Logo
Logo
×

বাংলার মুখ

লালপুরে কাটা হচ্ছে রাস্তার পাশের এক হাজার গাছ

Icon

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

লালপুরে দরপত্রের মাধ্যমে রাস্তার পাশের প্রায় এক হাজার গাছ ঢালাওভাবে কাটা হচ্ছে। তবে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ না কাটার দাবি তুলেছে এলাকাবাসী ও বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন। জানা গেছে, উপজেলার মোহরকয়া কলেজ থেকে অমৃতপাড়া ও কলেজের পেছন থেকে রহিমপুর পর্যন্ত দুই প্লটে প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তায় সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় সমিতির মাধ্যমে প্রায় ১২ বছর আগে কয়েক হাজার ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করেছিল উপজেলা বনবিভাগ। ২০২৩ সালে প্রায় এক হাজার গাছ কাটার জন্য গাছের গায়ে নম্বর দিয়ে দরপত্র সম্পন্ন করেছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য গাছগুলো না কেটে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি ও পথচারীরা। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার ধারে সবুজের নয়নাভিরাম দৃশ্য আর নেই। ইতিমধ্যে চার-তৃতীয়াংশ গাছ কাটা সম্পন্ন হয়েছে। সেই কাটাগাছগুলো আশপাশের ইটের ভাটায় জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখনো প্রায় ৩ শতাধিক গাছের গায়ে নম্বর বসানো। সেগুলোও কাটা হবে।

বিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিক আলী মিষ্টু বলেন, গাছপালা কমে যাওয়ার কারণেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে না, তীব্র দাবদাহ চলছে। তিনি গাছ না কাটার দাবি জানান।

জানা গেছে, আর্থ-সামাজিক ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৪ সাল থেকে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বনবিভাগ। তারা প্রথমে স্থানীয়দের নিয়ে এলাকাভিত্তিক সমিতি গঠন করে। পরে বিভিন্ন সড়কের ধারে জ্বালানি কাঠের গাছের চারা রোপণ করেন। গাছ দেখাশোনা করেন সমিতির সদস্যরা। গাছের বয়স যখন ১০ বছর পূর্ণ হয়, তখন গাছ কাটা ও বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে বনবিভাগ। গাছ বিক্রির ৫৫ ভাগ টাকা পান সমিতির সদস্যরা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ পায় ৫ ভাগ। আর বনবিভাগ ও সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভাগ পায় ২০ ভাগ করে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে বনবিভাগের সঙ্গে কথা বলেন।

রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ্ বলেন, সামাজিক বনায়ন প্রকল্পেরর গাছ নির্ধারিত সময় পার হওয়ায় নীতিমালা মোতাবেক সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ বিক্রি করা হয়। সমিতির নিয়ম অনুসারে গাছ রক্ষার কোনো সুযোগ নেই।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম