সবুজ প্রযুক্তি নির্ভর পরিবহণ ও ব্যাটারি শিল্পে বিপ্লব
অটোটেক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিনির্ভর পরিবহণ এবং ব্যাটারি শিল্পের অগ্রযাত্রায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সম্প্রতি জারি করা দুটি পৃথক এসআরওর মাধ্যমে ইলেকট্রিক বাইক (ই-বাইক) ও লিথিয়াম আয়ন ও লিথিয়াম গ্রাফিন ব্যাটারির কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কহার ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ থেকে কমিয়ে মাত্র ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই সাহসী ও বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্তের ফলে বৈশ্বিক প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ে, টয়োটা এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন অন্তত ২০০ কোটি টাকার তাৎক্ষণিক বিনিয়োগ পরিকল্পনা করছে। এতে দেশেই ই-বাইক, তিন ও চার চাকার বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং মোবাইল টাওয়ার ব্যাটারির উৎপাদন শুরু হবে যা একদিকে জ্বালানি সাশ্রয় ও বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণে সহায়ক হবে, অন্যদিকে দেশে কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বৈচিত্র্যও বাড়াবে।
এই নীতিগত সংস্কারের মূল প্রস্তাবনা এসেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের পক্ষ থেকে। ৫ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর গবেষণা ও রেফারেন্সসমৃদ্ধ একটি ডিও পত্র প্রেরণের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করেন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এবং বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একাধিক বৈঠক ও পরামর্শ সভায় প্রস্তাবনাটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পায়।
এই এসআরও কার্যকর হলে পুরনো ও রিফার্বিশড ইলেকট্রনিক পণ্যের নামে রাজস্ব ফাঁকি ও ই-বর্জ্য প্রবাহ ঠেকানো যাবে। বাতিল করা হয়েছে ২০২২ সালের এসআরও নং ১২৩ যা এসব অনিয়মকে প্রশ্রয় দিচ্ছিল। সরকার প্রতিবছর প্রায় ১০০০ কোটি টাকার রাজস্ব পুনরাম্ভ করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত শুধু প্রযুক্তি শিল্পে গতি আনবে না, বরং একটি টেকসই, প্রযুক্তিনির্ভর এবং পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গঠনের মজবুত ভিত্তিপ্রস্তর হিসাবে কাজ করবে।
