জেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাখিরাও এখানে মাছ শিকার করে
এম সিফাত
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্যের দ্বীপ জাহাজমারা। সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত থেকে এটির দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার।
উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে মৌডুবি বাজারের কাছে বেড়িবাঁধের বাইরে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জাহাজমারা দ্বীপের অবস্থান। সমুদ্রতীরে দীর্ঘ সৈকতের পাশে রয়েছে বন বিভাগের ঘন বনাঞ্চল। দ্বীপের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া আঁকাবাঁকা খাল।
এখানকার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য সবার চোখ জুড়িয়ে দেবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্ষণে নানা প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে পর্যটকরা এসব স্থানে আসেন কিছুটা প্রশান্তির খোঁজে।
জাহাজমারা সমুদ্রসৈকত ছবির মতো সুন্দর। এখানে যেমন রয়েছে নৈসর্গিক রূপ, তেমনি রয়েছে নদী, পুকুর ও বিল। এসবে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক সুস্বাদু মাছের ছড়াছড়ি।
নদীর বুকে অথৈ জলের মাঝে ছোট ছোট দ্বীপ-বন। এসব বনে বন্যপ্রাণী ও পাখির মেলা। বক, চিল, মাছরাঙা, পানকৌড়ি, বালিহাঁস, ময়না, টিয়া, ঘুঘুসহ আরও কত রকমের পাখি। এখানে শীতকালে অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে। জেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাখিরাও মাছ শিকার করে। মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্যে পর্যটকদের মন জুড়ায়।
জাহাজমারাকে যদি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হয় তাহলে বদলে যাবে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য। পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটলে তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থান; অর্থনৈতিকভাবেও এগিয়ে যাবে এ অঞ্চল। সরকার যদি জাহাজমারাকে পর্যটন স্পট করার উদ্যোগ নেয় তাহলে এ এলাকায় প্রচুর মানুষের সমাগম হবে এবং এর ফলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
শিক্ষার্থী, কম্পিউটার টেকনোলজি, বরিশাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
