‘বড় সাহেবের’ সঙ্গে কথা বলার সুযোগ নেই
মোহাম্মদ এমদাদুল হক বাদশা
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড স্লিপওয়ে লি. কোম্পানির কাছ থেকে ৪ জনে মিলে ৪ হাজার ৩০০টি ১০ টাকার শেয়ার ১ লাখ ৭২ হাজার টাকায় কিনেছিলাম।
কিন্তু অদ্যাবধি তারা সেই শেয়ার বাজারে ছাড়তে সক্ষম হয়নি। এজন্য আমরা বহুবার তাদের অফিসে ধরনা দিয়েছি।
তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে, কিছুদিন পর বাজারে শেয়ার ছাড়বে বলে। অত্যন্ত কষ্টের বিষয় হচ্ছে, ৯ বছর ধরে তাদের প্রতিশ্রুতি শুনতে শুনতে আমরা ক্লান্ত হয়ে গেছি। তারা বাজারে শেয়ার ছাড়ে না; আবার আমাদের বিপদের সময় শেয়ারগুলো ফেরত নিয়ে টাকাও দিচ্ছে না। অথচ এ কোম্পানি মানুষের কষ্টার্জিত কোটি কোটি টাকা নিয়ে ঠিকই ব্যবসা-বাণিজ্য করে লাভবান হচ্ছে।
আমি প্রায় ২ বছর আগে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞ চেয়ারম্যান ড. বারী মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করে আমার আর্থিক সংকটের কথা বলেছি; কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। তবে আশ্বাসবাণী পাওয়া গেছে। বর্তমানে আমি অর্থাভাবে ওষুধ ক্রয় করতে পারছি না। আনন্দ শিপইয়ার্ড তো ঠিকই অনেক বড় বড় কাজ করে এবং পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার করে! সত্যিই, সেলুকাস! কী বিচিত্র এই দেশ!
আনন্দ শিপইয়ার্ডের লোকজন এখন আর ফোন ধরেন না। অফিসে গেলে সবাই বলে ‘বড় সাহেবের’ সঙ্গে কথা বলুন। কিন্তু ‘বড় সাহেবের’ সঙ্গে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি ফোন ধরেন না, মেসেজ দিলেও জবাব দেন না। আল্লাহপাক তাদের হেদায়েত করুন; তবে ‘বান্দার হক’ আল্লাহ মাফ করবেন না। আমি অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছি; আর আনন্দ গ্রুপের ‘বড়কর্তারা’ দেশে-বিদেশে আমুদ করে বেড়াবেন, তা কতটা যৌক্তিক? সবই রেকর্ড হচ্ছে; জাররা-জাররা করে হিসাব হবে।
সাবেক পরিচালক, বিআইডব্লিউটিএ
দক্ষিণ বনশ্রী, ঢাকা
