নগরে স্বাস্থ্যসেবা
কাজে নেই, নামেই চিকিৎসাসেবা
উত্তরা নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৫
উত্তরা পূর্ব (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
উত্তরা নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৫ এ নামেই চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এটা তেমন কাজে আসছে না বলে অভিযোগ করছেন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মানুষ। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আরবান প্রামারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্পের আওয়ায় পরিচালিত হয় এই নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। এটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) পরিচালনা করে।
সরেজমিন রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় উত্তরা নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৫ এ দেখা যায়, অনেক মানুষ সেখানে চিকিৎসা নিতে এসেছে। অনেকে বাচ্চাকে টিকা দিতে, গর্ভাবস্থায় চিকিৎসক দেখাতে ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে।
সেখানে কথা হয়, ৩৬ বছর বয়সী খুরশিদা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, নগরীর কোর্টবাড়ী এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে এসেছি। ওই সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা থাকলেও উপস্থিত ছিল না কোনো চিকিৎসক অথবা চিকিৎসা দিতে পারে এমন কোনো ব্যক্তি। ছিলেন না কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীও। অথচ এ হাসপাতালটি খোলার কথা প্রতিদিন সকাল ৮টায়।
খুরশিদা বলেন, ৭০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে বসে আছি। চিকিৎসক কখন আসবে তা জানি না। আমরা গরিব মানুষ, বড় হাসপাতালে যেতে পারি না, অল্প টাকায় যদি বাড়ির পাশে চিকিৎসা পেতাম তাহলে আমাদের ভালো হতো। তবে এখানে দিন দিন সেবার মান শুধু কমছে।
আকলিমা বেগম নামে এক নারী বলেন, আমি চিকিৎসা নিতে এসেছি, তবে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টার
মধ্যে না গেলে কোনো চিকিৎসা পাওয়া যায় না। কর্মচারীরাও ব্যবহার ভালো না। দুপুরের পর পরই তারা হাসপাতাল ছাড়তে শুরু করেন। যদিও সিটি করপোরেশন বলে এখানে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, পাশেই কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল। সেখানে প্রচুর মানুষ চিকিৎসা
নিতে আসেন। সেখানে মেয়েদের চিকিৎসা নিতে একটু কষ্ট হয়।
আর এখানেতো শুধু নারীদের নিয়েই কাজ। তাই কষ্ট হলেও এখানে আসি।
রোগীরা অভিযোগ করে বলেন, এখানে চাহিদার তুলনায় স্বাস্থ্যসেবাদাতার সংখ্যা কম। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা সেবা না দিয়ে ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকেন বেশি। ওয়াশরুম নোংরা থাকে। রোগীদের বসার ব্যবস্থা এলোমেলো।
এ বিষয়ে এমআইএস মো. শাহআলম যুগান্তরকে বলেন, আমরা মোট ৫টি বিষয়ে নিয়ে কাজ করি। এর মধ্যে রয়েছে ডেলিভারি স্বাস্থ্যসেবা, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, আইনগত সেবা প্রদান, শিশুদের টিকা কর্মসূচি এবং জনস্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। তিনি আরও বলেন, আমরা জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা ও বিভিন্ন আইনি সহায়তা দিয়ে থাকি। বিশেষ করে মা ও শিশুর নিরাপত্তা, টিকাদান এবং জরুরি সেবা আমাদের কাজের আওতায় পড়ে। তবে গণমাধ্যম কর্মীরা উত্তরা নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৫ থেকে তথ্য নিতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি। এ বিষয়ে মো. শাহআলম বলেন, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।
