স্মরণ
ফজলে হাসান আবেদের শিক্ষাভাবনা
শরফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এ দেশের সাধারণ মানুষ ও তাদের জীবন সংগ্রামই ছিল স্যার ফজলে হাসান আবেদ কেসিএমজি’র উন্নয়নচিন্তার কেন্দ্র। তিনি বিশ্বাস করতেন, গুণগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষাই বদলে দিতে পারে দেশ ও জাতির ভাগ্য। বৈষম্যহীন, দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষিত জাতি গঠনই ছিল তার ধ্যান ও জ্ঞান। উদ্ভাবনী শিক্ষা সংস্কারের মাধ্যমে ফজলে হাসান আবেদ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। ফজলে হাসান আবেদ বিশ্বাস করতেন, সমাজকে বদলাতে হলে প্রথমেই এর শিক্ষাব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধন নিশ্চিত করতে হবে। কারণ শিক্ষাই পারে একটি দেশের মূল চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করতে। শিক্ষাই পারে আজ ও আগামীর ভিত গড়তে। ফজলে হাসান আবেদ অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় বিশ্বাসী ছিলেন এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করাই ছিল তার দর্শন। এমনই দৃঢ় বিশ্বাসে ফজলে হাসান আবেদ শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন তার দূরদৃষ্টিতে, কর্মে, আর নিবিড় আবেগে।
জীবনবৃত্তান্ত
ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি লন্ডনে অ্যাকাউন্টেন্সি বিষয়ে পড়াশোনা করেন এবং কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট হন। পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানির সিনিয়র করপোরেট এক্সিকিউটিভ হিসাবে কর্মরত থাকাকালে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড় এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নাটকীয়ভাবে তার জীবনের দিক পরিবর্তন করে দেয়। চাকরি ছেড়ে তিনি লন্ডনে চলে যান। সেখানে তিনি মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ ও ‘হেলপ বাংলাদেশ’ নামে দুটি সংগঠন গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন।
মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭২ সালের শুরুর দিকে তিনি যখন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন, তখন দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত। ভারত থেকে ফিরে আসা এক কোটি শরণার্থীর জন্য জরুরিভাবে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার প্রয়োজন ছিল। ফজলে হাসান আবেদ তখন প্রত্যাগত শরণার্থীদের সহায়তায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় ‘ব্র্যাক’ গড়ে তোলেন। দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন ঘটানো ছিল প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য। ব্র্যাক এখন বিশ্বের এক নম্বর এনজিও, যার কার্যক্রম এশিয়া ও আফ্রিকার এগারোটি দেশে পরিচালিত হচ্ছে।
সামাজিক ক্ষেত্রে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য ফজলে হাসান আবেদ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য পুরস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে-শিক্ষা উন্নয়নে বিশ্বের সর্বোচ্চ পুরস্কার ইদান প্রাইজ (২০১৯), নেদারল্যান্ডসের রাজা কর্তৃক রয়াল নাইটহুড উপাধি (২০১৯), লেগো অ্যাওয়ার্ড (২০১৮), লাউদাতে সি’ অ্যাওয়ার্ড (২০১৭), হোসে এডগারডো ক্যাম্পোস কোলাবোরেটিভ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড (২০১৬), টমাস ফ্রান্সিস জুনিয়র মেডেল অব গ্লোবাল পাবলিক হেলথ পুরস্কার (২০১৬), ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ (২০১৫), ট্রাস্ট উইমেন হিরো অ্যাওয়ার্ড (২০১৪), অর্ডার অব সিভিল মেরিট (২০১৪), লেভ তলস্তয় স্বর্ণপদক (২০১৪), ওপেন সোসাইটি প্রাইজ (২০১৩), ইউনেস্কো নোমা পুরস্কার (১৯৮৫), কমিউনিটি লিডারশিপের জন্য রামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড (১৯৮০) ইত্যাদি। এছাড়া তিনি বহু সম্মানসূচক ডিগ্রি পেয়েছেন।
শিক্ষা প্রসারে ফজলে হাসান আবেদ
১৯৭২ সালে ফজলে হাসান আবেদ প্রতিষ্ঠা করেন ব্র্যাক। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্য সামনে রেখে আমৃত্যু তিনি মানুষের পাশে থেকেছেন, ঘুরে বেড়িয়েছেন সারা দেশে। তিনি উপলব্ধি করেছেন, দারিদ্র্য, সুযোগ ও সচেতনতার অভাব এবং পরিবারের জন্য অন্নের সংস্থান করতে গিয়ে মূলধারার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাবঞ্চিত হয়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ। একই কারণে সন্তানদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থাও করতে পারছেন না তারা। ফজলে হাসান আবেদ অনুধাবন করেন, শিক্ষার উন্নয়ন না করতে পারলে অন্য সব উন্নয়ন কোনো কাজে আসবে না। এটা ভেবেই সাধারণ মানুষকে মূলধারার শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে তিনি চালু করেন গণশিক্ষা কার্যক্রম নামে অনানুষ্ঠানিক এক শিক্ষাপদ্ধতি।
গণশিক্ষা কার্যক্রমের বিপুল সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শিশুদের জন্য শিক্ষা বিস্তারে মনোযোগী হন ফজলে হাসান আবেদ। ১৯৮৫ সালে ২২টি এক কক্ষবিশিষ্ট স্কুল নিয়ে শিশুদের জন্য উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেন তিনি। এ কর্মসূচির অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল জীবন ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য মৌলিক শিক্ষাকে ভিত হিসাবে কাজে লাগানো। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ফজলে হাসান আবেদ প্রণীত এ মডেল এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেও ছড়িয়ে পড়ে এবং তা এখনো চালু রয়েছে। ফজলে হাসান আবেদের শিক্ষা উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, কিশোর-কিশোরীদের জন্য বিশেষায়িত শিক্ষাকেন্দ্র এবং ভাসমান স্কুলসহ অসংখ্য উদ্ভাবনী শিক্ষাপদ্ধতি, যেখানে বই-খাতাসহ বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ পেয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এসব প্রতিষ্ঠান ঝরে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়ালেখার সুযোগ করে দিয়েছে। এমন হাজার হাজার স্কুলে শিক্ষালাভ করেছে দেশের কোটি শিক্ষার্থী। এ শিক্ষার্থীরাই পরে মূলধারার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ হিসাবে গড়ে উঠে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করেছে। এ শিক্ষার্থীদের দিন বদলের গল্পগুলোই ফজলে হাসান আবেদের শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মুখপত্র।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা
নিরন্তর নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, বিশ্বমানের পাঠদান, গবেষণা এবং মুক্তবুদ্ধির চর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশে উন্নত-আধুনিক ও সমৃদ্ধ শিক্ষাব্যস্থা গড়ে তুলতে ২০০১ সালে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন ফজলে হাসান আবেদ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ, সহানুভূতিশীল সচেতন সুনাগরিক তৈরিসহ সমাজের সার্বিক উন্নয়ন সাধনই ছিল ফজলে হাসান আবেদের ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্দেশ্য।
মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে লিবারেল আর্টস পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, যা নিত্যনতুন উদ্ভাবনী শক্তি অর্জনে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করে। নতুন জ্ঞান সৃষ্টিকে উৎসাহিত করা, মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছেন তিনি।
২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিকে একটি বিশ্বমানের আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। পৃথিবীখ্যাত বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২৫০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একাডেমিক সম্পর্ক রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির। একমাত্র দক্ষিণ এশীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ওপেন সোসাইটি ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্কে যোগ দিয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। ওপেন সোসাইটি ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্ক হলো বিশ্বজুড়ে শিক্ষাকে সমন্বিত করতে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন দ্বারা একত্রিত হওয়া বৈশ্বিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একটি জোট।