Logo
Logo
×

রাজধানীর খবর

মিরপুরে মবের শিকার ছাত্রদলের ৬ নেতাকর্মী

Icon

মিরপুর (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর মিরপুরে একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠান করার অনুমতি নিতে গিয়ে মবের শিকার হয়েছেন ছাত্রদলের ৬ নেতাকর্মী। শুধু তাই নয়, মব সৃষ্টি করে তাদের চাঁদাবাজ অ্যাখ্যা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। রোববার বিকাল ৫টার দিকে মিরপুর ১৩ নম্বরের সাইক ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে এ ঘটনা ঘটে।

মবের শিকার ওই ছাত্রদল নেতারা হলেন রেজওয়ান উল করিম রিফাত, ফারহান শাহরিয়ার প্রান্ত, ফয়সাল মাহবুব, আতাউর রহমান নিরব, ইশতিয়াক খান ও আরিয়ান ইসলাম। তাদের মধ্যে ফয়সাল মাহবুব ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক, রেজওয়ানুল করিম রিফাত সাবেক ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক এবং অন্যরা ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী।

জানা যায়, রেজওয়ান উল করিম রিফাতের প্রিন্স নামে এক বন্ধু আছে। ঘটনার দিন দুপুরের দিকে প্রিন্স তার মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য অনুমতি নিতে মিরপুর ১৩ নম্বরের সাইক ইনস্টিটিউটের পরিচালক আবু হাসনাত মো. ইয়াহিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান। একপর্যাায়ে প্রিন্সের রাজনৈতিক পরিচয় শুনে পরিচালকের রুমে থাকা সোহেল খন্দকার ফাহিম নামে একজন স্টাফ রেগে যান। তিনি প্রিন্সকে রাজনৈতিকভাবে নাজেহাল ও বিভিন্নভাবে কটাক্ষ করেন। সেখানে তার বন্ধুরা পরিচালক ইয়াহিয়াকে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দিতে পুনরায় অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়-‘ছাত্রদল পরিচয়ে কিছু লোক চাঁদাবাজি করতে এসেছে এবং ম্যানেজমেন্টের ওপর হামলা করেছে।’ ছাত্রদল নেতা রেজওয়ান উল করিম রিফাত যুগান্তরকে বলেন, প্রিন্সের কাছে ঘটনা শুনে অনুষ্ঠানের অনুমতির জন্য পুনরায় অনুরোধ করতে সাইকের পরিচালকের কাছে যাই। সেখানে পরিচালকের রুমে তিনজন লোককে দেখি। তাদের মধ্যে দুজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও একজন শিবিরকর্মী। সাইক গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাইক ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক আবু হাসনাত মো. ইয়াহিয়া সোমবার রাতে যুগান্তরকে বলেন, চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রিন্স নামে এক ছেলে আমাদের ইনস্টিটিউটে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন করার জন্য অনুমতি নিতে এসেছিল। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে প্রিন্স ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ডেকে নিয়ে এলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের মারধর করে। ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। ছাত্রদলের কেউ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নয়। ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান যুগান্তরকে বলেন, যতদূর জেনেছি সেনাবাহিনী ৬ জনেক মুচলেকা দিয়ে রাতেই ছেড়ে দিয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম