আদমপুরের পাঁচশ বছরের মসজিদ সংরক্ষণের দাবি
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রায় পাঁচশ বছরের পুরোনো প্রাচীন একগম্বুজ বিশিষ্ট মুন্সী আমিরুল্লাহ জামে মসজিদ মুসলিম ঐতিহ্যের নিদর্শন। যা প্রত্নতত্ত্ব স্থাপত্য শিল্পের অপরূপ সৌন্দর্যের দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। ৪০ ফুটের কাছাকাছি উঁচু মসজিদটি চুন-সুরকি দিয়ে নির্মাণ করা। একগম্বুজ বিশিষ্ট একতলা মসজিদের মূল ভবনের চারপাশ দুশ বর্গফুট। একসঙ্গে ২৫ থেকে ৩০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারা এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদের অবস্থান পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামে। ঐতিহ্য বহন করায় মসজিদটির ছবি স্থান পেয়েছে উপজেলা প্রশাসনের সরকারি ওয়েব সাইটে। আর প্রায়ই ভ্রমণপ্রিয় মানুষ এবং কনটেনক্রিয়েটররা ছুটে যান মসজিদটি দেখতে এবং ছবিসহ ভিডিও ধারণ করতে। প্রায় পাঁচ শতাধিক বছর আগে দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুন্সী বাড়ির মুন্সী আমিরুল্লাহ এই মজজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। কারও কারও মতে মসজিদটির নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া সঠিক ব্যক্তির নাম কারও জানা নেই। মুন্সী আমিরুল্লাহর সপ্তম বংশধরদের আর্থিক অভাব অনটনের কারণে রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় মসজিদের সৌন্দর্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। মসজিদের ভেতরে বাইরে সমস্ত পলেস্তরা খসে ইট বের হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে মসজিদের দেওয়ালে শ্যাওলা জমে বিবর্ণ হয়ে গেছে মসজিদের সৌন্দর্য। অভাব রয়েছে পরিচর্যার। মসজিদটির পাশেই আছে প্রায় পাঁচশ বছরের পুরোনো দীঘি। স্থানীয়রা, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রতি মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন। শাহ আলম মুন্সী বলেন, অনেকবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ইউএনও নাফিসা নাজ নীরা বলেন, মসজিদটি বেশ পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী হওয়ায় এটির ছবি উপজেলা প্রশাসনের সরকারি ওয়েব সাইটে আপলোড করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষণের চেষ্টা করা হবে।
