Logo
Logo
×

রাজধানীর খবর

মাদকসেবী বখাটেদের দখলে খিলগাঁও গোলচক্কর পার্ক

ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙাচোরা রাইড

Icon

আখিনুর আক্তার রামপুরা (ঢাকা)

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর খিলগাঁও গোলচক্কর শিশুপার্ক বা চৌধুরীপাড়া গ্রীন সোসাইটি পার্ক এখন মাদকসেবী ও বখাটেদের দখলে চলে গেছে। এ কারণে পার্কটি শিশুদের খেলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে পার্কে ছড়িয়ে পড়ে গাজার গন্ধ, ভর করে আতঙ্ক। এটি দেখাশোনার জন্য একজন লোক থাকলেও তাকে সব সময় থাকতে হচ্ছে আতঙ্কে। ভক্তভোগী ওই কেয়ারটেকারের নাম মোহাম্মদ রফিক। তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে পার্কটি দেখাশোনা করছি। আমাকে প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি ও মারধরের শিকার হতে হচ্ছে। মাদকসেবী বখাটেরা সন্ধ্যা হলেই এখানে মাদকসেবন করে ও নারী নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ করে। বাধা দিলেই মারধরের শিকার হতে হয়। এ বিষয়ে চৌধুরীপাড়া গ্রীন সোসাইটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ বলেন, আমি এ পার্কটি পরিচালনা করলেও প্রশাসনিক সহযোগিতা না পাওয়ায় স্থানীয় বখাটে ও মাদকসেবীদের নেশার আড্ডা কোনোভাবেই নির্মূল করতে পারছি না। বহিরাগত ছেলে মেয়ে ঢোকে বৈঠকখানায় বসে পার্কের পরিবেশ নষ্ট করে। এতে শিশুদের নিয়ে যে অভিভাবকরা আসে তারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। তাছাড়া আর্থিক অনুদান না আসায় আমাদের পার্কটি পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

চৌধুরীপাড়া গ্রীন সোসাইটি সদস্যরা মাসিক জনপ্রতি ২০০ চাঁদা দিয়ে পার্কটি পরিচালনা করছি। তবুও চাই পার্কটি সুন্দরভাবে চলুক। তিনি আরও বলেন, পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন সরকারি লোক দরকার। কারণ উশৃঙ্খল ছেলেরা কেয়ারটেকারকে মারধর করে।

মো. রহমত উল্লাহ আরও বলেন শিশু পার্কটিতে কয়েকটি রাইড থাকলেও কোনোটি সচল নয়। ভাঙাচোরা রাইড শিশুদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

তাছাড়া পার্কে যে লাইটগুলো রয়েছে সেগুলো বেশিরভাগ কিছুদিন পরপর নষ্ট হয়ে যায়। এ জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। স্থানীয় বাসিন্দা এক যুবক বলেন, প্রতিদিন উঠতি বয়সি কিছু যুবক গাজা, ইয়াবা, হিরোইন, ফেনসিডিল সেবন করে শিশুদের মাঠে আসার পরিবেশ নষ্ট করে। তবে বহিরাগত কিছু বখাটে আসে নারীদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করতে। ২০০৫ সালে পার্কটি উদ্বোধনের পর সেখানেই থেমে গেছে। আর উন্নয়ন হয়নি। এখন পার্কের পরিস্থিতি একেবারে নাজুক। সরকারি কোনো তদারকি নেই। তিনি আরও বলেন, এ পার্কটি এখন মাদকের প্রধান হটস্পট।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ যুগান্তরকে বলেন, শিশু পার্কে যদি কোনো অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম বা অতৎপরতা ঘটে থাকে সেটি অপ্রত্যাশিত। এসব বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। এখন বিষয়টি জানতে পারলাম। যেহেতু এটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এখতিয়ারভুক্ত, তাই আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম