Logo
Logo
×

দৃষ্টিপাত

চলচ্চিত্র শিল্পে মূল্যবোধের এত অবক্ষয় কেন?

Icon

মেশকাতুন নাহার

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে আমাদের দেশে। যাদের কাছ থেকে সমাজ সংযত ও ভদ্র আচরণ প্রত্যাশা করে, তাদের বিভ্রান্তিকর আচরণ সত্যিই দুঃখজনক। বাংলা সংস্কৃতির যারা ধারক, তারাই যদি এ সংস্কৃতিকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়, তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কী শিক্ষা লাভ করবে? আমাদের চলচ্চিত্র আমাদের বাংলা সংস্কৃতির অনেকাংশ জুড়ে আছে। গ্রামগঞ্জে আজও বাংলার মানুষ বাংলা সিনেমার নায়ক-নায়িকাকে আদর্শ মানুষ হিসাবে কল্পনা করে। সিনেমাতে যেমন দেখা যায়-অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন নায়ক, ঠিক সেরকমভাবে নিজেদের গড়ে তোলার শিক্ষা লাভ করে মানুষ। বস্তুত মানুষ নায়ক-নায়িকাদের আদর্শ, মূল্যবোধ, নৈতিকতা ইত্যাদি অনুসরণ করে থাকেন। তাই চলচ্চিত্র সামাজিক শিক্ষার মাধ্যমও বটে।

কিন্তু বর্তমান সময়ে এমন কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা যেন কুশিক্ষাকেই উৎসাহ জোগাচ্ছে। সমাজে পরস্পরের মধ্যে বিয়ে ও বিচ্ছেদ হতেই পারে, যদি কোনো ব্যাপারে তাদের মধ্যে অমিল সৃষ্টি হয়। আবার ন্যায়সংগত কারণে একাধিক বিয়েও করতে পারেন কেউ। দেশীয় চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকারা যদি এগুলো স্পষ্ট করে দেশবাসীকে জানিয়ে ধুমধাম করে বিয়ে সম্পন্ন করতেন, তাহলে আমার মনে হয়-তাদের জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেত। অভিনয় শিল্পীদের সমাজের প্রতি অবশ্যই দায়বদ্ধতা রয়েছে। মানুষ তাদের কাছ থেকে শিখবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা বলিউডে দেখেছি-অনেক বিবাহিত নায়ক বেশ দাপটের সঙ্গে এখনো অভিনয় করে যাচ্ছেন। এতে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো সমস্যা দেখছি না। একটা সুন্দর সিনেমা প্রচলিত কুসংস্কার দূর করতে ভূমিকা পালন করে, অন্যায় অবিচার প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে, আবার কখনো সমাজের বাস্তবতা তুলে ধরে মানুষকে সচেতন করে তুলে। আমরা চাই বাংলা চলচ্চিত্র আবারও সুস্থ ধারায় ফিরে আসুক, যাতে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে হলে গিয়ে সুন্দর ছবি দেখতে পারি। আমাদের ছেলেমেয়েরা সেখান থেকে বিনোদনের পাশাপাশি যেন ভালো কিছু শিক্ষা লাভ করতে পারে।

প্রভাষক সমাজকর্ম, কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ, কচুয়া, চাঁদপুর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম