Logo
Logo
×

দৃষ্টিপাত

ঐতিহাসিক ‘আছরাঙ্গা দিঘি’ সংস্কার করুন

Icon

মো. মাহফুজার রহমান

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের একটি ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান আছরাঙ্গা দিঘি, যার আয়তন প্রায় ২৫.৫০ একর। দিঘির চারপাশে বাঁধাই করা আছে চারটি ঘাট। এছাড়া রয়েছে গাছাপালার সমাবেশ। ঘাটগুলো প্রাচীনকালে ব্যবহার করা হতো। দিঘিটিতে শীতকালে আগমন ঘটে নানা প্রজাতির অতিথি পাখির। সব মিলিয়ে দিঘিকে ঘিরে সৃষ্টি হয় এক মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ। আর এ ঐতিহাসিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা দিঘি দেখতে ছুটে আসেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক ও দর্শনার্থী। বিশেষ করে ঈদের সময়গুলোতে আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে অগণিত দর্শনার্থীর ভিড় জমে এখানে।

দিঘিতে প্রবেশের পথে প্রথমেই চোখে পড়ে প্রধান গেটের নামফলক; কিন্তু বর্তমানে এটি পরিণত হয়েছে একটি বিশাল আকারের বিলবোর্ডে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ, শুভেচ্ছা পোস্টারসহ নানা রকম বিজ্ঞাপনের কাগজে ঢাকা পড়েছে পুরো নামফলকটি। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি একটি ঐতিহাসিক স্থানের প্রধান নামফলক। ইতঃপূর্বে বেশ কয়েকবার স্থানীয় কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবীর উদ্যোগে নামফলকটির জঞ্জাল অপসারণ করা হলেও স্থানীয় প্রসাশনের নজর না থাকায় এটি পুনরায় আগের রূপ ধারণ করেছে।

এছাড়া দিঘির চারপাশে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত ছাউনির ব্যবস্থা নেই। বিশ্রামস্থলের অভাবে এতে এখানে আসা দর্শনার্থীরা ভোগান্তির শিকার হন। উল্লেখ্য, দিঘিটি খননের সময় ১২টি মূর্তি পাওয়া গিয়েছিল, যেগুলো দেশের বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। এ মূর্তিগুলো ফিরিয়ে এনে দিঘির পাড়ে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করা যেতে পারে। এতে দিঘির প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্ম এবং এখানে বেড়াতে আসা পর্যটক-দর্শনার্থীদের মাঝে পৌঁছানো সম্ভব। সংগ্রহশালায় উপজেলার মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে একটি কর্নারও স্থাপন করা যেতে পারে। এতে দর্শনার্থীরা ঐতিহাসিক এ দিঘির ইতিহাস জানার পাশাপাশি স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কেও জানতে পারবে।

শিক্ষার্থী, পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম