রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে কুরবানির ঈদে কসাইয়ের কাজ ভাগাভাগি নিয়ে দুজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। সোমবার সকালে নবীনগর এলাকার আল ফারুক হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় একজনকে আটক করা হয়েছে। তার নাম মো. আরিফ হোসেন। এ সময় তার কাছ থেকে একটি চাপাতি ও একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়।

আহতরা হলেন মো. শিমুল ও সুমন। তারা পেশায় কসাই। তাদের মধ্যে শিমুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও সুমনকে কুড়ারঘাট সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে দুজনই চিকিৎসা শেষে বাসায় আছেন।

শিমুলের বড় ভাই মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর কুরবানির ঈদে তিনি, শিমুল, সুমন ও আরও একজন মিলে কসাইয়ের দল গঠন করে কাজ করেন। ২০০৫ সালে আরিফকে দলে যোগ দিতে বললে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। সেখান থেকেই বিরোধের শুরু। গিয়াস উদ্দিন বলেন, এবারের ঈদেও কাজ না পেয়ে আরিফ ক্ষুব্ধ ছিলেন। ঘটনার দিন সকালে শিমুল ও সুমন নাশতা করতে গেলে ওতপেতে থাকা আরিফ চাপাতি এবং চাইনিজ কুড়াল দিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় শিমুলের বাম কাঁধে গুরুতর জখম হয়। হাসপাতালে তার কাঁধে ২১টি সেলাই দেওয়া হয়। সুমন হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে ডান হাতের কব্জি ও বাম কানের নিচে জখম হন। তাদের সঙ্গে থাকা আলমগীর পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। পরে স্থানীয়রা হামলাকারী আরিফকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

এ বিষয়ে থানার ডিউটি অফিসার এসআই শেখ লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই আরিফ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।