে তাদের সেই কার্যক্রম। অনেক ক্ষেত্রে গণপরিবহনই যেন হয়ে উঠে তাদের কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল। যেসব বাসে অতিরিক্ত ভিড় হয়, সেগুলোকেই পকেটমাররা টার্গেট করে থাকে; আর ভিড়ের সুযোগে নিরীহ যাত্রীদের পকেট থেকে কৌশলে নিয়ে নেয় মোবাইল ফোন ও ম্যানিব্যাগ।
পকেটমারের শিকার হওয়া নিরীহ যাত্রীরা বিপাকে পড়লেও প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া এসব ঘটনায় পকেটমারদের ধরা পড়া ও শাস্তির উদাহরণ খুবই কম। মূলত এ কারণেই পকেটমারদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলছে।
সম্প্রতি কয়েকদিনের ব্যবধানে নগরীতে পরপর মোবাইল চুরির মতো ঘটনা ঘটিয়েছে পকেটমার বাহিনী। অনেকের মতে, পকেটমারদের এসব কাজে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষক ও ইন্ধনদাতার ভূমিকায় থাকে বাসের অসৎ ড্রাইভার ও হেলপার-সুপারভাইজার।
এ কারণে পকেটমাররা অপরাধ করেও অনেক ক্ষেত্রে সহজেই বাস থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা কাম্য। পাশাপাশি গণপরিবহনে চলাচলের সময় যাত্রীদেরও সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।
প্রকৌশলী, ঢাকা
