‘কান্তজিউ বিগ্রহ’ এখন দিনাজপুরের রাজবাটীতে
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পৌনে তিনশ বছরের প্রথা অনুযায়ী শুক্রবার দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার কান্তনগর মন্দির থেকে ‘কান্তজিউ বিগ্রহ’ নৌপথে নিয়ে যাওয়া হলো দিনাজপুর শহরের রাজবাটী (রাজবাড়ী) মন্দিরে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভগবান শ্রী কৃষ্ণের আরেক রূপ কান্তজিউ বিগ্রহকে নদীপথে নিয়ে যাওয়ার সময় ঢেপা নদীর দুই তীর প্রতিবছর ভক্ত-পুণ্যার্থীর ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে এবার পুণ্যার্থী উপস্থিতি কিছুটা কম। প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে সেনাসদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে।
দিনাজপুর রাজ দেবোত্তর এস্টেটের এজেন্ট রনজিৎ সিংহ বলেন, প্রথা অনুযায়ী ২৭০ বছর আগ থেকে প্রতিবছর জন্মাষ্টমীর দুদিন আগে কাহারোলের কান্তনগর মন্দির থেকে ‘কান্তজিউ বিগ্রহ’ নদীপথে দিনাজপুর শহরের রাজবাটী মন্দিরে আনা হয়। রাজবাটী মন্দিরে ৩ মাস থাকার পর রাস পূর্ণিমায় আবার কান্তনগর মন্দিরে ফিরিয়ে নেওয়া হবে শ্রী কৃষ্ণের আরেক রূপ ‘কান্তজিউ বিগ্রহ’। প্রথা মেনে কান্তজিউ বিগ্রহ ধর্মীয় উৎসব-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে নিয়ে আসা হয়। সেই রীতি অনুযায়ী সকাল ৭টায় কান্তনগর মন্দিরে পূজা অর্চনা শেষে কান্তজিউ বিগ্রহ মন্দির থেকে পদব্রজে ঢেপা নদীর কান্তনগর ঘাটে আনা হয়। সেখান থেকে বিশাল নৌবহর নিয়ে যাত্রা শুরু হয় দিনাজপুর শহরের সাধুর ঘাটের উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার নদীপথে কান্তনগর ঘাট থেকে শতাধিক ঘাটে কান্তজিউ বিগ্রহ বহনকারী নৌকা ভিড়ানোর পর সন্ধ্যায় এসে পৌঁছে দিনাজপুর শহরের উপকণ্ঠে পুনর্ভবা নদীর সাধুর ঘাটে।
