নদীতে ভাঙন অব্যাহত
মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কোম্পানীগঞ্জ
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ছোট ফেনী নদী ও বামনীয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে উপকূলীয় উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ। গত বছর মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ার কারণে নদীভাঙন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধির অর্থলোলুপতাকে প্রাধান্য দিয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের প্রশ্রয়ে মুছাপুর রেগুলেটরের আশপাশ থেকে অবৈধভাবে কোটি কোটি সিএফটি বালু উত্তোলন করার ফলে মুছাপুর রেগুলেটর ও ক্লোজার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
ভাঙনের কবলে পড়েছে উপকূলীয় এ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন, চরএলাহী ইউনিয়ন, চরফকিরা, চরপার্বতী ও চরহাজারী ইউনিয়নের বেশকিছু অংশ। ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে সাইক্লোন শেল্টার, স্কুল-মাদ্রাসা, ঘরবাড়ি, মৎস্য ও পশু খামারসহ সবই।
এদিকে ভাঙন রোধকল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ঠিকাদারদের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলার কাজ চললেও অনিয়ম ও অতি নিম্নমানের কাজ ধীরগতিতে চলছে। এতে ভাঙন রোধে তেমন কোনো কার্যক্রম ব্যবস্থা না হলেও একদিকে ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পকেট ভারি হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগে জানান, নদী থেকে অতিমাত্রায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলের কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে কয়েকগুণ। গত এক বছরে ভাঙনকবলিত হয়েছে প্রায় ৯ কিলোমিটার এলাকা।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্তেও রেগুলেটর এলাকার আশপাশ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ক্লোজার ও রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ার বিষয়টির সত্যতার প্রমাণ মেলে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী বলেন, অতি দ্রুততম সময়ে মুছাপুর ক্লোজার ও রেগুলেটর পুনরায় নির্মাণ করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
