Logo
Logo
×

আনন্দ নগর

অ্যাভাটার’র তৃতীয় কিস্তি নিয়ে খুশি নন ভক্তরা!

Icon

আনন্দনগর ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

‘অ্যাভাটার : ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’, জেমন ক্যামেরন পরিচালিত ‘অ্যাভাটার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিনেমা। গত ১৯ ডিসেম্বর এটি বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। আগের দুই কিস্তির মতো এ মহাকাব্যিক সায়েন্স-ফিকশন অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চারটিতে ক্যামেরন প্যান্ডোরার জগতে জ্যাক সালি ও নেতিরির পরিবারের নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন ‘অ্যাশ পিপল’ নামক এক অগ্নিভিত্তিক না’ভি উপজাতির সঙ্গে সংঘাত এবং পানি, পৃথিবী ও আগুনের উপাদান নিয়ে এক ভিন্ন ধরনের গল্প তুলে ধরেছেন, যা সিরিজটির ভক্ত ও দর্শকদের জন্য একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা বলা যায়। বরাবরের মতো এ কিস্তিতেও জ্যাক সালির চরিত্রে স্যাম ওয়ারথিংটন ও নেতিরির চরিত্রে জো সালদানা অভিনয় করেছেন।

‘অ্যাভাটার : ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’-এ দেখা গেছে নেটেয়ামের মৃত্যুর পর জ্যাক ও নেতিরির পরিবার শোক সামলাতে গিয়ে একটি নতুন, আক্রমণাত্মক না’ভি উপজাতি ‘অ্যাশ পিপল’র মুখোমুখি হয়, যা প্যান্ডোরার সংঘাতকে আরও তীব্র করে তোলে। আগের সিনেমার মতো এ পর্বেও আগুনের উপাদানের ব্যবহার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা দর্শকদের নতুন কিছু দেখার অভিজ্ঞতা দেয়। এটিও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এবং দৃষ্টিনন্দন ভিজ্যুয়াল অ্যাফেক্টসের জন্য প্রশংসিত, যদিও এটি পূর্ববর্তী সিনেমার মতো নতুন প্রযুক্তিগত কিছু না দেখালেও দিলেও রিফাইনমেন্টের জন্য প্রশংসিত হয়েছে। বলা যায় মুক্তির চার দিনে সিনেমাটির সাফল্য চোখে পড়ার মতো। তবু সিরিজের ভক্তদের মন বিষণ্ন। তাদের মতে, এ পর্বটিকে অযথাই টেনে লম্বা করা হয়েছে। যার রানটাইম ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। এখন মানুষ এত সময় নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে বসে থাকার মতো ধৈর্য নিয়ে উপস্থিত হন না। তা ছাড়া প্রযুক্তির নতুন সংযোজনও নেই এতে।

ভক্তদের বিষণ্নতা সত্ত্বেও ‘অ্যাভাটার : ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ বক্সঅফিসে এরইমধ্যে ঝলক দেখিয়েছে। মুক্তির প্রথম দুই দিনেই এটি বিশ্বব্যাপী ১০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যবসা করেছে। যদিও বড়দিনের (২৫ ডিসেম্বর) মতো উৎসবের সিনেমা হিসাবে এ আয় প্রত্যাশার চেয়ে কম আয় হতে পারে, কিন্তু এটাও মনে রাখা উচিৎ, জেমস ক্যামেরনের সিনেমাগুলো সবসময়ই অপ্রত্যাশিতভাবে দারুণ ব্যবসা করেছে (সর্বকালের সেরা চারটি আয়কারী ছবির মধ্যে তিনটিই এ নির্মাতার সিনেমা)। ২০২২ সালে ‘অ্যাভাটার : দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ মুক্তির প্রথম দিনেই বিশ্বব্যাপী আয় করেছিল ১৩৪ মিলিয়ন ডলার, সেই তুলনায় তৃতীয় কিস্তির সেটা পার করতে তিন দিন লেগে গেছে। তবে এটাও ঠিক, দ্য ওয়ে অব ওয়াটার-এর ক্রিসমাস ছুটির আগে পুরো নয় দিন সময় পেয়েছিল, যেখানে ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ-এর ছয় দিন পাচ্ছে মাত্র ছয় দিন। তবে সিরিজের প্রথম কিস্তির হিসাবে তৃতীয় কিস্তি অনেকটা এগিয়ে আছে। ২০০৯ সালে প্রথম ‘অ্যাভাটার’ উদ্বোধনী দিনে ৭৭ মিলিয়ন ঘরে আনতে সক্ষম হয়েছিল। পরে অবশ্য বিশ্বব্যাপী বক্সঅফিসে সর্বকালের শীর্ষ আয়কারী সিনেমা এ সিনেমাটি বেশ ঝলক দেখিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ক্যামেরনের ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ও হয়তো অতীতের মতোই শেষতক চমক দেখাবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম