Logo
Logo
×

আনন্দ নগর

রুপালি গিটার ফেলে অর্ধ যুগ

Icon

আনন্দনগর প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

উপ-মহাদেশের কিংবদন্তি গিটারিস্ট, সুরের জাদুকর, গীতিকার ও সংগীতশিল্পী, এলআরবির প্রতিষ্ঠাতা আইয়ুব বাচ্চুর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বহু কালজয়ী গানের স্রষ্টা, বাংলা সংগীত জগতের এক মহান দিকপাল, রুপালি গিটার হাতে সুরের সম্রাট আজ আমাদের মাঝে নেই, তবু রয়ে গেছে তার অমর সৃষ্টি। আজও জীবন্ত, আজও প্রাণবন্ত! মাত্র ৫৬ বছর বয়সে ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ব্যান্ড সংগীতের এ উজ্জ্বল নক্ষত্র। দেখতে দেখতে ছয় বছর হয়ে গেল। মৃত্যুবার্ষিকীর এই দিনে ভক্ত-অনুরাগীরা আইয়ুব বাচ্চুকে স্মরণ করছেন শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায়। বিশেষ দিনে তাকে ঘিরে সংগীতশিল্পী, মিউজিশিয়ান ও পরিবারের পক্ষ থেকে থাকছে অনেক আয়োজন। আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আইয়ুব চন্দনা বলেন, ‘প্রতিবছরের মতোই এবারের আয়োজন। তার স্মরণে কুরআন খতম আর সাধ্য অনুযায়ী এতিমদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করছি।’

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের পটিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। পারিবারিক আবহে সংগীতটা না থাকার পরও ছোটবেলায়ই গিটারের প্রেমে পড়েন। যদিও বাবার অমত ছিল। কিন্তু ছেলের প্রচণ্ড আগ্রহ দেখে ১১তম জন্মদিনে একটি গিটার কিনে দেন। সেই গিটারেই শুরু। দেহ-মননে তিনি যেমন বেড়ে উঠেছেন, তার সঙ্গে বড় হয়েছে সংগীত সত্তাও। কলেজ জীবনে ওঠার পরই বন্ধুদের নিয়ে একটি ব্যান্ড গঠন করেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। প্রথমে এর নাম ছিল ‘গোল্ডেন বয়েজ’। পরে নাম বদলে ‘আগলি বয়েজ’ রাখেন। ১৯৭৭ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডে গিটারিস্ট হিসাবে যোগ দেন এবি। সেখানে ছিলেন জেমসও। তবে আইয়ুব বাচ্চুর উত্থানের সূচনা মূলত ১৯৮০ সালে ‘সোলস’-এ যোগদানের পর। এ ব্যান্ডের হয়ে ১৯ বছর পারফর্ম করেছিলেন তিনি। এরপর নিজে কিছু করার কথা ভাবলেন, সেই ভাবনা থেকে ১৯৯০ সালে গড়ে তোলেন ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’, যা পরে ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’ বা ‘এলআরবি’ নামে বিপুল খ্যাতি লাভ করে।

আইয়ুব বাচ্চুর কণ্ঠে কালজয়ী কিছু গান হলো-‘সেই তুমি’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘মেয়ে’, ‘কেউ সুখী নয়’, ‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো’, ‘এক আকাশের তারা’, ‘ঘুমন্ত শহরে’, ‘রূপালি গিটার’, ‘উড়াল দেব আকাশে’, ‘একচালা টিনের ঘর’, ‘তারাভরা রাতে’, ‘বাংলাদেশ’, ‘বেলা শেষে ফিরে এসে’, ‘আমি তো প্রেমে পড়িনি’, ‘আম্মাজান’, ‘ফেরারি মন’ ইত্যাদি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম