Logo
Logo
×

দৃষ্টিপাত

বারোমাসি কাঁঠালে লাভবান হবেন কৃষক

Icon

শ্যামল রুদ্র

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি টিলা-উপত্যকায় বারোমাসি জাতের কাঁঠাল বাগান কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। সুপরিকল্পিত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হলে এটি হবে কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ। সমতল জেলার তুলনায় এখানে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই গরিব। এ পরিস্থিতিতে সরকারি প্রণোদনা পেলে কৃষকদের বেশ উপকার হতো। এমনিতেই পাহাড়ের টিলাভূমিতে মৌসুমি কাঁঠালের প্রচুর ফলন হয়। এখানে বসবাসরত প্রায় প্রত্যেক পরিবারের বসতভিটায় কাঁঠালের কমবেশি গাছ দেখা যায়। বিশাল কাঁঠাল বাগানও আছে অনেকের। তবে এগুলো সবই মৌসুমি, ফলনও হয় প্রচুর; কিন্তু একসঙ্গে ফলন আসায় তখন দাম কম থাকে। বাজারমূল্য ভালো পাওয়া যায় না, অনেক সময় নষ্ট হয়। এ রকম অবস্থায় বারোমাসি জাতের কাঁঠালের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা দেখছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। এ উদ্যোগ সফল হলে কৃষক লাভবান হবেন, আর্থিকভাবে স্বাবলম্বীও হবেন। এক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় অবস্থিত পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক উদ্ভাবিত বারোমাসি জাতের কাঁঠাল কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা গেলে দেশের জাতীয় ফলটি বছরজুড়ে সহজলভ্য হবে। জনগণের পুষ্টি-চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা যাবে। প্রসঙ্গত, রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা প্রথম বারোমাসি বারিকাঁঠাল-২, ২০১১ সালে এবং বারিকাঁঠাল-৩, ২০১৪ সালে উদ্ভাবন করেন। সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা মনে করেন, বারোমাসি হওয়ায় এ জাতের কাঁঠালের বাগান করে প্রচুর লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

শিক্ষক ও সাংবাদিক, রামগড়

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম