পর্যটন শিল্পের বিকাশে মনোযোগ দিন
আবু তালহা মুহা. কুতাইবা
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের অন্যতম সোপান পর্যটন শিল্প। এক প্রতিবেদন অনুসারে পর্যটন শিল্পে শীর্ষে থাকা দেশগুলো হচ্ছে- চিলি, ফ্রান্স, স্পেন, ভারত, চীন, আমেরিকা ইত্যাদি।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম কাউন্সিল (ডব্লিউটিটিসি) কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সেরা ৬৫টি পর্যটন এলাকার মধ্যে ২১টি রয়েছে এশিয়ায়। চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালেশিয়াসহ অন্যান্য দেশ তালিকায় থাকলেও দুঃখজনক হল, বাংলাদেশের জায়গা হয়নি সে তালিকায়। অথচ বৃহত্তর ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন আর বৃহত্তর সমুদ্রসৈকত আমাদের দেশেই!
কক্সবাজার ও কুয়াকাটা ছাড়াও জাফলং, সেন্টমার্টিন, সাজেক, রাঙ্গামাটি, মহাস্থান গড়, বৌদ্ধবিহার, সোনারগাঁ, ষাটগম্বুজ মসজিদ, ময়নামতী, শালবন বিহারসহ বড় বড় পর্যটন কেন্দ্র বহুমুখী সমস্যায় জর্জরিত। এখন কক্সবাজারের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ইয়াবা ব্যবসা আর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার খবর।
অথচ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত। সেখানে পরিকল্পিত আবাসন ও নিরাপত্তার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। সেন্টমার্টিন গমনের ক্ষেত্রে তো সমস্যা আরও বেশি।
অবকাশ যাপনের জন্য ভ্রমণপিপাসুরা সেখানে যেতে উদ্গ্রীব; কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যে কয়টি জাহাজ আসা-যাওয়া করে, তার মধ্যে কয়েকটির সমুদ্রে চলাচলের বৈধ লাইসেন্স নেই। কোন ভরসায় পর্যটকরা অবৈধ জাহাজগুলোয় চড়ে সমুদ্রে যাবে?
আমাদের পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক। কুয়েত, কাতার, আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডের মতো বৃহত্তর পযর্টন শিল্প আমাদের দেশেও গড়ে তোলা সম্ভব।
প্রয়োজন শুধু এই শিল্পের দিকে একান্তভাবে নজর দেয়া। পর্যটন শিল্প ঘিরে সঠিক পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন হলে আমরাও বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।
শিক্ষার্থী, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
atmqutayba81@gmail.com
