Logo
Logo
×

দৃষ্টিপাত

স্মার্টফোন আসক্তি হতে পারে ক্ষতির কারণ

Icon

কে এম মাসুম বিল্লাহ

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২১, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

স্মার্টফোন আসক্তি হতে পারে ক্ষতির কারণ

করোনার কারণে গত বছর মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ আছে দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাই পালটে গেছে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিনের কাজের ধরন।

সকালবেলা স্কুল ড্রেস পরে বই-খাতাভর্তি ব্যাগ নিয়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য আর চোখে পড়ে না এখন। মার্চের লকডাউনের পর থেকেই অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে আছে শিক্ষার্থীরা। করোনা মহামারির কারণে খুব বেশি ঘরের বাইরে বের হওয়ারও সুযোগ নেই; নেই ঘুরতে যাওয়ার মতো কোনো অবস্থাও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়ালেখায়ও মনোযোগ নেই কারও, নেই কোনো বিনোদনের ব্যবস্থাও। আর তাই সময় কাটানোর জন্য এসব স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা বেছে নিয়েছে স্মার্টফোন।

স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কুফলগুলো জানা থাকার পরও সচেতন অনেক অভিভাবকই সময় কাটানোর জন্য বাচ্চাদের হাতে তা তুলে দিচ্ছেন। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার দরুন অনেক শিশু-কিশোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও অনলাইন গেমসে সময় কাটাচ্ছে। অনেকেই পুরোপুরি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে এসবের প্রতি। তারা দিনে ৬ থেকে ১০ ঘণ্টা কিংবা তারও বেশি সময় স্মার্টফোনের পেছনে ব্যয় করছে। এতে তৈরি হচ্ছে বিষণ্নতা, ক্ষুধামন্দা, অবসাদ। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

স্মার্টফোনের আসক্তি মাদকাসক্তির মতোই বিপজ্জনক। দুই মিনিট স্থায়ী একটি ফোনকল শিশুদের মস্তিষ্কে হাইপার অ্যাক্টিভিটি সৃষ্টি করে, যা কিনা পরবর্তী এক ঘণ্টা পর্যন্ত তাদের মস্তিষ্কে বিরাজ করে।

হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। ব্যবহারকারীর স্নায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। রক্তের চাপ বেড়ে যায়। দেহ ধীরে ধীরে ক্লান্ত ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে; এমনকি নিয়মিত ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটায়। স্মার্টফোনের স্ক্রিনের রেডিয়েশন প্রাপ্তবয়স্কদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, শিশুদের জন্য তা আরও বেশি ক্ষতিকর। এটি তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত করে। মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধ করতে অভিভাবকদের রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সন্তানদের সময় দেওয়া, বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, সৃজনশীল কাজে উদ্বুদ্ধ করা ইত্যাদির মাধ্যমে মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনা সম্ভব।

ব্যাংক কর্মকর্তা ও কলাম লেখক

স্মার্টফোন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম