Logo
Logo
×

দৃষ্টিপাত

চবির শাটলে ভোগান্তির শেষ কোথায়?

Icon

মো. আমিনুল ইসলাম

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের অন্যতম শাটল ট্রেন। প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে থাকে। প্রায় তিনভাগের দুইভাগ শিক্ষার্থীই ক্যাম্পাসের বাইরে শহরে থাকে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এই শাটল ট্রেন; কিন্তু এতে ভোগান্তির শেষ নেই। পর্যাপ্ত বগি না থাকার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে কিংবা শাটলের ছাদে যাতায়াত করে। আসন সংকট, চুরি-ছিনতাই, ছাত্রীদের যৌন হেনস্তা, পাথর নিক্ষেপসহ বিভিন্ন কারণে শাটল ট্রেন বর্তমানে তার সুনাম হারাতে বসেছে।

শাটলে যাতায়াতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় আসন সংকটের কারণে। সকালে ক্যাম্পাসগামী ও দুপুর কিংবা বিকালের শহরগামী ট্রেনগুলোয় তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। চবিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে, সে তুলনায় বাড়েনি শাটল ট্রেনের বগি কিংবা আসন সংখ্যা। চবিতে শাটল ট্রেন রয়েছে ২টি, তাতে বগির সংখ্যা মাত্র ১০টি। প্রতি বগিতে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৬০ জনের ধারণক্ষমতা থাকলেও ব্যস্ত সময়ে যাতায়াত করছেন দ্বিগুণেরও বেশি শিক্ষার্থী। অহেতুক কারণ দেখিয়ে চবির ডেমু ট্রেনটি বন্ধ রয়েছে অনেকদিন। যে কারণে ট্রেন দুটির ওপর চাপ বেড়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে, ওঠা-নামার সিঁড়িতে বসে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে চৌধুরীহাটে নিচু একটি গাছের আঘাতে চলন্ত শাটলের ছাদে থাকা প্রায় ২০ জন আহত হয়। কয়েকজন ছিটকে নিচে পড়ে যায়।

শাটলের বগি বাড়াতে হবে এ দাবি আজকের নয়। কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাসই দেন কিন্তু আজও কোনো পদক্ষেপ নেননি। গর্বের শাটল আজ রূপ নিয়েছে রক্তাক্ত বাহনে। চবির শাটল কেন আজ রক্তাক্ত? কর্তৃপক্ষ কবে পদক্ষেপ নিবে? শাটল ট্রেনের সংখ্যা এবং বগি আরও বাড়াতে হবে ও ডেমু ট্রেন চালু করতে হবে। একই সঙ্গে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। নিরাপত্তার অভাবে শাটলে চুরি-ছিনতাই হচ্ছে নিয়মিত। শাটলে বহিরাগতদের দ্বারা ছাত্রীদের যৌন হয়রানির শিকারও হতে হচ্ছে। শাটলে তাদের এ অবাধ যাতায়াত বন্ধ করতে হবে। আশা করি, কর্তৃপক্ষ এবার দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন যাতে কোনো শিক্ষার্থীর হয়রানির শিকার হতে না হয়, দুর্ঘটনায় অকালে ঝরে না যেন কোনো শিক্ষার্থীর প্রাণ।

শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম