Logo
Logo
×

আনন্দ নগর

হ্যালো...

নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে

Icon

আনন্দনগর প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার, আশির দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা টিনা খানের মেয়ে। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে হারিয়েছেন মাকে। তবু মায়ের পথ ধরে এসেছেন অভিনয়ে। সম্প্রতি তার একটি ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। কী ছিল সেই ভিডিওতে? এসব বিষয় ও বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন এ অভিনেত্রী।

* কিছু দিন ধরে আপনাকে নিয়ে নেট দুনিয়ায় বেশ আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। কারণ কী?

** কারণটা আহামরি কিছু নয়। অভিনেত্রী সামিরা খান মাহিকে নিয়ে নেহাতই মজা করে একটি ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেছিলাম। যেখানে তিনি মেকাপ ছাড়া ছিলেন। কিন্তু সেটা আর মজা থাকেনি। এ ভিডিও নিয়ে মাহিকে বর্ণ বৈষ্যমের মধ্যে পড়তে হয়ছে। নেটিজেনরা ট্রল করছে, অনেক বাজে মন্তব্য করছে। কিন্তু মাহির কোনো ক্ষতি হোক সেটা আমি চাইনি। আমি এমন মানুষও না যে কারও ক্ষতি করব! তবু আমি ভিলেন হয়ে গেছি।

* আপনি কী ইচ্ছা করে এ ভিডিও আপলোড করেছিলেন?

** আসলে আমি খারাপ কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে ভিডিওটি আপলোড করিনি। শুটিংয়ে মজার ছলে আমরা কত কিছু করি। এটা তারই একটা অংশ ছিল। মাহি ন্যাচারাল সুন্দরী, তাকে বলিউড নায়িকাদের মতোই লাগছিল, তাই ভিডিও করেছিলাম। এখন কেউ যদি মনে করে মেকআপ করলেই সুন্দর, বা গায়ের রং ফর্সা হলেই সুন্দর, সেটা তো তার নিজস্ব ভাবনার বিষয়। আমি বরং ন্যাচারাল মাহিকে কতটা সুন্দর লাগছিল সেটাই ভিডিও করেছি আর সহজ সরল মনে আপলোড করেছি। এটা ঠিক, মাহির অনুমতি ছাড়া আপলোড করাটা আমার ভুল ছিল।

* ভিডিও আপলোডের পর মাহির প্রতিক্রিয়া কী ছিল? তিনি কী আপনাকে কিছু বলেছিলেন?

** তার তো অনেক কস্ট লাগবে এটাই স্বাভাবিক। আমাকে টেক্সট করে লিখছিল ‘আপু তুমি তো সহজ সরল তাই হয়তো বুঝতে পারনি, ভিডিওটা ডিলিট করে দাও, যা হওয়ার তো হয়েই গেছে, এখন তো আর কিছু করার নাই।’ আমি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দিয়েছি। মাহি অনেক ভালো মেয়ে। সবাইকে সম্মান করে। আমার বিশ্বাস সে বুঝেছে, আমি তাকে ছোট করে কিছু করিনি। তবু নিজেকে অপরাধী মনে করছি। এজন্য সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

* সে ঘটনার পর আপনার কাজে কী কোনো সমস্যা হয়েছে?

** জি, কাজ কমে গেছে। কারণ, সবাই আমাকে এখন ভিলেন ভাবছে, অপরাধী ভাবছে। সবচেয়ে বড় কথা, আমি নিজেই তো স্বীকার করেছি, আমার ভুল হয়েছে। এরপরও আমাকে কথা শোনাচ্ছে অনেকে। এজন্য কষ্ট লাগছে।

* বিষয়টি নিয়ে কী আপনার কিছু বলার আছে?

** আমি ভুল করেছি, আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন-এটাই বলতে চাই। কথা দিচ্ছি, আর কোনো ভুল করব না। আমি এতিম একটা মেয়ে। মিডিয়াতে কাজ করে জীবন চালাই। যারা আমাকে ভুল বুঝছে, তারা মাফ করে দিয়ে কাজে নিতে পারে না? মাত্র পাঁচ বছর বয়সে মাকে হারিয়েছি। বাবাও নেই। আমার তো পরিবার বলতে মিডিয়ার মানুষজনই। এ ঘটনার পর আমি অসুস্থ হয়ে গেছি। সবাই আপন করে নিক আমাকে, সেটাই চাই।

* নায়িকা মায়ের সন্তান হিসাবে কোনো সুবিধা পেয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে?

** আমি মায়ের জন্য কোনো সুবিধা পাইনি। বরং মায়ের যারা প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল তারা ইগনোর করে। অনেকে সম্মান করে মায়ের নাম জানলে। আমার কণ্ঠস্বর একটু ভিন্ন। তাই অনেকে কাজের ব্যাপারে গুরুত্ব দেয় না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আমি মিডিয়া পলিটিক্সের শিকার। যদিও সব নিজের কাঁধে নিয়ে ভুল স্বীকার করছি, সব দোষ আমার। শেষবারের মতো যেন কাজের সুযোগ পাই, সবার কাছে এটাই আশা করছি।

* বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

** কিছু কাজ করছি। তবে সেই ভিডিওকাণ্ডের পর কাজ কম এটা সত্যি। তারপরও কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী আছে, তাদের জন্য বেঁচে আছি। যারা আমাকে বুঝতে পেরে কাজে নিচ্ছে তবে যাহের আলভী অন্যতম। অভিনেতা নিলয় আলমগীর ও অভিনেত্রী মনিরা মিঠু আশপাশে আছে। আমি কৃতজ্ঞ এ তিনজনের কাছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম