টিভির চর্চিত জুটি নীল ভট্টাচার্য আর তৃণা সাহা। অনস্ক্রিন তাদের একসঙ্গে না দেখা গেলেও, অফস্ক্রিন তৃণাল জুটিকে খুব ভালোবাসেন নেটিজেনরা। ২০২০ সালে শহর কলকাতাতে বেশ ধুমধাম করে বসেছিল এই দুই তারকার বিয়ের আসর। হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অবশেষে বিয়ের আড়াই বছর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সুখবরটা শেয়ার করে নিলেন তারা। যা শুনে আপ্লুত অনুরাগীরা। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। 

চলতি বছরেই প্রচার হয়- ডিভোর্স হতে চলেছে নীল আর তৃণার; যা মন খারাপ করে দিয়েছিল তাদের ভক্তদের। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একে-অপরের সঙ্গে কোনো পোস্ট আনছিলেন না সেই সময়। না দিচ্ছিলেন জুটিতে কোনো ফটো বা রিল। তাই অনেকেই ধারণা করে, নীল আর তৃণার সুখের সংসারে ভাঙন ধরেছে বুঝি। প্রথমদিকে চুপ থাকলেও, পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন দুজনেই। অনুরোধ করেন, শুধুমাত্র গুজবের ভিত্তিতে এরকম কোনো কথা না লিখতে, যা তাদের পরিবারের ওপর মানসিক চাপ ফেলতে পারে।

সে যাই হোক, এবার আসা যাক সুসংবাদ প্রসঙ্গে! কী ভাবছেন, সন্তান আসছে নীল আর তৃণার কোল আলো করে? আপাতত সেরকম কোনো খবর নেই। তবে এ আনন্দ তাদের কাছে সন্তানের থেকে কম নয়। দুই তারকা মিলে একটি ক্লোদিং লাইন শুরু করলেন। যার নাম ক্লদ বাই তৃনীল। গড়িয়াহাটের যশোদা ভবনে নিজেদের স্টোর খুলেছে স্টার কাপল। ইতোমধ্যে লক্ষ্মী-গণেশ পূজা করে দোকানের উদ্বোধন করে ফেলেছেন। সেই খবর অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে নীল লিখেছেন, ‘নতুনের শুরু। আমরা শুধুমাত্র আপনাদের ভালোবাসা চাই।’ 
তৃনীল জুটির কিন্তু নিজস্ব একটা স্টুডিও আছে শহরে। অভিনয়ের পাশাপাশি মন দিয়ে ব্যবসাটাও করছেন তারা। 

চলতি মাসেই বড় বিতর্কে জড়ান তৃণা। ‘মাতঙ্গিনী’ ওয়েব সিরিজের শুট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের সঙ্গে বিবাদের জেরে। এ ঘটনায় বেশিরভাগ আঙুল ওঠে তৃণার দিকেই। এমনকি তাকে বাদও দিয়ে দেওয়া হয়। আর নীলকে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ধারাবাহিক ‘বাংলা মিডিমায়’ তিয়াসা রায়ের বিপরীতে। টিআরপি তালিকায় সেভাবে ভালো ফল করতে ব্যর্থ সেই মেগা। তাই খবর বলছে, খুব জলদিই বন্ধ করে দিতে পারে চ্যানেল।