আমতলীতে হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়েছে স্বামী
যুগান্তর প্রতিবেদন, আমতলী (বরগুনা)
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
স্বামী ইমন সরদারের নির্যাতনে স্ত্রী জুবায়রা আক্তার জান্নাতির নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জান্নাতির বাবা সাংবাদিক সুমন রশিদ এমন অভিযোগ করেছেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। ঘটনার পর স্বামী ইমন সরদার স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌরসভার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় শুক্রবার রাতে।
জানা গেছে, গুলিশাখালী গ্রামের আমতলী সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি সুমন রশিদের মেয়ে জুবায়রা আক্তার জান্নাতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে গত এক বছর আগে গোপনে বিয়ে করেন নাচনাপাড়া গ্রামের আল আমিন সরদারের ছেলে ইমন সরদার। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী জান্নাতিকে যৌতুকসহ নানা অজুহাতে নির্যাতন করে আসছে স্বামী ইমন সরদার এমন অভিযোগ বাবা সুমন রশিদের। শুক্রবার বিকালে দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রী জান্নাতিকে স্বামী ইমন মাথার চুল কেটে দেয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। একপর্যায় স্বামী ইমন সরদার স্ত্রী জান্নাতিকে বেধড়ক মারধর করে। ওই মারধরে তিনি মারা যায়। মৃত্যু ভেবে স্বামী ইমন স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে স্বামী ইমন স্ত্রীর লাশ আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসক জান্নাতির মৃত্যু নিশ্চিত করলে লাশ রেখে ইমন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমতলী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। স্বামী ইমন সরদার আমতলী পৌরসভা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। শনিবার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে পুলিশ জান্নাতির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্বামী ইমন সরদার স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, দাম্পত্য কলহের জের ধরে আমি আমার স্ত্রীর মাথার চুল কেটে দিয়েছি। এ ঘটনায় আমার সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছে। একপর্যায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরুজ্জামান খাঁন বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই জান্নাতির মৃত্যু হয়েছে।