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই গবেষণাধর্মী বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও সেন্টার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বারোপ করেন তিনি। জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা উন্নয়ন, সুশাসন, শান্তি ও ন্যায়বিচার, রোবোটিকস, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, উদ্যোক্তা তৈরি, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ গবেষণা এবং ভ্যাকসিনের কোল্ড চেইনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এরই ফলস্বরূপ ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ ইমপ্যাক্ট র্যাংকিং ২০২২-এ বিশ্বসেরা ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় জায়গা পেয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। মানসম্মত গবেষণার জন্য ফজলে হাসান আবেদ প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি), ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট (বিআইইডি), ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ (জেপিজিএসপিএইচ) এবং সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসসহ (সিপিজে) ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান এখন আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতনামা গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসাবে সুনামের সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে।
শিক্ষার্থীদের সহানুভূতিশীল ও দায়িত্ববান মানুষে পরিণত হতে সহায়তা করা এবং তাদের নেতৃত্ব গুণসম্পন্ন হিসাবে গড়ে তুলতে ঢাকার অদূরে সাভারে একটি আবাসিক ক্যাম্পাস গড়ে তোলেন ফজলে হাসান আবেদ। এ আবাসিক ক্যাম্পাসে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে একটি সেমিস্টার সম্পন্ন করতে হয়। এ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জীবনমুখী ও প্রায়োগিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়ে থাকে। এখানে যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি সামাজিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কে জ্ঞাতকরণ, মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা ও সহানুভূতিশীল আচরণ, সর্বোপরি ‘অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা’ নীতির ওপর ভিত্তি করে একটি সামগ্রিক পাঠ্যক্রম অফার করা হয়ে থাকে, যা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির আবাসিক ক্যাম্পাসের পাঠ্যক্রম এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে করে শিক্ষার্থীরাও ফজলে হাসান আবেদের মতোই গোটা বিশ্বকে পাঠশালা হিসাবে গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ হয়। এ আবাসিক ক্যাম্পাসে অনন্য পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য পাবলিক স্পিকিং, খেলাধুলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চর্চা, সংগীত-বিতর্ক-আবৃতি-অভিনয়চর্চা এবং দলগত শিক্ষাসহ বিভিন্ন ধরনের এক্সট্রা কারিকুলাম কার্যক্রমে জোর দেওয়া হয়, যাতে করে তারা মানবিক গুণসম্পন্ন ও পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে পারে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ফজলে হাসান আবেদ চালু করেছেন দেশের অন্যতম বৃহৎ স্কলারশিপ ও ফিনান্সিয়াল এইড প্রোগ্রাম।
শিক্ষা সংস্কার ও শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১১ সালে কাতার ফাউন্ডেশন প্রবর্তিত ওয়াইজ প্রাইজ লাভ করেন ফজলে হাসান আবেদ। আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্টে অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৮ সালে লেগো পুরস্কার এবং ২০১৯ সালে শিক্ষা উন্নয়ন বিষয়ে শিক্ষাক্ষেত্রের নোবেলখ্যাত অত্যন্ত মর্যাদাসূচক ইদান প্রাইজসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
ফজলে হাসান আবেদ সত্যিকার অর্থেই একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, দক্ষ ব্যবস্থাপক ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের সুনিপুণ কারিগর ছিলেন। কেবল বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন তিনি। ফজলে হাসান আবেদ কেবল একটি নাম বা একাই অজস্র প্রতিষ্ঠান নয়, বরং বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষের অন্তরে আর দেশজুড়ে পথে-প্রান্তরে বাংলার ঘরে ঘরে অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন তিনি।
ফজলে হাসান আবেদ আজ আমাদের মাঝে নেই। ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তবে কোটি মানুষের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন আজীবন। আজ মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
শরফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী : পরিচালক, জনসংযোগ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা
