আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ যেখানে
যশোরের শাম্স-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রশিক্ষণের সঙ্গে লেখাপড়া করানো হয় বাংলাদেশের একমাত্র বেসরকারি আবাসিক ক্রীড়া প্রশিক্ষণের কেন্দ্র যশোরের শাম্স-উল-হুদা ফুটবল একাডেমিতে। প্রায় ৮০ বিঘা জমির ওপর দৃষ্টিনন্দন এই ফুটবল একাডেমি গত ১৪ বছর ধরে ফুটবলার তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
যশোর শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে নড়াইল রোডের হামিদপুরে ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় শাম্স-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি। বড় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে প্রতিনিয়ত শত শত শিশু-কিশোর-তরুণ ফুটবল শিখছে সেখানে। একাডেমির তরুণ ফুটবলাররা বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোতে নিয়মিত আলো ছড়াচ্ছেন। প্রথম অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ২৫ ফুটবলারের মধ্যে ২০ জনই এই একাডেমির। একাডেমির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মাসুদুর রহমান টনি জানান, ‘ফুটবল একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ২০ ফুটবলার বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলেছেন। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবে ১০ দিনের ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশ নিয়েছে এখনকার ফুটবলাররা।’ একাডেমির প্রধান কোচ কাজী মাহরুফ হোসেন বলেন, ‘একাডেমিতে বেশ কিছু মেধাবী খেলোয়াড় রয়েছে। আমরা তাদের নিবিড় প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এরাই আগামীর ভবিষ্যৎ।’
অল্প সময়ে শাম্স-উল-হুদা ফুটবল একাডেমির সাফল্যের পেছনে রয়েছে ভিন্ন গল্প। এই প্রতিষ্ঠানে খেলোয়াড়দের ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অনার্স পর্যন্ত ভর্তি করে দেওয়া হয়। এসময় তাদের স্কুলব্যাগ, স্কুল ড্রেস, বেতন, পরীক্ষার ফিসহ সব ধরনের খরচ বহন করা হয়। প্রতি বছর খেলার জন্য দুই সেট জার্সি ও বুট দেওয়া হয়। আর একাডেমি চালানোর জন্য জাহেদী ফাউন্ডেশন পৃষ্ঠপোষকতা করে।
শাম্স-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি চেয়ারম্যান ও রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর পরিকল্পনা ও অর্থায়নে হামিদপুরে ৬৫ বিঘা জমি কেনা হয়েছে। আরও ১৫ বিঘা কেনার চেষ্টা চলছে। এরইমধ্যে দৃষ্টিনন্দন ৬ তলা একাডেমি ভবন তৈরি করা হয়েছে। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘ভাষা সৈনিক মুসা মিয়া ভবন’। যা এপ্রিলে উদ্বোধন করা হতে পারে। এছাড়া খেলোয়াড়দের জন্য জিমনেশিয়াম তৈরি করা হয়েছে। এখানকার যুব-তরুণরা যেন অবক্ষয়ের অতল গহ্বরে হারিয়ে না যায়-এটাই চান জাহেদী। ফুটবলাররা তার পরিবার এবং রাষ্ট্রকেও যেন সেবা করতে পারে, এমন লক্ষ্য সামনে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছে এই একাডেমি।