সৎ চেতনায় কাটুক বর্ণহীন মুহূর্তগুলো
বিপ্লব বড়ুয়া
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নিদারুণ এক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করে চলেছি। বিংশ শতাব্দীর এ লগ্নে ভয়াবহ এ দুর্বিষহ দুরবস্থা হতে আদৌ বাঁচতে পারব কিনা, প্রতিনিয়ত মস্ত এক দ্বিধা নিয়ে সময় পার করছি! গ্যাঁড়াকল সংবলিত এক বিশাল শূন্যতা বুকের ভেতর জমাটবদ্ধ হচ্ছে! ক্ষণে ক্ষণে মনে বাজছে- এই বুঝি কারও আর্তনাদ শুনতে যাচ্ছি। সামান্য একটু-আধটু ভিন্নতা (শারীরিক) অনুভব করলেই হৃদয়ের কোণে সুর বেজে ওঠে, এই বুঝি করোনাভাইরাস ছোবল মারল! ভাগ্য প্রসন্নতায় বিশ্বের প্রথম সারির একটি দেশ কানাডায় আছি। কর্তৃপক্ষের অভূতপূর্ব সাহায্য-সহযোগিতার অঢেল নির্ভরতার আশ্বাসের পরও বিশ্বাসে আজ পুরোটাই অনিশ্চয়তা!
মৃত্যুপুরীর উড়াল ঘূর্ণায়মান ধোঁয়ায় আজ প্রতিটি দেশ, প্রতিটি সমাজ। প্রত্যেক মানুষ ভীষণ আতঙ্কিত। মুক্তি সহজে মিলবে- সে কথাটা ভাবা বোকার স্বর্গে বসবাসের ন্যায়! কারণ জীবনযুদ্ধে অস্ত্রবিহীন জয়ী হওয়া খুবই কঠিন! এ যেন জেনে শুনে মৃত্যুর অভিমুখে ছুটে চলা!
দুঃসময়ের এ করাল স্রোতে সবাই আজ ভাসমান! না জেনে পতিত হওয়া আর অবহিত থেকে জগদ্বল পাথরকে আলিঙ্গন করা- ঠিক যেন দাউ দাউ আগুনে ঝাঁপ দেয়ার সমতুল্য। আমাদের বর্তমান অবস্থানও যেন সে আদলের! মৃত্যুর মিছিলে আমরা একে একে অনেককে হারালাম এবং হারাচ্ছি! এরই মধ্যে অভিশপ্ত করোনা আমাদের সবার জীবনে জেঁকে বসেছে! আস্তিক-নাস্তিক, আপামর জনতা কেউ রেহাই পাচ্ছে না। বেঁচে থাকাটা দিনে দিনে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ছে। যান্ত্রিক এ প্রযুক্তির আশীর্বাদ যে কতটা অনুর্বর; আজ খুব বেশি বেশি করে উপলব্ধি করতে পারছি!
দু’হাত প্রসারিত করে সবাইকে বলতে চাই- নিজের এবং অন্যের জীবনের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলুন আর নির্দেশিত নিয়ম-নীতি সবই পালন করুন। কিছুই স্থায়ী নয়- এ চিরাচরিত নিয়ম মেনে বলতে চাই- অশুভ থাবার ছোবল এক সময় স্তিমিত হয়ে আসবে; সে দিনের আগ পর্যন্ত সুস্থ থাকুন, সব ধরনের বিধিবিধান অনুসরণ করে! সবাই ভালোর মধ্যে থাকুন। সৎ চেতনায় কাটুক সবার বর্ণহীন মুহূর্তগুলো!
কানাডা প্রবাসী
