সংবাদ সম্মেলনে স্বজনদের দাবি
বংশালে সজীব হত্যার আসামিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজধানীর বংশাল এলাকায় সজীব হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তার না করে পুলিশ রহস্যজনক আচরণ করছে। সোমবার সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন স্বজনরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সজীবের বোন শান্তা আক্তার, প্রিয়াংকা আক্তার অনিকা, ভগ্নিপতি মো. কায়কোবাদ, ভাবি তাহমিনা তৃষা প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতা করেন শান্তা আক্তার।
স্বজনদের অভিযোগ, মোটা অঙ্কের টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়ায় পুলিশ সজীব হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাছাড়া আসামিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানান তারা।
শান্তা আক্তার বলেন, তার ভাই সজীবের সঙ্গে ৪/৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বংশাল এলাকার ৯৩/১, আগামসি লেনের বাড়ির চতুর্থতলায় বসবাসকারী খাদিজা আক্তারের। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর খাদিজার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টিকে মেনে নেয়নি। গত ২৫ অক্টোবর বিকাল ৩টার দিকে খাদিজার সঙ্গে দেখা করতে ওই বাড়ির চতুর্থতলায় অবস্থিত হাজি মো. কামাল হোসেনের বাসায় যায় সজীব। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় চতুর্থতলার খাদিজাদের বাসার সিঁড়িতে হাতে-পায়ে, গলায় ও কোমরে জিআই তার প্যাঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে থাকা সজীবের লাশ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এই ঘটনায় মামলা করতে সজীবের পরিবারের সদস্যরা বংশাল থানায় গেলে পুলিশ কোনো মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে মামলা গ্রহণের দাবিতে দুই দিন স্থানীয়ভাবে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হলে বংশাল থানা পুলিশ মামলা গ্রহণে সম্মত হয়। কিন্তু কোনো আসামির নাম লিখতে নিষেধ করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের দাবির মুখে মামলায় খাদিজার মামা প্রবাসী হাজি মো. কামাল হোসেন ও মো. হুমায়ুন কবিরের নাম লেখা হলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের গ্রেপ্তারে অস্বীকৃতি জানায় পুলিশ।
