Logo
Logo
×

বাংলার মুখ

কমলনগরে নৌ-পুলিশের চাঁদাবাজির প্রতিবাদ

Icon

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কমলনগরে মেঘনা নদীতে জেলেদের জিম্মি করে নৌ-পুলিশের চাঁদাবাজি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে র‌্যালি ও সমাবেশ হয়েছে। শুক্রবার কালকিনি ইউনিয়নের নাসিরগঞ্জ এলাকার মেঘনা নতীর তীরে ‘স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের’ আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। ‘নৌ-পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ করো, সিন্ডিকেট ভেঙে দাও, বিকাশে চাঁদা আদায় চলবে না, জেলেদের হয়রানি বন্ধ করো’ এমন স্লোগানে শত-শত জেলে র‌্যালিতে অংশ নেন। চরকালকিনি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে বক্তারা চাঁদা ও হয়রানি বন্ধ করে জেলেদের নিরাপত্তার দাবি জানান। ভুক্তভোগী জেলে দিদার বলেন, আমরা নদীতে মাছ শিকার করতে গেলে নৌ-পুলিশ প্রথমে আমাদের ধরে। পরে পিছ মোড়া বান্দে (দুই হাত পেছনে বাঁধে) এরপর মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে চালান দিয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে নৌ-পুলিশকে দিতে হয়। এমন চাঁদাবাজির শিকার হাজার হাজার জেলে। ভুক্তভোগী হারুন মাঝি বলেন, লাখ লাখ টাকা ঋণ করে জাল ও নৌকা কিনে মাছ ধরি। নৌ-পুলিশ আমাদের আটকে চাঁদা দাবি করে। না হয় জলদস্যু হিসাবে চালানের হুমকি দেয়। আলাউদ্দিন মাঝি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, নৌ-পুলিশ আমার জীবনটা ধ্বংস করে দিয়েছে। এ সময় তিনি তার পায়ে নৌ-পুলিশের কোপের ভয়াবহ ক্ষতচিহ্নটি দেখিয়ে বলেন আমার সংসারটা ধ্বংস করে দিয়েছে নৌ-পুলিশ। এ বিষয়ে রামগতি বড়খেরী নৌ-পুলিশের ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলামের বক্তব্য নিতে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। একইভাবে নৌ-পুলিশের চাঁদপুর পুলিশ সুপারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত উজ-জামান বলেন, বিষয়টি এর আগে কেউ বলেনি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম