হ্যালো...
গানের মান নিয়ে কখনো ছাড় দেইনি
রিয়েল তন্ময়
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সংগীতশিল্পী, গীতিকবি ও সুরকার শারমিন সুলতানা সুমি। দুই দশকের বেশি সময় ধরে গানের ভুবনে পদচারণা। গানের দল ‘চিরকুট’ নিয়ে দেশ-বিদেশে শো করছেন নিয়মিত। শিল্পীজীবনের প্রতিটি অধ্যায় রচনা করছেন এ ব্যান্ডকে সঙ্গী করে। সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বের বৃহত্তম সংগীত সম্মেলন ওয়ার্ল্ডওয়াইড মিউজিক এক্সপোতে (ওম্যাক্স) অংশ নিয়েছেন এ শিল্পী। বর্তমান কাজ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলছেন তিনি।
* ওয়ার্ল্ডওয়াইড মিউজিক এক্সপোতে আবারও অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
** চলতি বছরের সম্মেলন একটু বিশেষ ধরনের। কারণ ওম্যাক্স এবার তিন দশক পার করল। এর আগে পর্তুগালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনটিতে অতিথি হিসাবে থাকলেও এবার প্যানেলিস্ট হিসাবে যোগ দিয়েছি। সংগীতের নানা গুণিজনের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে দারুণ লাগছে। সবার সঙ্গেই মতবিনিময় হয়েছে। বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের মিউজিককে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। আমাদের ব্যান্ড সংগীত নিয়ে নানা কথা বলেছি। এটা ছাড়াও ৪ নভেম্বর নরওয়ে যাব দেশটির ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড শহরের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাগডারের আমন্ত্রণে একটি সংগীত সম্মেলনে।
* বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সংগীতকে তুলে ধরতে কেমন লাগে?
** আমাদের গান এখন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ শুনছে। আমাদের গানের ঐতিহ্য সম্পর্কে তাদের জানার আগ্রহ রয়েছে, এটি অন্যরকম ভালোলাগার। বিদেশে অনুষ্ঠান করতে গেলে, আমাকে মানুষ গান নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন। একজন বাংলাদেশি হিসাবে এটি বেশ গর্বের। গত এক যুগে যখন যে দেশে গিয়েছি, আমাদের গানের সঙ্গে মানুষের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
* প্রবাসেও দেশীয় সংস্কৃতি ধারণ করছে বাংলাদেশিরা। বিষয়টি নিশ্চয়ই আপনাকে অনুপ্রাণিত করে?
** প্রবাসীরা যখন আমাদের কোনো কনসার্টে আমাদের সঙ্গেই গলা ছেড়ে গায়, এটা অনেক বড় অনুপ্রেরণা। তখন বোঝা যায় তারা বাংলা গান শুনতে ভালোবাসেন। দেশ থেকে দূরে থেকেও তারা দেশকে ভালোবাসেন। এতে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। তাদের জন্যই আরও ভালো গান করার চাপ অনুভব করি।
* চিরকুটের ২২ বছরের পথচলা। পেছনে তাকালে কী মনে হয়?
** চিরকুট সব সময় একই ধারায় চলেছে। আমরা নতুন গান করছি, নিজেদের পরিধি আরও বাড়াচ্ছি। বিশ্ব সংগীতের সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে চলাটাই আমাদের লক্ষ্য। আজকের এ অবস্থান আমাদের একদিনে আসেনি। গানের মান নিয়ে আমরা কেউই কখনো ছাড় দেইনি। এসব কারণেই আজ দেশে-বিদেশে আমাদের গান সবাই শুনছে।
* আপনার গানের কথা-সুর অন্যরকম। এ ভিন্নতার কি বিশেষ কারণ আছে?
** আমাদের গানগুলো সহজ, কিন্তু সস্তা নয়। গানের কথাগুলোর মধ্যে এমন শব্দ আমরা রাখি যা মানুষ বুঝতে পারবেন, আবার অনুভবও করতে পারবেন।
* দলের সাফল্য কীভাবে দেখেন?
** দলের প্রত্যেকের সমান অবদানেই আমাদের চিরকুট। যতটা শ্রম দেওয়ার দরকার ও আÍসম্মান নিয়ে কাজ করে যাওয়া উচিত সেভাবেই করছি।
* ‘চিরকুট’র নতুন অ্যালবাম কবে আসছে?
** আমাদের চতুর্থ অ্যালবামের কাজ চলছে। আমি এখানে (যুক্তরাজ্য) বসে গান লিখে ও সুর করে দেশে পাঠাচ্ছি। দলের সদস্যরা সেটির সংগীতায়োজনের কাজ করছে। এর মধ্যে চারটি গান তৈরি হয়ে গেছে। বাকিগুলো সম্পন্ন হলেই অ্যালবামটি প্রকাশ করব। শ্রোতাদের সব সময় ভালো গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি । তাই গানের ক্ষেত্রে আমরা কখনোই তাড়াহুড়া করিনি।
* দেশে ফিরবেন কবে?
** একটু দেরি হবে। কারণ নরওয়ে থেকে আবার আমাকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে হবে। আরও কিছু কাজ রয়ে গেছে। সেগুলো শেষ করে হয়তো নভেম্বর মাসের শেষের দিকে ফিরব।
