মহাখালীতে ঝিল ও সড়ক দখলের প্রতিযোগিতা
শিল্পী আক্তার
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজধানীর মহাখালী টিঅ্যান্ডটি মাঠ সংলগ্ন আমতলীর সরকারি ঝিল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ দিনদিন বেড়েই চলছে। রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মাটি ভরাট করে চলছে এ ঝিল দখলের প্রতিযোগিতা। টিঅ্যান্ডটি মাঠের পাশ দিয়ে বনানী যাওয়ার সড়কটি পরিদর্শন করে দেখা গেছে-সড়কটির দুপাশেই ঝিলের বেশকিছু অংশ দখল করে টিনের ঘর ও দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে, যা সংযুক্ত হয়েছে বনানী এক নম্বর রোডসংলগ্ন গোডাউন বস্তির সঙ্গে। সেখানে কিছু কিছু ঘর ও দোকান স্থাপনে ব্যবহৃত টিনগুলো দেখতে একেবারেই নতুন। এতে বোঝা যায়, সদ্য দখল করে এসব নির্মাণ হয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে অধিকাংশ ঘর ও দোকানে ফ্যান, টিভি ও ফ্রিজ চলতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে-কয়েক মাস আগেও এখানে দখলের পরিমাণ এত বেশি ছিল না; বস্তুত রাতারাতি এসব অবৈধ দখল বিস্তৃত হচ্ছে। একজনের দেখাদেখি অন্যজন দখলের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। দখলদারদের আগ্রাসী থাবায় পালটে গেছে সড়কটির চিত্র। তাছাড়া এতে পার্শ্ববর্তী আবাসিক এলাকার পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। সরেজমিনে গেলে দেখা যাবে বস্তির সঙ্গের দোকানগুলোয় অতিরিক্ত মানুষের আড্ডা; এতে যাতায়াতকালে গাড়ি চলাচলে নানাবিধ সমস্যা হচ্ছে। এমনকি সড়ক দখল করে গোসল করা, হাঁড়িপাতিল ধোয়া ইত্যাদি কারণে এখানে ঘন ঘন যানজট ও ঝগড়াঝাঁটির কারণে পথচারীদের পথ চলতে গিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
গোডাউন বস্তিবাসীর কয়েকজন জানান-বস্তির মধ্যে কয়েকজন বাড়িওয়ালা আছে। মূলত বস্তিতে যারা কয়েক বছর ধরে বাস করছেন এবং কিছু জমানো টাকা আছে, তারাই কথিত বাড়িওয়ালা। এসব বাড়িওয়ালাই অবৈধ দখল করে ঘর ও দোকানপাট নির্মাণ করছে। জানা গেছে, প্রতিটি ঘর ও দোকান থেকে প্রতিমাসে এ বাড়িওয়ালারা এক হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া তুলে। কেউ কেউ দখলের পর ঘর ও দোকান নির্মাণ করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় তা বিক্রিও করে দেয়। অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে ঝিলটি রক্ষা ও সড়কটিতে সুষ্ঠুভাবে চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই।
ওয়্যারলেস গেট, মহাখালী, ঢাকা
