জনপদে জনরোষ হাঁটিহাঁটি পা পা
বেড়ে যায় সাহস শাসন
খুনখুনে কাশির কলিজা যেন সারাক্ষণ তর্ক করে!
কেউ বলে কালনাগিণীরে, বখ্খিলারে খা
কালবৈশাখী ভীষণ রূপে আজ
ঈষান নৈর্ঋতে, তার পাখা মেলে
কে যে বাঁচে আর কে যে মরে
জনগণ তা জানে না?
সাহস বেড়েছে তাহাদের দরাজ দিলের অভিসারে
নীলিমাকে ভাগ করে খায়, যেন তা পিতার সম্পদ!
নৌকার ডরার ভেতরে গদা-ধর
অক্ষৌহিণী নিয়ে শূন্যের বিরুদ্ধ তলোয়ারি যুদ্ধ করে, তাই তাহাদের পৌরাণিক ঘাড়ে তুলে নেয় মিথের পৃথিবী,
নীলিমাকে কাটকাটি করে তুকতাক ভুংভাঙ সহযোগী
বারে বারে বর্গীর ঘুঘু’রা ধান খেয়ে গেছে বহুকাল!
দেখেছি ইতরতর যেন আমরা শ্রমজীবী মানুষ এ-দেশের
নাল জমির মতোন পতিত পাহারা
ছেদ করে আসে দস্যু-বর্গী তারা
এই হুঁশ কী আছে আমাদের?
ফের কী পড়ব চক্করে কাঁডাল রানীর?
সাহস বেড়েছে খুব?
অনতিদূর দেশের বে-তে ঢেউ ওঠে?
লাড্ডু খেয়ে যারা বেহুঁশ হয়েছে!
তাহাদের চোখেমুখেমনে ঘুম দাও! প্রভু!
তাদের লুটেরা মনে শান্তি দাও
জগদীশ্বর হিমাদ্রি প্রভু!