স্বাস্থ্য বিভাগ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের যৌথ অভিযান
বিভিন্ন স্থানে ১৫ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক বন্ধ
ছয় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
স্বাস্থ্য বিভাগ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে গত দুদিনে অব্যবস্থাপনা ও লাইসেন্স না থাকাসহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটিকে ছয় লক্ষাধিক টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে। যুগান্তর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : দিনাজপুরে বুধবার বালুবাড়ীস্থ পেশেন্ট কেয়ার ক্লিনিক, মাতৃসেবা ক্লিনিক, মেঘনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের মোট চারটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার করে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নীলফামারীর ডোমারে চারটি ও সৈয়দপুরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে আনছার আলী ডায়াগনস্টিক সেন্টার, স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ট্রাস্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এদিকে সৈয়দপুরে ল্যাবএইড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আভিযানিক দল। চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদের নেতৃত্বে একটি টিম বুধবার বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে মদিনা ক্লিনিক ও গ্রিন লাইফ মেডিকেল সেন্টারের ফ্রিজ থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন ও রি-এজেন্ট উদ্ধার করা হয় এবং প্রতিষ্ঠান দুটিকে মোট এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোলায় সিভিল সার্জন ডা. কেএম শফিকুজ্জামানের নেতৃত্বে বুধবার জেলা শহর ও লালমোহন উপজেলায় বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় ছয়টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেলা সদরে পাঁচটিতে অভিযানকালে একটিকে সিলগালা এবং অপর চারটিকে সতর্ক করাসহ দুই সপ্তাহের মধ্যে অনিয়ম দূর করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে মাতৃ নিলয় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেঘনা হেলথ কেয়ার সেন্টার, মডার্ন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল সার্ভিসেস। অপরদিকে লালমোহনের গজারিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মঙ্গল সিকদার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লর্ড হার্ডিঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গ্রিন লাইভ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও গ্রিনলাইভ হাসপাতাল সিলগালা করে বন্ধ করা হয়েছে। শেরপুরে নারায়ণপুরে মঙ্গলবার তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে অনিয়ম থাকায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুটি হাসপাতালের ওটি ও প্যাথলজি বিভাগ সিলগালা করা হয়েছে। এ অভিযানে আল সাফা জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ওটিতে অনিয়ম থাকায় সিলগালা এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া হাজী নিয়ামতউল্লাহ হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে অনিয়ম থাকায় প্যাথলজিক্যাল সেন্টার সিলগালা ও পাঁচ হাজার টাকা এবং অনিয়মের অভিযোগে দারুস শীফা হাসপাতালের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শহরের বটতলাস্থ নিরাপদ জেনারেল হাসপাতাল নানা অনিয়মের অভিযোগে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এছাড়া শহরের ইউনাইটেড হাসপাতালের কাগজপত্রে ডাক্তারের স্বাক্ষর না থাকায় এবং ইউনিক হাসপাতালেও একই অভিযোগে পাঁচ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নাটোরে তিনটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর ভেতর আমজাদ খান চৌধুরী ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধ ঘোষণা করে তালা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শহরের চকরামপুর অবস্থিত মেডিপ্যাড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে মিথ্যা বিজ্ঞাপন প্রচারের দায়ে ৫০ হাজার টাকা এবং বড় হরিশপুর এলাকার আল-সান ক্লিনিকের ফ্রিজে খাদ্যসামগ্রী রাখার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই অভিযান পরিচালনাকালে শহরের কানাইখালী এলাকায় অবস্থিত আমজাদ খান চৌধুরী (একেসি) ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ১ লাখ টাকা জরিমানা ও লাইসেন্স না থাকায় প্রতিষ্ঠানটাকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। চাঁদপুরে হাজীগঞ্জ বাজারে বুধবার শুকরান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হলি কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা এবং হলি কেয়ার ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা করেছেন ভোক্তা অধিদপ্তর। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসাইন বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে স্কলার ডায়াগনস্টিক ও ডেন্টল ক্লিনিককে ৫০ হাজার এবং লাইসেন্সহীন সততা ক্লিনিককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
