Logo
Logo
×

বাতায়ন

স্বদেশ ভাবনা

বন্যার কারণে খাদ্য সংকট হবে কি?

Icon

আবদুল লতিফ মন্ডল

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বন্যার কারণে খাদ্য সংকট হবে কি?

গত ২১ জুন এক অনুষ্ঠান শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘চলমান বন্যার কারণে দেশে খাদ্য সংকট হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না’ (যুগান্তর, ২২ জুন)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আগামী মৌসুমে (২০২২-২০২৩) মূলত ইউক্রেনসহ কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোয় খাদ্য উৎপাদন হ্রাসের কারণে যখন বিশ্বে খাদ্যের উৎপাদন ও মজুত হ্রাসের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল (আইজিসি) এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফপিও), যুদ্ধের কারণে যখন কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো থেকে খাদ্যশস্যের সাপ্লাই চেইন অনেকটা ভেঙে পড়েছে, ভারত গম রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, খাদ্যপণ্যের লাগামহীন উচ্চমূল্য দেশের মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে, তখন বৃহত্তর সিলেটে স্মরণকালের বন্যা এবং দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেশের সার্বিক কৃষি খাতের (শস্য উপখাত, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপখাত এবং বন উপখাত নিয়ে গঠিত) জন্য বয়ে এনেছে সর্বনাশ।

নষ্ট হয়েছে হাজার হাজার একর জমির ফসল। বন্যায় ভেসে গেছে শত শত খামারের গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি। বন্যায় ভেসে গেছে শত শত খামারের মাছ। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। তাই বন্যার কারণে দেশে খাদ্য সংকট হবে কি না-কৃষিমন্ত্রী এমন প্রশ্নে উত্তর এড়িয়ে গেলেও এটা বলা অসংগত হবে না যে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আগেভাগে গ্রহণ করা না হলে এমন সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের কারণ এবং এ সংকট কাটিয়ে উঠতে কী করণীয়, তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

সরকারি-বেসরকারি হিউম্যানিটারিয়ান এজেন্সিগুলোর যৌথভাবে তৈরি ‘নর্থ ইস্টার্ন ফ্ল্যাশ ফ্লাড, মে-জুন ২০২২ : কি ইমিডিয়েট নিডস অ্যান্ড সিচুয়েশন অ্যানালিসিস’ শীর্ষক সাম্প্র্রতিক এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জ এবং উত্তরাঞ্চলের সাতটি জেলার ৫ লাখ মানুষ সাময়িকভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭২ লাখ মানুষ। ৮৩ হাজার হেক্টরের বেশি জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমনের বীজতলা। অন্যান্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বন্যায় ভেসে গেছে ৬৯ হাজার ৬১০টি মাছের খামার। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত খামারের সংখ্যা ৫০০।

সিলেটে ভেসে গেছে ৩০ হাজার ২৫৫টি পুকুর ও খামারের মাছ। দেশের পাঁচ বিভাগের ১৪টি জেলার ৯৮টি উপজেলার ৫৭০টি ইউনিয়নের গবাদি পশুর ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে ১ হাজার ১০৯টি খামার, ময়মনসিংহ বিভাগে দুই জেলার ১৪টি উপজেলার ৮১টি ইউনিয়নের ৫৮২টি খামার এবং ঢাকা বিভাগে একটি জেলার ১০ উপজেলার ৪৬টি ইউনিয়নের ২৫৮টি খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া বন্যায় অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কেবল সিলেটেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২২ হাজার ১৫০টি বাড়িঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত কিলোমিটার সড়ক। কেবল সিলেট বিভাগেই ধ্বংস হয়েছে ৩০০ কিলোমিটার সড়ক।

এটা ঠিক, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আমাদের প্রধান খাদ্য চালের উৎপাদন তিনগুণের বেশি বেড়েছে। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের তুলনায় চাল উৎপাদনে নিম্ন প্রবৃদ্ধি হার, বীজ হিসাবে সংরক্ষণ, মাড়াই থেকে শুরু করে খাবার হিসাবে পরিবেশন পর্যন্ত অপচয় প্রভৃতি কারণে আমাদের উৎপাদিত চালে চাহিদা মিটছে না। তাই প্রায় প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাল আমদানি করতে হচ্ছে।

চলতি অর্থবছরেও (২০২১-২০২২) চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। আমন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা (১ কোটি ৫০ লাখ ৪৭ হাজার টন) পূরণ হয়েছে বলে ধরা হলেও বোরো ও আউশ ফসলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সম্ভাবনা নেই। কৃষি মন্ত্রণালয় চলতি অর্থবছরে ২ কোটি ৯ লাখ ৫১ হাজার বোরো চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

অবশ্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে গত এপ্রিলের আগাম বন্যায় হাওড়ে ৮০ হাজার টন চাল নষ্ট হওয়ার পর ২ কোটি ৭ লাখ টন বোরো চাল উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে এই প্রাক্কলন কতটা সঠিক প্রমাণিত হবে তা বলা মুশকিল। কারণ ২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয় ২ কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার টন বোরো চালের উৎপাদন দাবি করলেও বিবিএসের হিসাবে উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৫ হাজার টনে।

সাম্প্রতিক সময়ে বন্যায় ৮৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় কী পরিমাণ খাদ্যশস্য নষ্ট হয়েছে, তার পরিমাণ সরকার থেকে এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে ২১ জুন কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, বন্যায় প্রায় ৫৬ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকার চলতি অর্থবছরে ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার টন আউশ চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তবে বন্যার আগে বিবিএসের সাময়িক প্রাক্কলন হিসাবে এ বছর আউশ চালের উৎপাদন দাঁড়ানোর কথা ৩০ লাখ টনে। সাম্প্রতিক সময়ে বন্যার কারণে আউশ চাল উৎপাদনের পরিমাণ আরও কমে যাবে।

দেশে প্রয়োজনের তুলনায় কম চাল উৎপাদন হওয়ায় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে বাজারে চালের নিয়ন্ত্রণ চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ে নিয়োজিত করপোরেট হাউজগুলোর হাতে চলে আসায় বোরোর ভরা মৌসুমে সব শ্রেণির চালের দাম হুহু করে বেড়ে যায়। মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকায় দাঁড়ায়। এতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী ৪ কোটি মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। মাঝারি ও সরু চালের দাম সব রেকর্ড ভঙ্গ করায় নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা চাল সংগ্রহ করতে গিয়ে আমিষজাতীয় খাদ্যপণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে। এতে তাদের পরিবারে, বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের পুষ্টি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে এবং দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার বেসরকারি খাতে চাল আমদানিকে উৎসাহিত করতে চালের আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসের জন্য চালের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। এ সময়ে আমদানিকারকরা ৬২.৫ শতাংশের পরিবর্তে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক পরিশোধ করে চাল আমদানি করতে পারবেন। এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত।

বাজারে চালের সরবরাহ বাড়লে দামে স্থিতিশীলতা আসবে। তবে চাল আমদানির বিষয়টি দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা নিতে হবে। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হলে চাল রপ্তানিকারক দেশগুলো রপ্তানি হ্রাস করে দিতে পারে, যা পণ্যটির শুধু দামই বাড়াবে না বরং আমদানির জন্য এটির প্রাপ্যতা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে যেন আগামী দিনে চালকল মালিকরা সিন্ডিকেশনের মাধ্যমে বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম আর বাড়াতে না পারেন। আশ্বিন ও কার্তিক মাসে সাধারণত বাজারে চালের সরবরাহ কমে যায়। ওই সময় ওএমএস, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি এবং অন্যান্য খাদ্যভিত্তিক কর্মসূচি চালু রাখার মাধ্যমে বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে হবে।

দেশে খাদ্যশস্যের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গমের বার্ষিক চাহিদা যখন কমবেশি ৭৫ লাখ টন, তখন দেশে উৎপাদিত গমের পরিমাণ কমবেশি ১১-১২ লাখ টনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই দেশে গমের চাহিদা মেটানোর প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে আমদানি। বিশ্বের যে কয়টি দেশে সবচেয়ে দ্রুত হারে গমের আমদানি বাড়ছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশে গমের চাহিদা দ্রুত বেড়ে যাওয়ার পেছনের কারণগুলো হলো-জনসংখ্যা বৃদ্ধি, গম উৎপাদনে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হার, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের ফলে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত অর্থাৎ সব শ্রেণির ভোক্তার খাদ্য তালিকায় আটা-ময়দা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নেওয়া।

গত কয়েক বছরে গম আমদানির তথ্যে দেখা যায়, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে আমদানি করা গমের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫৬ লাখ ৯ হাজার, ৫৭ লাখ ৭৯ হাজার, ৫৫ লাখ ৩৬ হাজার এবং ৬৩ লাখ ৬৬ হাজার টন (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১)। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৩ লাখ ৪২ হাজার ৮০০ টন গম আমদানি হয়েছে বলে অন্য এক সূত্রে জানা যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দামে কিছুটা ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যায়। যুদ্ধ শুরুর পর দ্রুত হারে বেড়েছে গমের দাম।

কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো থেকে গম রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় এবং ভারত গম রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় গম আমদানিকারক দেশগুলো আমদানি নিয়ে সমস্যায় পড়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ ভারতের কাছে ১৫ লাখ টনের বেশি গম কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে সৃষ্ট সংকট কাটাতে গম সংগ্রহের এ প্রচেষ্টা। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত অতিসাম্প্রতিক খবরে জানা যায়, গমের নিরাপদ মজুত গড়ে তুলতে সরকার আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্রায় ৮ লাখ টন গম সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। এজন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় রাশিয়া, ভারত, আর্জেন্টিনা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

গম আমদানিকে একাধিক কারণে অগ্রাধিকার দিতে হবে-১. কমবেশি ৭৫ লাখ টন গমের চাহিদার বিপরীতে দেশে উৎপাদিত গমের পরিমাণ ১১-১২ লাখ টনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। ২. সরকারি গুদামে গমের মজুত একেবারে তলানিতে নেমে গেছে। ২৬ জুন এর পরিমাণ ছিল মাত্র ১ লাখ ৭০ হাজার টন। ৩. মধ্যপ্রাচ্যসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশ এবং আফ্রিকার অনেক দেশ গম আমদানির জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো থেকে গমের সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে পণ্যটির দাম আরও বেড়ে যাবে। ৪. গমের সংকট দেখা দিলে চালের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে।

খাদ্যশস্য ছাড়াও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শাকসবজি ও অন্যান্য ফসল। কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, বন্যায় প্রায় ৫-৬ হাজার হেক্টর জমির শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। এ সময় গ্রীষ্মকালীন সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে। তিল ও বাদাম চর এলাকায় ছিল, সেটিরও ক্ষতি হয়েছে।

বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমন আবাদে বিশেষ গুরুত্বারোপ করতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমন বীজের সহজলভ্যতা। প্রধানমন্ত্রী আমনের বীজতলা তৈরির জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। ধান চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সার আমদানিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বাজেটে কৃষকদের জন্য যেসব ভর্তুকি ও প্রণোদনার প্রতিশ্রুতি রয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে। প্রয়োজন মোতাবেক চাল ও গম আমদানি ত্বরান্বিত করতে হবে। খাদ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে যাতে চালকল মালিকরা ও করপোরেট হাউজগুলো চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে গভীর মনোযোগ দিতে হবে। মোট কথা, খাদ্য সংকট এড়াতে একদিকে যেমন কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে সব ব্যবস্থা নিতে হবে, তেমনি খাদ্য ব্যবস্থাপনায় মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক খাদ্য সচিব, কলাম লেখক

latifm43@gmail.com

বন্যা খাদ্য সংকট

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম