ডেঙ্গুর হটস্পট ডিএসসিসি ৪ নম্বর ওয়ার্ড
নির্মাণসামগ্রীতে পানি জমে মশার বংশবিস্তার
ডেমরা ও রামপুরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডকে ডেঙ্গুর হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওয়ার্ডের অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়মের কারণে ওয়ার্ডটিতে সারা বছরই ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ দেখা দেয়। এদিকে নন্দিপাড়া ব্রিজ থেকে বাসাবো বিশ্বরোড জামে মসজিদ পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কের দু’পাশের নোংরা পরিবেশও মশার প্রজনন ক্ষেত্র। ওয়ার্ড অভ্যন্তরে আবর্জনার স্তুপগুলোতে মশা বংশ বিস্তার করছে। ফেলে রাখা নির্মাণ সামগ্রীতে পানি জমে মশার বংশ বিস্তার ঘটছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, নন্দিপাড়া-মাদারটেক-বাসাবো সড়কটির নন্দিপাড়া এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সড়ক উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও এখন উন্নয়ন কাজ বন্ধ। এতে সড়কে আগের মাটি খোঁড়া ও নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় বৃষ্টির পানি জমে এডিস মশার জন্ম হচ্ছে। একই চিত্র দেখা গেছে পূর্ব মাদারটেক এলাকাতেও। আর বৃষ্টি হলেই অভ্যন্তরীণ সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সেই পানি নামতেও দীর্ঘ সময় লাগে। এলাকার সর্বত্রই নোংরা পরিবেশ ও ধুলাবালি বেশি থাকায় মশা-মাছির উপদ্রব এখানে অনেক বেশি। সন্ধ্যা নামতেই ঝাঁকে ঝাঁকে মশার আক্রমণ শুরু হয়। এলাকার অভ্যন্তরীণ খালে বাসিন্দারা নির্বিচারে ময়লা ও গৃহস্থালির অতিরিক্ত আবর্জনায় ফেলেন। আর খালের পচা পানির কারণে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। ওয়ার্ডের ছায়াবীথি এলাকার খালেও এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিন আরও দেখা গেছে, ডিএসসিসির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের খালি জায়গা ও আবাসিক প্লটগুলোতে বহুতল ভবনের অধিবাসীরা নির্বিচারে আবর্জনা ফেলে। ওইসব আবর্জনায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে এডিস মশা জন্ম নেয় সহজেই।
এদিকে ওয়ার্ডে স্থায়ী কাঁচাবাজার না থাকায় এখানকার বাসাবো, মাদারটেক, উত্তর বাসাবো, মাদারটেক বাগানবাড়ী, নতুনপাড়া, সরকারপাড়া, আদর্শপাড়া, উত্তর মাদারটেক, এলাহীবাগ, সিঙ্গাপুর পূর্ব মাদারটেক, পূর্ব বাসাবো, পাটটোয়ারী গলি ও ছায়াবীথিসহ এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বসেছে বাজার। এসব বাজার মূলত সড়কের ওপরে। এতে একদিকে ক্রেতাদের কিছুটা উপকার হলেও চারপাশে ধুলাবালি ও দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশ বিরাজ করে। এ বিষয়ে ডিএসসিসির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব রাম বাবু যুগান্তরকে বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী ওয়ার্ডে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করছি। তবে ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ওয়ার্ডে মশক সুপারভাইজার নিয়মিত ওষুধ দিচ্ছে। ক্রমাগত মশার ওষুধ ছিটানো বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মশক সুপারভাইজার মো. মুজাহিদ যুগান্তরকে বলেন-আমরা প্রতিনিয়ত মশক নিধনে কাজ করে যাচ্ছি। যেমন ওষুধ পাচ্ছি তেমনি ব্যবহার করছি। বর্তমানে ডেঙ্গুর সময় চলছে বলে গুরুত্বের সঙ্গে আমরা দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের ওয়ার্ডে এখনো ডেঙ্গু রোগীর তেমন একটা খবর পাইনি।
