নেটফ্লিক্স থেকে সরে যাচ্ছে বার্বি
আনন্দনগর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
‘বার্বি’, হলিউড সিনেমার ইতিহাসে ১৬তম সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা হিসাবে নিজের নাম আগে লিপিবদ্ধ করেছে। শুধু তাই নয়, সমালোচকদের মন জয় করা সেরা সিনেমাগুলোর মধ্যেও অন্যতম এটি। রটেন টমেটোসে এ সিনেমার স্কোর ৮৮ শতাংশ। সমালোচকরা এটিকে সাহসী, স্মার্ট এবং বাবলগাম গোলাপী ভিজ্যুয়ালের চেয়েও বেশি কিছুতে পরিপূর্ণ বলে প্রশংসা করেছেন। ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমাটিকে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের সার্জিও বার্স্টাইন ‘বছরের সেরা সিনেমা’ বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে দ্য অবজারভার (ইউকে) এর মার্ক কারমোড লিখেছেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত বিনোদনমূলক ক্যান্ডি রঙের নারীবাদী উপকথা।’ বক্স অফিসে বার্বি আয় করেছে ডোমেস্টিক ৬৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আন্তর্জাতিক ৮১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বিশ্বব্যাপী এ সিনেমার আয় ১.৪ বিলিয়ন ডলার। প্রেক্ষাগৃহের পর সাফল্যের কেন্দ্রে থাকা এ সিনেমাটি এতদিন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে দর্শকরা দেখতে পেতেন। কিন্তু সেটি আর বেশিদিন থাকছে না। ওটিটিতে এখনো চাহিদা থাকা সত্ত্বেও, বার্বি শিগ্গির নেটফ্লিক্স ছেড়ে যাচ্ছে। ১৫ জুলাই গোলাপি রঙের এ ব্লকবাস্টার তার স্বপ্নের বাড়িটি গুছিয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে নেমে যাবে।
বার্বি মূলত নারীবাদ, পুরুষতন্ত্র এবং অস্তিত্বের সংকটের গল্প। নারীর জীবনের জটিলতাগুলো অ্যাবসারডিস্ট দর্শনের থিমে এ সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে। র্নিমাণ করেছেন গ্রেটা গারউইগ। নির্মাতা এ সিনেমায় পুরুষতান্ত্রিক সমাজের জটিলতর অবধারণগত অসংগতিগুলো বিনোদন ও হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে এনেছেন। ম্যাটেলের বার্বি ফ্যাশন ডলের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। এতে বার্বি চরিত্রে মার্গোট রবি এবং কেন চরিত্রে রায়ান গসলিং অভিনয় করেছেন। সিনেমাটিতে আরও রয়েছেন আমেরিকা ফেরেরা, কেট ম্যাককিনন, মাইকেল সেরা, আরিয়ানা গ্রিনব্ল্যাট, সিমু লিউ, ইসা রে, রিয়া পার্লম্যান, হেলেন মিরেন, উইল ফেরল প্রমুখ। ২০২৩ সালের ৯ জুলাই লস অ্যাঞ্জেলেসের শ্রাইন অডিটোরিয়ামে বার্বি’র প্রিমিয়ার হয়েছিল এবং একই বছরের ২১ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এটি অস্কাপ্রাপ্ত ‘ওপেনহেইমার’র সঙ্গে একযোগে মুক্তি পায়।
বার্বির বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে কার্টুন আগেও একাধিকবার তৈরি হয়েছে এবং সেগুলো বিখ্যাত ছিল। কিন্তু ফ্যাশন পুতুলটির ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সিনেমায় পূর্ণতা দিয়েছেন গারউইড। পরিচালক গ্রেটা গারউইগ ও লেখক নোয়া বাউম্বাচ যৌথভাবে বার্বির জীবনচরিতকে চিত্রনাট্যে বন্দি করেন। তারা গোটা কাল্পনিক বারবিল্যান্ডকে পুনঃনির্মাণ করেন, যেখানে মাতৃতান্ত্রিক সমাজে লালিত নারীরা গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত। গল্পের শুরুতে অস্তিত্ব সংকটের মাঝে ধীরে ধীরে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার যাত্রা শুরু হয় বার্বির। এভাবে বার্বির রূপান্তর এবং আত্মদর্শন সামাজিক প্রতিবন্ধকতাগুলোকে কাটিয়ে নিজের সীমাবদ্ধতাকে উতরে যাওয়ার উৎসাহ দেয়।
এ সিনেমায় কমেডি, ফ্যান্টাসি ও অ্যাডভেঞ্চারের মোড়কে ম্যাটেলের খেলনাগুলো সব যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে একসঙ্গে। সেইসঙ্গে বার্বি ও কেনের সম্পর্কের বিভিন্ন স্তরে উন্মোচিত হতে থাকে বার্বি ইউনিভার্সের চরিত্রগুলো। পরিশেষে নাটকীয় পরিবেশন বার্তা রেখে যায় প্রথাগত ধ্যান-ধারণা ভেঙে নতুনকে সাদরে গ্রহণ করার।
